এই তো সেইজন !!!
লিখেছেন লিখেছেন ইমরোজ ১০ এপ্রিল, ২০১৬, ০৪:৩৬:০৪ বিকাল
বিবাহিত জীবনের প্রথমদিন নব দম্পতি ঠিক করল তারা কেউ কাউকে দেয়া ছোট বড় কোন ওয়াদা কখনই ভাঙবে না । কখনই না ।
ছেলেটি বলল... তাহলে একটা ছোট্ট পরীক্ষা হয়ে যাক !!
ঠিক হল ... সারাদিন তারা কারো জন্যই দরজা খুলবে না ।
সেদিন প্রথমেই ছেলের বাবা মা দরজায় কড়া নাড়লেন। উঁকি দিয়ে দরজার বাইরে অপেক্ষমান মা বাবাকে দেখে ছেলেটার খুব ইচ্ছে হল দরজা খুলে দিতে । ছেলেটি মেয়েটির দিকে অসহায় ভাবে তাকাল । কিন্তু পরক্ষনেই প্রমিজ ইজ প্রমিজ ভেবে মন শক্ত করে ফেলল । সে দরজা খুলল না । অনেকক্ষণ বাইরে দাঁড়িয়ে তারা হতাশ হয়ে ফিরে গেলেন ।
তার কিছুক্ষন পরেই মেয়েটির বাবা মা এল । নিজের বাবা মাকে দরজার আড়াল থেকে দেখতেই মেয়েটির চোখ ছলছল করে উঠল । সে ছেলেটির দিকে করুন ভাবে তাকিয়ে বলল " আমায় ক্ষমা কর ডার্লিং । এটা আমার দ্বারা সম্ভব না । আমি এই ওয়াদা রাখতে পারব না। " মেয়েটি দরজা খুলে দিল ।
ছেলেটি কিছুই বলল না ; একটা অভিব্যাক্তিহীন হাসি দিল ।
তারপর অনেক অনেক দিন কেটে গেছে । তাদের দুইটি ফুটফুটে ছেলে বাচ্চা হল । তারপর তাদের সংসারে একটা মেয়ে এল । মেয়ে বাচ্চা পেয়ে ছেলেটি নিজের খুশী আর ধরে রাখতে পারল না । সে বন্ধুবান্ধব , আত্মীয়স্বজন আর প্রতিবেশীর জন্য শহরের বড় একটা হোটেলে জমকালো পার্টি দিল।
পার্টি শেষে বাসায় ফিরতে ফিরতে মেয়েটি স্বামীকে জিজ্ঞেস করল " ছেলেদের জন্মের পর তো একটা ছোট পার্টিও দিলে না আর মেয়ের জন্মের পর এতবড় পার্টি । কি ব্যাপার ??
ছেলেটি স্মিত হেসে তার দিকে তাকিয়ে বলল " এই তো সেইজন... যে আমাদের জন্য নিশ্চিত দরজা খুলে দিবে !! তাই না ??"
বিষয়: বিবিধ
১৪৮০ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কিন্তু কেমন পার্শিয়াল হয়ে গেছে। ছেলেটা বাবা মায়ের জন্য দরজা খুলতে পারেনাই একজন নারীর জন্য, মোদ্দা কথা ওয়াদা রক্ষার জন্য।
মেয়েদের ওয়াদা এভাবেই আবেগের বানে ভেসে যায়।
আল্লাহর আদেশ ও মুল্যহীন!!!
এই ধরনের ছেলেদের ই বুঝি ভেড়া বলা হয়
মেয়ে মানুষ তো, আল্লাহ মাথায় ঘিলু একটু কম দিয়েছেন কি না-p
কিন্তু যত যাই বলেন, আমি বলবো এমন মেয়ে আমার দরকার নাই, যে মেয়ে আমার জন্য দরজা খুলে দিবে আর শ্বশুর শ্বাশুরির বেলায় স্বামীকে ওয়াদার বেড়াজালে আবদ্ব রাখবে আর এমন ছেলে ও আল্লাহ কাউকে না দিক, যে ছেলে নিজের ওয়াদায় ১৬ আনা অনড় কিন্তু বৌ এর বেলায় ৭ খুন মাফ।
বৌ এর হক বৌ পাবে, বাবা মার হক বাবা মাকে দিতে হবে।
দু;খিত বিপরীতমুখি মন্তব্যের জন্য
মেয়েকে অবহেলা নয় তাই অনেক গুলো হোক সমস্যা নেই কিন্তু ভাইয়া ছেলেও একটা দরকার ।মেয়ে তো আপনার জানাজা পড়াতে পারবে না , সে আপনার সাথে নামাজ পড়তে পারবে কিন্তু সে কখনো আপনার ইমাম হতে পারবে না ।
একজন ছেলে যখন নামাজে বাবার ঈমাম হয় বাবার মনে যে কত্ত আনন্দ হয় সেই আনন্দ আপনি কোথায় পাবেন ভাইয়া ।
সোজা কথা ছেলে মেয়ে যাই হোক তাদের দ্বীনি শিক্ষা দিতে হবে ।তাহলে ঐ ছেলের মত ভুল করবে না ।
ধন্যবাদ ভাইয়া ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন