কথা হচ্ছিল মরহুম আইনুদ্দিন আল আজাদ সাহেব নিয়ে এক ভাইয়ের সাথে....
লিখেছেন লিখেছেন জোস্নালোকিত জ্যাস ১৫ অক্টোবর, ২০১৫, ১০:২৮:১১ রাত
কথা হচ্ছিল মরহুম আইনুদ্দিন আল আজাদ সাহেব নিয়ে এক ভাইয়ের সাথে । কেবল মাত্র আজাদ সাহেবের গলার আওয়াজ ভাল লাগে বলে , কেউ যদি কিছু কয় তাকে নিয়ে প্রয়োজনে খুন করতে প্রস্তত এই ভাইটি......
ক্যাম্পাসে চা খেতে খেতে কথা হচ্ছিল । ওনার রিংটোনেও দেখি আইনুদ্দিন সাহেব , "কি হবে বেছে থেকে..." অনেক তক্কিঝক্কির পর শুধুমাত্র বলেছি ভাই , ভালবাসার মূলে গলার আওয়াজ না হয়ে আল্লাহর রাজিখুশিই হওয়া উচিত...।।
আমি ব্যক্তিগত ভাবে সবচয়ে নাখোস আছি আইনুদ্দিন সাহেবের ওপর । গোটা চমমোনাই সম্প্রদায়ের মধ্যে সিরিয়াল করলে আমি এনাকেই আগে রাখব নাখোস লিস্টে । আপনি হয়তো বলবেন ভাই , এতবড় বড় বেদাতি থাকতে অই শিল্পিটাকেই কেন ?
এ ব্যাপারে আমার একটা লজিক আছে । আজ আপনাদের সাথে সেয়ার করছি । বহুদিন আগে । আব্বাজান আমাকে পাঠালেন চরমোনাইতে , যাওয়ার সময় বললেন জীবনের প্রথম সফর তোমার সাবধানে যেও । আমি জামায়াতে ইসলামি করি ।তোমাকে চরমোনাইতে পাঠাচ্ছি কারন তুমি বুঝতে পারবে কেন আমি ও পথে নাই । অনেক এক্সাইটেড ছিলাম যেহুতু আব্বাজান নিজেও তাসাউফের আদলে চলা লোক তাই ছোট কাল থেকে প্রায়ই শুনতাম একজন বরিশাইল্লা পীর আছেন যিনি মেল্লা বড় । সেই শোনা থেকেই একটা ঝোক ছিল । যাইহোক আমার তখন খুব একটা বয়স ছিল না তবে বুঝতাম অনেক কিছুই । প্রায় দুই দিন পর সেখানে পৌছলাম আমরা । যথারীতি বিভিন্ন সময়ান্তে বিভিন্নভাবে বয়ান চলে । এর মাঝে মাঝে কলরবের কাহিনী ফিট থাকে । তো বয়ান চলছে ভাল কথা । সবাই আঠার বস্তার মত ঠেসে ঠেসে মহব্বতের সাহিত বসিয়া শুনছি । না বুঝলেও শুনতে ভাল লাগে তাই শুনিতেই আছি মনযোগ দিয়া । হঠাৎ দেখি স্টেজে দেড় দুইফুটি একটা পিচ্চি হুজুর মস্তানি দেখাচ্ছে । মানে সেইরকম ইনস্ট্রাকশন ছুড়তেছে । জনগনের মাঝে আবার চেখি চাঞ্চল এসে গেল যারা ঠেসে ঠেসে ছিল তারা এখন স্পেস নিয়ে বসতে লাগল । ওদিকে দেখি পিচ্চি হুজুর মাইক স্টান্ড থেকে খুলে হাতে নিয়ে সামা গাওয়া শুরু করলো । যাহাকে কোনভাবেই ইসলামি সংগীত বলা যায়েজ হইবে না । কারন এগুলা আমরা ভালই জানি । ছোটকাল থেকে আমরাও নিজের এলাকায় শুনিয়া আসিতেছি । যাইহোক সে যেই দুই লাইন শেষ করেছে অমনি দেখি ঝড় শুরু ! কইলাম , কিরে নাই বাতাস , নাই পানি অথচ ঝড় অনভূত হয় ক্রেরে ? চাইয়া দেখি উপরে সাইমনা ঢুলে , বাঁশ নরে । আরও চক্ষু নিবেশ করিয়া দেখি ওমা এটাতো ইনসানি ঝড় , হিউমান টব্বাটব্বি । আমার সম্পর্কের এক দাদাকে ঘটনা কি জানতে চাইলাম । সে কয় ইস্ক জাগিছে বেবাগের । মাওলারে পাইতে গেলে এভাবে ঝাপা লাগে । এতে কোন মতে যদি একবার বাবার শিতল নয়নে ঠেকা যায় তবে আর কিছুই লাগবেনা । এক্ককেবারে জান্নাতের রাহবারি মিলবে ...।।
বাপু প্রায়ই আমাদের যে দিক্ষা দিতেন তার মধ্যে অন্যতম ছিল এই জিকির বিষয়ক । আমি জানি আল্লাহ আমার ঘারের ও কাছে আছেন । আমি আল্লাহর নৈকট্ট পাইতে গেলে আমারে চিল্লাতে লাগবেনা । এই কথা যখন কইছি সে কয় , তোমারে না আনার সিদ্ধান্তই ভাল ছিল আমাদের । এদিকে যা বিদিকিস্তি লাফানি শুরু হইলো তাতে ভয় লাগতে লাগল কখন যে ভত্তা হইয়া যাই । স্টজের প্রায় ৩০ হাতের মধ্যেই ছিলামতো তাই নজরানা যা দেখছি তাতে অইদিনই ক্লিয়ার বাপুর কথা...
যাইহোক অই যে আইনুদ্দিন শুরু কইরা দিল ব্যস লাফানি আর থামে না । ক্ষনে ক্ষনে শুরু হয় , দুই মিনিট শান্ত থাকে আবার শুরু হয় । আমার অই বয়সে মনে হয়েছিল উহাদের কিছু কামড়ায় কিছুক্ষন পরপর মনে হয় , নাহলে এতো কুতাকুতি করে কেন । আবার একবার কানে আইলো কাহার যেন লুংগি ফারিয়া গিয়া উলঙ্গ হইইয়া গেল । লোক মুখে শুনিতে মিলিত এই গাট্টু হুজুর মূলত ইস্কের চুলকানি ভাইরাস । ইনি এসেই ভাসিয়ে দেন সেই চুলকানি । শুরু হয় সামা গাওয়ার খাউজানি । পরে বাবা আসিয়া মলম দেন ।
আইনুদ্দিন আল আজাত চরমোনাই দরবারে কালে কালে আরও ক্ষিপ্রতর ইস্কবান হয়ে গিয়েছিল । মারা যাওয়ার বছর অব্দি তার ইস্কর ধারেও কেউ যেতে পারত না । ঝাকানির এই পরম বেদাতের শুরুর দায়িত্বের জন্যাই সবচেয়ে বেশি নাখস আছি ওনার ওপর । যাইহোক আল্লাহ তাকে তার কর্মের ওপর বিবেচনা করে উত্তম যাযাহ দিক । আল্লাহ সকল ভ্রান্তবাদকে মুঝে দিক............।।
বিষয়: বিবিধ
১৭৪১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন