যে পথে আসবে মানবতার কাংক্ষিত মুক্তি
লিখেছেন লিখেছেন মু নুরুল ইসলাম হেলাল ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৩:১৬:০১ দুপুর
আমরা মুসলমান,মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের স্রষ্টা,আমাদের রিজিকদাতা,বিধানদাতা,এককথায় তিনি আমাদের পরিচালক,আমাদের জন্যে তিনি ইসলামকেই একমাত্র জিবন বিধান হিসেবে নির্ধারন করেছেন,ইরশাদ হচ্ছে,নিশ্চয় ইসলামই আল্লাহর নিকট একমাত্র মনোনিত জিবন ব্যবস্থা,যে ব্যক্তি বা সম্প্রদায় ইসলাম ছাডা অন্য কোন জিবন ব্যবস্থা খোজ করবে,তা কিছুতেই গ্রাহ্য হবেনা,এবং সেই ব্যক্তি আখিরাতে ধ্বংসশিলদের মধ্য থেকে হবে,(আল কুরআন) বস্তুতঃইসলাম ছাডা অন্য কোন জিবন ব্যবস্থা যৌক্তিক কারনেও গ্রাহ্য হবার নয়,কারন আইন এবং বিধান রচনা করা হয় ভবিষ্যতের জন্যে,ভবিষ্যতে আসন্ন কার্যক্রম ও সমস্যার সুষ্ঠ সমাদানের জন্যেই আইন করা হয়,আর মানুষ ভবিষ্যত সম্পর্কে সম্পুর্ন অগ্য,তাই যে বিষয়ে মানুষ অগ্য সে বিষয়ে আইন করার কোন যৌক্তিকতা রাখেনা,এটি পাগলামীর নামান্তর,আর এই আইন কোন ফলপ্রসু ও নয়,তাইতো আজ মানব রচিত আইনের ব্যর্থতা,আর ভবিষ্যত সম্পর্কে একমাত্র আল্লাহই জানেন,তাই আল্লাহর দেয়া জিবন বিধান ইসলামে সকল বিষয়ের সমাদান পাওয়া যায়,আর আমরা হলাম স্রৃষ্টি,স্রৃষ্টি স্রৃষ্টির জন্যে আইন করতে পারেনা,স্রৃষ্টির জন্যে আইন করবেন তার স্রষ্টা,
আজকের সমাজ জুলুম ও নির্যাতন-নিপিডনের সমাজ,মানবতা আজ এই সমাজে অশান্তি ও শোষনের যাতাকলে পিষ্ঠ,এই সমাজ ব্যবস্থা থেকে মুক্তি আমাদের সকলের চাওয়া,সকলের প্রত্যাশা,শুধু চাওয়া আর প্রত্যাশা নয় এই অশান্তি ও অন্যায়-অবিচার থেকে মুক্তি পেতেই লাখো শহিদের তাজা খুনের বিনিময়ে এই দেশকে স্বাধীন করা হয়ছে,আজো আমরা এই শান্তি-মুক্তির জন্যে অর্থ দিচ্ছি শ্রম দিচ্ছি,খুন ঝরাচ্ছি জিবন বিলাচ্ছি,অথচ সেই প্রত্যাশিত শান্তি-মুক্তির কিন্চিত ছোয়াও মানবতার দুয়ারে এযাবত আসেনি,শান্তি মুক্তি যেনো আজ আলাউদ্দিনের যাদুর ছেরাগ,কখন যে কে পেয়ে যায় তার কোন হদিস নেই,এর একটি মাত্র কারন,আমরা মহান স্রষ্টার মনোনিত জিবন বিধান ইসলামের বিপরিতে গনতন্ত্র,সমাজতন্ত্র,ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ ও জাতীয়তাবাদের দুয়ারে শান্তি খুজছি,আজ আমরা ইসলামকে নিজেদের শান্তি-মুক্তির পথ ভাবার পরিবর্তে শান্তি-মুক্তির পথের কাটা ভাবছি,আমরা কেউ গনতন্ত্র কেউ সমাজতন্ত্র কেউ ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ এবং কেউ জাতীয়তাবাদের প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে লিপ্ত হয়ছি,অথচ এই পথ গুলোর কোনটাই শান্তি-মুক্তির পথ নয়,বরং এসবই আমাদের শান্তি-মুক্তির পথের বাস্তব কাটা,আর এগুলো হচ্ছে আল্লাহ মনোনিত ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক,তাই এসবের চর্চা কুপুরের শামিল,আজ যারা জেনে বুঝে মুজিব জিয়াসহ ইত্যাদি তাগুতি নেতৃবৃন্দের আদর্শ পতিষ্ঠায় ব্যস্ত রয়ছেন,এসবের পতিস্ঠার শ্লোগান দিচ্ছেন,যে সব গ্যানপাপিরা এই কুফুরি পথ গুলোর পক্ষে সাফাই গাচ্ছেন,ফতোয়া দিচ্ছেন,আপনারা কি ভাবছে আপনাদের ঈমানের কথা?স্মরন হচ্ছে কি আপনি মুসলমান?আপনি কালিমায়ে তায়্যিবার মাধ্যমে আল্লাহকে প্রভু আর মুহাম্মাদ(সাঃ)কে রাসুল তথা পথপদর্শক মেনে তার আদর্শের সৈনিক হওয়ার ঘোষনা দিয়েছিলেন এবার মুজিব-জিয়া বা মওদুদির আদর্শের সৈনিক হওয়ার শ্লোগান দেয়ার কারনে আপনার কালিমার শ্লোগান রহিত হয় যাচ্ছে একথা ভাবছেন কি?কোন মুমিন কখনোই মুজিব,জিয়া ও মওদুদির আদর্শের লডাকু সৈনিক হতে পারেনা,এটাই কিলিমা ও উপরোক্ত আয়াতের দাবি,সুতারাং আমরা যারা শান্তি-মুক্তি চাই ,আসুন মানব রচিত পথ পরিহার করে ইসলামের পথে,আসুন রাসুলের পথে ,এ পথেই আসবে মানবতার কাংক্ষিত মুক্তি,আল্লাহ আমাদের সকলকে এ পথে চলার তাওফিক দিন আমিন,(মু নুরুল ইসলাম হেলাল,ফেনী জেলা)
বিষয়: বিবিধ
১২৬৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন