নারী আসলে কি চায় ???
লিখেছেন লিখেছেন ইমরোজ ১০ জুলাই, ২০১৪, ০৪:২৯:২৪ বিকাল
এক দেশে ছিলেন এক বুদ্ধিমান তরুন রাজা। একদিন সেই রাজার পতন হল তার পার্শ্ববর্তী দেশের রানীর হাতে । সিংহাসন হারালেন তিনি। রাজার উজির নাজিররা রাজার জন্য প্রান ভিক্ষা চাইলেন । রানী এক শর্তে রাজাকে প্রান ভিক্ষা দিতে চাইলেন । রাজাকে একটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে হবে । রাজা জিজ্ঞেস করলেন কি সেই প্রশ্ন ???
রানী বললেনঃ আপনাকে বলতে হবে , নারী আসলে কি চায় ???
রাজা প্রশ্নটি শুনে একটু বিচলিত হলেন । ভাবলেন এ তো কঠিন প্রশ্ন । এক কথায় এর উত্তর দেয়া তো অসম্ভব !!!
তবু মৃত্যুর বিনিময়ে যেহেতু এই শর্ত তাই এই প্রশ্নের উত্তর দিতে নিমরাজি হলেন , রানীর কাছে এক মাস সময় চাইলেন । রানী তা মঞ্জুর করলেন ।
রাজা তার রাজ্যের সকল জ্ঞানীগুণী বেক্তিকে প্রশ্নটির উত্তর জিজ্ঞেস করলেন কিন্তু কারো উত্তরই মনপুত হল না ।
এদিকে সময় শেষ হতে আর খুব বেশিদিন বাকি নেই ।
এমনিসময়ে রাজার দরবারে এক কুৎসিত চেহারার এক ডাইনীর আগমন হল ।
রাজাকে সে বললঃ মহামান্য, আপনার প্রশ্নের সঠিক উত্তর আমি জানি , তবে উত্তরটি বলার আগে আমার একটা শর্ত আপনাকে পুরন করতে হবে ।
রাজা শর্তের কথা জিজ্ঞেস করতেই সে জানালঃ আপনাকে আমায় বিয়ে করতে হবে !!!
রাজা ছিল খুবই সুদরশন এবং অবিবাহিত।
দরবারের উজির নাজিররা কথাটি শুনে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলেন । ডাইনীকে তাড়িয়ে দিতে চাইলেন ।
রাজা তাদের থামালেন ,ডাইনীকে অন্যকিছু চাইতে বললেন । কিন্তু ডাইনী রাজি হল না।
রাজা তার সংকটাপন্ন জীবনের কথা চিন্তা করে সেই শর্তে রাজি হয়ে গেলেন ।
ডাইনী রাজার প্রশ্নের উত্তরটি বললেন
" প্রতিটি নারীই চায় তার জীবনের হর্তাকর্তা হবে সে নিজেই (What a woman really wants is to be in charge of her own life.) "
রাজা উত্তরটি পাশের দেশের রানীকে জানালেন । রানীর তা খুব মনপুত হল । রানী খুশি হয়ে রাজাকে প্রানভিক্ষা দিলেন আর তার রাজ্য ফিরিয়ে দিলেন ।
তারপর শর্ত মোতাবেক মহা ধুমধামের সাথে রাজার সাথে ডাইনীর বিয়ে হল। বিয়ের অনুষ্ঠানে কুৎসিত ডাইনীর আচার আচরণে আর তার বিকট দুর্গন্ধে সবাই বিব্রত হল ।
কিন্তু রাজা হাসিমুখে সব সহ্য করে গেলেন ।
অনুষ্ঠান শেষে বাসর ঘরে ঢুকতেই রাজা খুব টাসকি খেলেন ; এক অপরূপ সুন্দরী নারী তার রাজ পালঙ্কে বসে আছে ।
কে তুমি ? জিজ্জেস করতেই নারীটি বলল ,আমিই সেই ডাইনী । আপনি আমাকে বিয়ে করতে রাজী হয়েছেন এইজন্য আমি খুব কৃতজ্ঞ । বিয়ের অনুষ্ঠানে আমার অসদাচারনে আপনি দুঃখ পেলেও বিরক্ত প্রকাশ করেন নি দেখে আমি খুব অবাক হয়েছি । আপনার এই মহানুভবতার জন্য আমি ঠিক করেছি, অর্ধেক সময় আমি এই সুন্দরী আকর্ষণীয় রূপে আর অর্ধেক সময় আমার পুরানো ডাইনির রূপে থাকব!!!
আপনাকে এখন ঠিক করতে হবে ,দিন আর রাতের কোন সময়ে আমাকে কোন রূপে দেখতে চান ??
রাজা এই জটিল প্রশ্ন শুনে খুব চিন্তিত হয়ে পড়লেন ।
দিনের বেলায় সুন্দরী নারী হিসাবে থাকলে বাইরের জগতের সামনে তার মান ইজ্জত বাঁচে । কিন্তু রাতের বেলায় তার একান্ত বেক্তিগত জীবনে কুতসিত কদাচার দুর্গন্ধময় ডাইনী ?? হুম্মম্মম্মম............... অনেক চিন্তার পর রাজা একটা উত্তর ঠিক করলেন!
রাজার উত্তরটি নীচে পড়ার আগে
আপনি মনে মনে ভাবুন তো , রাজার জায়গায় আপনি হলে কি করতেন ???????
> >
> >
> >
> >
> >
> >
> >
> >
> >
> >
> >
> >
> >
> >
> >
> >
> >
> >
> >
রাজা তার ডাইনী রানীকে বললেনঃ যেহেতু প্রতিটি নারীই চায় তার জীবনের হর্তাকর্তা হবে সে নিজেই; সুতরাং এই সিদ্দান্তটি তো তার ই নেয়া উচিত।
ডাইনী রানী উত্তরটি শুনে মুচকি হাসলেন " আপনি বুদ্ধিমান । যান, আমি ঠিক করলাম দিনরাত ২৪ ঘণ্টা এই নারীর সাজেই থাকব !!! "
হুম্মম্মম.........এই ত্যানা প্যাঁচানো গল্পের মুল কাসুন্দিটা তাহলে কি ???
IF A WOMAN DOESN'T GET HER WAY,THINGS GET UGLY !!!
বিষয়: বিবিধ
১৭৪৩ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 9368
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
মুল কাসুন্দিটাই প্রেক্ষিত !!!
পুরুষ নির্যাতনের বিরুদ্ধে কি কোন কন্ঠস্বর এই ধরায় নাই...?
পুরুষ নির্যাতনের বিরুদ্ধে কি কোন কন্ঠস্বর এই ধরায় নাই...?
হায় হায় এর উত্তর তো বিবিরে জিগাই নাই ????
সেজন্য নবীরা এমন কথা বলতে পেরেছেন কারণ তাদের স্ত্রীদের সাথে তাদের কোন কনফ্লিকটই হয় নি , কারণ এটা আল্লাহর তরফ থেকেই বিশেষ রহমত ছিল নবী রাসূলদের প্রতি । ব্যতিক্রম লুত(আঃ) এর স্ত্রী ।
সাধারণ মানুষ তো নবী রাসূলদের মত এত ভাগ্যবান নন । নবী রাসূলদের বেহেশত আল্লাহ কর্তৃক কনফার্ম করা থাকে এবং পারিবারিক জীবনও নিষ্কন্টক থাকে আল্লাহরই অশেষ মেহেরবানীতে । এ দুটো জিনিস নিশ্চিত থাকলে আর কি দুশ্চিন্তা থাকে একজন মানুষের ? নবী রাসূল ছাড়া দুনিয়াতে এমন কোন মানুষ কি আছে যে এই দুই ব্যাপারে একেবারে নিশ্চিন্ত ?
উপরে যে হাদিসের কথা বলা হয়েছে , তাতে সোজা করার চেষ্টা করতে নিরুতসাহিত করা হয়েছে ভেঙ্গে যাবে এই ভয় দেখিয়ে । আবার ছেড়ে দিতেও না করা হয়েছে বাঁকাই থেকে যাবে বলে । ব্যাপারটা কেমন কনফিউজিং ও কন্ট্রোভার্সিয়াল ।
অথচ ক্বুরআনে একটা বিশেষ পর্যায়ে গিয়ে প্রহারের কথা বলা হয়েছে । মানে টাইট দেওয়া তথা সোজা করার কথাই বলা হয়েছে ।
বর্তমান জামানার মেয়েদের ব্যাপারেও ক্বুরআনের এই ইঙ্গিত প্রযোজ্য ।
সূরা ইউসুফে নারীর ছলনাকে ভয়ংকর বলা হয়েছে ।
হাদিসে এও আছে যে '' তোমাদের কাছে সেই উত্তম যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম ''
এখন স্ত্রী যদি খুল্লাম খুল্লা চলতে চায় এবং স্বামী সেটা বারণ করে - তাহলে একজন স্বামী হিসেবে কিভাবে সে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম হবার আশা করবে ?
যেহেতু জাল হাদিসেরও আশংকা আছে , সেহেতু হাদিসগুলো ক্বুরআনের আয়াত দিয়ে ভেরিফাই করে নেওয়া উচিত।
০ এটা তো সবাই চায় । তবে এর ফলে সে যাতে অন্যের কোন ক্ষতি না করে সে দিকে খেয়াল রাখা উচিত ।
নচেত সে তার নিজের উপরে নিজের কর্তৃত্ব হারাবে
মন্তব্য করতে লগইন করুন