প্রেম, ইশ্ক ও মুহাববত.........
লিখেছেন লিখেছেন জোস্নালোকিত জ্যাস ১৭ অক্টোবর, ২০১৪, ১২:১২:২৭ রাত
[গত পরশুদিনের ঘটনা ]
প্রেম, ইশ্ক ও মুহাববত যদি হয় তা যেন কোন বেগানা মাইয়া মানুষের জন্যে না হয় বরং কেবলমাত্র আল্লাহ্ ও তার রাসূল (সা.)-এর জন্যেই হয়। প্রেম জায়েয হবে কেবল এখানেই। শুধু জায়েয নয়, বরং ঈমানের দাবীও বটে। কারন কোন মুমিন আল্লাহ্ ও তার রাসূলের মুহাববত ব্যতিত পরিপূর্ণ ঈমানদার হতে পারে না...
কথা গুলো বলছিলাম সিরাজগঞ্জের কোন ব্রীজের উপর ভীড়ে আটকা পড়া গাড়ির সহযাত্রীকে। বেচারা কোন এক বান্দরনীর সাথে খুবই হাস্যরশমূলক আড্ডা দিচ্ছিল ফোনে। আমার কথা গুলো শুনে ফোন কেটে দিল। কাঁচুমাচু গলায় বললো ভাই আমিতো বান্ধুবির সাথে কথা বলতেছি, গার্ল ফ্রেন্ড নাই আমার!
আমি বললাম ভাই দেখেন যেখানে আল্লাহ সুবহানআল্লাহ কুরআনে মেয়েদের অলংকারাদির আওয়াজ লুকানোর ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেছেন সেখানে স্বয়ং সেখানে মেয়েদের আওয়াজ পর পুরুষ থেকে লুকানোর গুরুত্ব কতটুকু হতে পারে তা কি ভেবেছেন !
তাছাড়া একজন পুরুষ কোন গাইরে মাহরাম মেয়ের সাথে এবং একজন মহিলা কোন গাইরে মাহরাম পুরুষের
সাথে পরস্পর চলাফেরা করা, দেখা সাক্ষাত করা এবং কথা বলা জায়েয নাই।ইভেন গাইরে মাহরাম ছেলেদের সাথে বসাও হারাম হবে মেয়েদের।
আপনি ফোনে কথা বলিতেছেন, আপনি বুঝতেও পারতেছেন না যে কি পরিমাণ ফেত্না আপনার অন্তরে গেঁথে যাচ্ছে।
ছেলেটি অনেকটা বিরক্তির সুরে প্রশ্ন করলো মহিলাদের আওয়াজও ফেত্না সৃষ্টি করে ? তাহলে মা বোনদের সাথেও কি কথা বলা যাবেনা ?
বললাম ভাই মাহরাম ব্যতীত কথা বলা জায়েজ হবে। মা বোন কি গায়রে মাহরাম এর মধ্যে পরে ?
সাফ সাফ কথা ভাই, কোন মহিলার জন্যে পরপুরুষের সাথে জরুরত ব্যতিত কোন কথা বলাও জায়েয নেই। আর যদি একান্ত অপরাগ হয়ে পড়ে, তখন পর্দার আড়ালে থেকে কথা বলার অনুমতি রয়েছে। কেননা মহিলাদের আওয়াজও সতরের অন্তর্ভুক্ত।
ভাইটি বুঝতে পারলেন এবং আমার সামনেই তওবা করলেন। এরপর অনেক কয়েকবার রিং এলো তেনার কাছে। আমাকে দেখালো প্রত্যেকবার আর বললো মেয়েটি প্রায়ই ফোন দিয়ে ভাও দেয়, শনশনির কথাবার্তা বলে। অর্থাৎ তাহাকে ল্যাবু ল্যাবু করে।আমি কইলাম আমার কথা থেকে আপনি কি সিদ্ধান্ত নিলেন ?
সে কইলো আর যোগাযোগ রাখবেনা। আলহামদুলিল্লাহ তাহলে শেষ বারের মত রিসিভ করে বলেন যে তাহার যদি এতটাই ভাল লাগে তবে পিতার মাধ্যমে প্রস্তাব পাঠায় যেন....
তখন সন্ধ্যা প্রায়। লাল সূর্য আরও রক্তিম হতে চললো। এমন সময় রিং এলো। আমার কর্নদ্বয় দাড়িয়ে গেল। আমি আমার মুখ তাহার দিকে ফেরাইলাম। আমার কাছে অই মুহূর্তে বাম পাশের রক্তিম সূর্য আর তার ভয়েসের বিন্দুমাত্র পার্থক্য আছে বলে মনে হল না।
স্পষ্ট ভাবেই সে বললো কথা গুলো। আরও কিছু যোগ করে সুন্দর একটি বয়ান দিল সে। শেষে আর ফোন দিয়ে অপচয় না করার অনুরোধ করলো। সালাম দিয়ে ফোন রেখে দিল......
বিষয়: বিবিধ
১২৩০ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন