মূল্য বৃদ্ধির চাঁদ !!!!
লিখেছেন লিখেছেন ইমরোজ ০৪ জুলাই, ২০১৪, ০৬:৩৬:১৫ সন্ধ্যা
রমজান এর মূল্য বৃদ্ধির চাঁদ এখন বং আকাশে । নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষপত্রের দাম তাই আকাশ ছোঁয়া। প্রতিদিনই কোনো না কোনো জিনিসের দাম বাড়ছে। দাম বাড়ার কোন যুতসই কারন খুঁজে না পেয়ে "রমজানকেই" কারন হিসাবে বলে ফেলেছেন বেবসায়িরা । ইফতারে ফ্রুটিকা জুস বেশি খেয়ে হয়তো মনের অজান্তেই আসল কথা বের হয়ে গিয়েছে । অথচ মু্সলমানদের জন্য রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের সওগাতময় এই মাহে রমজান মাস । এ মাসে তাদের সবর ও পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল থাকার কথা ।
বাংলাদেশের এই বেবসায়ি শ্রেণীর বেশিরভাগ বর্তমান নমুনাই আজীব কিসিমের লোক । সততা এখন শুধু বই পুস্তকে মেলে । গলা কাটা বেবসা তাদের । অতি মুনাফার জন্য কোন নীতি-নৈতিকতার ধার ধারেনা এরা । দস্যুবৃত্তির হাজারো রকমের কৌশল তাদের করায়ত্ত। । তাই রমজান আসলেই সব জিনিসের দাম বাড়িয়ে দেন । সারা বছরের বেবসা যেন তারা এই একমাসে করবেন । এদেরকেই দেখবেন টুপি দাঁড়ি পরে সারা মাস মসজিদের দিকে ছুটতে । মিলাদ মাহফিলের আর খতমে তারাবী আয়োজনে সারা মাস পেরেশান । আপসোস মানুষ ঠকিয়ে তারা যেই জান্নাতের খোঁজে নিবেদিত তা বোধহয় কঠিন জাহান্নামের স্ক্রিন সেভার ।
পাশের দেশের পশ্চিম বাংলার কথাই বলি । জিনিসের দাম এখানে হুটহাট করে বাড়ে না । কারন দাদাবাবুরা খুবই সচেতন । যুক্তি ছাড়া কোন কিছুর দাম বাড়লেই তা সবাই একসাথে বর্জন করেন। সামর্থ্য থাকতেও তারা নীতিবোধে অযৌক্তিক চড়া মূল্যে জিনিসটা কিনেন না ; যাতে সামর্থ্য হীন দের জন্য দামটা নাগালের বাইরে না যায় । ফলে বিক্রেতারা বিক্রি না করতে পেরে চুপসে যান ।
আমাদের এখানে বাঙ্গালিপনার ফুটানি বেশী । পরনে কাপড় না থাকলেও রসনা বিলাসে টইটুম্বুর । তাই যেন ছোলা বুট পিঁয়াজু খাওয়া ইফতারের চাইতেও ফরজ । যেমনটি নববর্ষে সোনার দামে ইলিশ না খেলে স্ট্যাটাস যেন যায় যায় ।
মূল্য বৃদ্ধির এই পাগলা ঘোড়ায় নিম্ন মধ্যবিত্ত আর গরীবের খাদ্য তালিকা থেকে মাছ মাংস অনেক আগেই বাদ দিয়েছে , এখন সবজি টাও যায় যায় !!!
পৃথিবীর কোন দেশে খাবারের দাম এইভাবে বাড়ে না । আর এখানে ক্ষেত্র বিশেষে রাতারাতি দুই থেকে চার গুন । তবু এই মগের মুল্লুকে ক্রেতার কোন অভাব নাই । কেউবা কিনে না খেলে মহাভারত অশুদ্ধ হবে আর কেউবা উপরির টাকার শ্রাদ্ধ করতে । অবশ্য উপরির টাকায় ১০ টাকার জিনিস ১০০ টাকায় কিনলেই বা কি ; সবই তো বোনাস !!!
যারা জোচ্চুরি (riba)কে বেবসার(trading) একটি কৌশল মনে করেন- তাদের জন্য নীচের আয়াতটি উদ্দ্রিত করলাম । আশা করি বিধাতা তাদের বিবেককে একদিন জাগাবেন দেশ আর মানবতার খাতিরে !!!!
“Those who eat Riba’ will not stand (on the Day of Resurrection) except like standing of a person beaten by Shaitan leading him to insanity. That is because they say: ‘Trading is only like Riba’; whereas Allah has permitted trading & forbidden Riba’. So, whoever receives an admonition from his Lord & stops eating Riba’ shall not be punished for the past; his case is for Allah (to judge) but whoever returns (to Riba’ i.e. usury), such are the dwellers of fire (of Hell). They will abide therein.”
(Aayah No. 275, Surah Al-Baqarah, Chapter No. 2, Holy Qur’an).
বিষয়: বিবিধ
১১৭৮ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন