বাঙালি রেফিউজি
লিখেছেন লিখেছেন ইমরোজ ১১ মার্চ, ২০১৪, ০৮:১০:৫৯ রাত
বাঙালি রেফিউজি ক্যাটাগরি সাধারণত সব বয়সের মানুষ এর অন্তর্ভুক্ত । তবে সিংহভাগ হচ্ছে কলেজ ছাত্র থেকে মধ্যবয়সী । এদের মধ্যে গুটিকয়েক দেশে বিভিন্ন সাইজের অপরাধ করে পরবাসী হন । মুলত গ্রেফতার এড়াতে সুযোগ বুঝে পশ্চিমা কোনো দেশে গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেন । বাংলাদেশের সার্বিক রাজনীতির ধরনের জন্য এদের আবেদন সহজেই বিবেচনার জন্য গৃহীত হয় । তখন এরা রাজনৈতিক উদ্বাস্তু হিসাবে প্রবাসী রাজনৈতিক সংগঠনের ছত্র ছায়ায় ঘাটি গেড়ে বসেন । স্থানীয় বাঙালি মহলে এদের পরিচিতি হইলো এরা বিরাট দেশপ্রেমিক । দেশের জন্য এদের দরদের কোনো সীমা নাই। এরা এমন ভাব করে যেন তাদের বিদেশে অবস্থানের ফলে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে । অফুরন্ত অবসরের বদৌলতে অনলাইন এ এরা এক একজন চামবাজ বাঘ । এই শ্রেণীর লোকেরা পাশ্চাত্য এনলাইটেনমেন্ট চিন্তার প্রভাবে ইহজাগতিক ও ধর্মনিরপেক্ষ ভাবাদর্শের ভোগ্য মতবাদ প্রচার করেন । তার সাথে দেশপ্রেমের বুলি দিয়ে বনে যান পাতি সেলিব্রিটি নেতা, ব্লগার কিংবা গবেষক । শত শত অনলাইন ফলোয়ার মুরিদ তাদের ফাটকাবাজি সিজনাল চেতনা্র জালে আটকা পরেন। দেশের সব সমস্যায় তারা ঐখান থেকে বসে আগাচৌ র মাপের নিজস্ব ফর্মুলার সমাধান দেন।
এরা খুবই অধৈয্য প্রকৃতির এবং সন্দেহ প্রবন হয়ে থাকে। ভিন্নমত দমনে যুক্তিতে পেরে না উঠলে এরা আবেগি বুলিতে অশ্রাব্য ভাষায় চটি শিল্পে চেতনার ধোলাই দেন , তারপর ফেবুতে / ব্লগে ভিন্নমতিদের ব্লক করে; নিজের ফিদা মুরিদদের কাছে "দেশের জন্য প্রানপ্রিয় বন্ধুকে বিসর্জন " টাইপের মায়া কান্না দেন।
প্রগতিশীলতা’ ও ‘আধুনিকতা’র নামে এইসব সাদাসিধে ধান্দাবাজ টিয়া পাখিরা যে চেতনার কথা বলেন তা হল তাদের একটা হলুদ মুখোশ। রাজনীতিতে এদের ভুমিকা হল দালালী আর নিজ ধান্ধার নিবিড় চাষের রাজনীতি । সময়ের পরিক্রমায় এই তথাকথিত প্রবাসী আঁতেল বুদ্দিজিবী্রা এখন নব্য এলিট শ্রেনি, মিডিয়া কিংবা কর্পোরেট ।
বিষয়: রাজনীতি
১০১০ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মোট কথা এরা পার পেয়েই যায় । বাংলাদেশের অনেক দাগী সন্ত্রাসী ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে বহাল তবিয়তে আছে ।
বাংলাদেশেই প্রথম অনুপ চেটিয়ার ব্যাপারে Political asylum এর বাঁধ ভেঙ্গেছে ।
Political asylum এর ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা পরিবর্তন করার সময় এসেছে ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন