কাঁকড়া খাওয়ার অফার, অতপর...

লিখেছেন লিখেছেন জোস্নালোকিত জ্যাস ০৭ অক্টোবর, ২০১৪, ১১:০৯:৫৬ রাত

আজ ঈদ পুনমিলনী ছিল। যাইতে না পারায় মনটা ভারি ব্যথিত ছিল। একরাশ বেদনা নিয়া একটা হোটেলে ঢুকলাম। এলাকার এক হিন্দু ভাই আমাকে কাঁকড়ার পিয়াজি খাইতে অফার করলো। হাসি মুখে ফিরিয়ে দিলাম। অমনি সে বিষদাঁত বের করে কথার বানে জর্জরিত করে দিলেন। সে বললো, তোমাদের ইমামগন হালাল বলেছেন অথচ তোমরা খাওনা, তোমরা আসলেই গোড়া হিন্দু বিরোধী, তোমাদের পুলিশ ধরে কি আর সাধে, দোষ তোমাদের আছেই।

অনেকগুলো কথা একাধারে বলে দম নিলেন। আমি এক গ্লাস পানি তার হাতে দিলাম, আমারটা না নিয়া অন্য গ্লাস তুলে পানি খেল। যাইহোক আমি কইলাম, ভাই আমরা হিন্দু বিরোধী নই। যদি তাই হতাম তবে ৬০-৭০% হিন্দুয়ানা আসন থেকে আমাদের নেতারা বিজিত হত না। আজ পর্যন্ত যত মন্দির মূর্তি ভাঙা হয়েছে তার সাথে আমাদের সম্পর্ক কি একটাতেও প্রমানিত হয়েছে বা শুনেছেন ? কিছু মিডিয়া উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে আমাদের বিরোধীতা করে নিউজ দেয় যা নিশ্চয়ই একজন নিরপেক্ষ মানুষ হিসেবে বুঝেন। তাছাড়া বারবার যুবলীগ, ছাত্রলীগরারাইধরা পরেছে, পত্রিকায়ও এসেছে। দয়া করে যদি সম্ভব হয় এমন একটি পিকচার দেখান যেখানে ছাত্রশিবিরের হাত আছে! কোন উত্তর নাই তার। আরও কইলাম, আপনি নেটে সার্স দিন, দেখবেন অনেক যায়গায় ছাত্রশিবিরের ছেলেরা আপনাদের মন্দির পাহাড়ায় ছিল।

তাছা প্রত্যেক ধর্মেরই নিজস্ব ভাবধারা রীতিনীতি আছে, আছে বাধ্যবাধকতা। এই মুহূর্তে যদি গোস্ত খাইতে বলি, আর যদি না খান তাহলে কি আপনাকে আমি গালাগালি করবো, গোড়া মুসলিম বলে কটাক্ষ করবো! মোটেও তা নয় ভাই বরং খমা চাব অনাকাঙ্ক্ষিত অফার করার জন্য!

হিন্দু ভাই সাহেব ভুল বুঝতে পেরে ভেল্কা মারকা হাসি দিয়ে বসলো। ওনারে কইলাম ভাই আমাদের ধর্মে কাঁকড়া খাওয়া মাকরূহে তাহরীমা। এটা ইমাম হানিফা (রহ) এর ফতোয়া। আপনি ইমাম শাফি (রহHappy এর ফতোয়ার কথা হয়তো কোথাপড়েছেন।তিনি বললেন ইস্কনের এর পন্ডিতের কাছে শোনা। কইলাম ভূল শুনেন নি, হা তিনি এমনই ফতোয়া দিয়েছেন। ফতোয়া হচ্ছে মতামত, ব্যক্তিগত মতামত যা বিভিন্ন জ্ঞানের নির্যাশ, অনেক সময় প্রেক্ষাপট, পরিস্থিতি অনুযায়ী ইযমা কিয়াসের প্রয়োজন হয়। যার ফলে একেক যায়গায় একেকভাবে ফতোয়া আসতে পারে। । আমরা বিভিন্ন জনের মতামত উম্মাতে মুহাম্মাদির সর্বাধিক গ্রহনযোগ্য হলে তবেই কেবল মানি.....

হাসতে হাসতে অতপর দুই জন দুই দিকে পা বাড়ালাম.......

বিষয়: বিবিধ

১৩৬৫ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

272221
০৭ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১১:১৬

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 7228

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 764

"> ফুয়াদ পাশা লিখেছেন : বাংলাদেশে এত এত মন্দির, বৌদ্ধ মঠ কারা ভাংগে, মূর্ত্তি কারা ভাংগে। নিশ্চয় কোন অমুসলিম এসে ভাংগে না।
272225
০৭ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১১:২৩
বুড়া মিয়া লিখেছেন : চিংড়ীর মতো কশাইন্যা কাকড়া বড়ই সুস্বাদু, তবে বেশী খাইলে শরীর গরম হইয়া যায়!

আমি একবার না দুইবার খাইছিলাম কশাইন্যা, সাংঘাতিক জিনিস ...
272226
০৭ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১১:৩১
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : কাঁকড়া অবশ্য আমি খাই!!!
কোন হিন্দু বন্ধু কে কখনও কুরবানির গোস্ত অফার করিনি। কিন্তু অনেক বন্ধু নিজের থেকে এসে খেয়েছেন। আমি কখনও পূজার সময় কোন হিন্দু বন্ধুর বাড়িতে গেলে সরাসরি বলেছি প্রসাদ ছাড়া অন্য মিষ্টি দিতে পারে। কেউ এ নিয়ে মন্তব্য করেনি।
272256
০৮ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১০:১১
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আর আমি অমুসলিমদের সাথে বন্ধুত্ব করিনি,দূর থেকে উপদেশ,নসিহৎ করেছি। দুএকজন কাছের ছিল,তাদের সাথে পার্থক্য বজার রাখতাম...তবে কাকড়া খেয়েছি,কখনও তেমন একটা ভাল লাগেনি...
272321
০৮ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৫:০৩
আফরা লিখেছেন :


রান্না করা আছে সবাই মিলে খেয়ে দেখেন মজা আছে ।
272509
০৯ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০১:৫২
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : তাছা প্রত্যেক ধর্মেরই নিজস্ব ভাবধারা রীতিনীতি আছে, আছে বাধ্যবাধকতা। এই মুহূর্তে যদি গোস্ত খাইতে বলি, আর যদি না খান তাহলে কি আপনাকে আমি গালাগালি করবো, গোড়া মুসলিম বলে কটাক্ষ করবো! মোটেও তা নয় ভাই বরং খমা চাব অনাকাঙ্ক্ষিত অফার করার জন্য!-

যথাচিত জবাব। লিখাটী বেশ ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File