কারামতে কুরবানি... :-P
লিখেছেন লিখেছেন জোস্নালোকিত জ্যাস ০৫ অক্টোবর, ২০১৪, ০৩:১২:৪০ রাত
গতকাল গ্রামে এক পড়শী বাড়ি থেকে কুরবানির গরু চুরি হয়ে গেছে। ঘটনাটি উদ্বেগজনক কারন, অই গরুটি ওরাই পুশতো আদিয়ার হিসেবে। অতপর মালিক হাটে তুলে বিক্রির উদ্দেশ্যে। অই হাটে একই গ্রামের আরও চার ব্যক্তি সহ পানলকারী ও মালিক মিলে মোট ছয় জন ভাগে অই গরুটি খরিদ করে কুরবানির উদ্দেশ্যে। গরু কিনে আবার অই আদিয়ার লোকের কাছেই রাখতে দেওয়া হয়।কিন্তু উক্ত গরু লাপাত্তা হয়ে গেল গতরাতেই......
গরু খোয়া যাওয়ায় রীতিমত তোলপাড়। সকালে পাড়াপড়শির শালিস ডাকা হল। বয়স্ক আদিয়ার গরিব মানুষ, শুধুই ফ্যাল ফ্যাল করে সবার কথার শুনতেছে আর কোত কোত করে গিলতেছে।সবাই পরিশেষে আবার একটি গরু খরিদের সিদ্ধান্ত নিল কিন্তু কে দেবে টাকা আবার ??
বৃদ্ধ কিছুই বলতে সাহস পাচ্ছিল না। সবাই বুঝে গেল যে বৃদ্ধ আর কেনার সামর্থ্য নাই। পশু ক্রয়কারী ব্যক্তিদের মধ্যে নিসাব পরিমাণ অর্থ পাচ জনেরই আছে, এই বৃদ্ধ বাদে। সুতরাং অই পাচ জনের উপর কুরবানী করা ওয়াজিব হয়েছে।
এখন ক্রয় করা জন্তু মরে গেলে বা হারিয়ে গেলে আর একটা জন্তু ক্রয় করে কুরবানী করতে হয় এটাই নিয়ম। তাই তারা কুরবানি করবেই। কিন্তু পেজগিটা লাগছে যে অই পাচ জন এখন বৃদ্ধকে ছাড়া কুরবানি দিবেই না।পাচ জনের একজন তার টাকা সেরে দিতে চাইলেও বৃদ্ধ অনিচ্ছুক। তেনার কথা এমনিতেই অনেক খতি করে দিয়েছে, আর নয়!
হাতে সময়ও নাই যে দুই একদিন চিন্তা করে কিছু একটা উপায় বের করবে। আলোচনা দুপর গরিয়ে বিকেলে পর্যন্ত গড়ালো তবুও রাজি করানো গেল না। সবাই মন খারাপ করে কুরবানিই না করার সিদ্ধান্ত নিল!
সন্ধ্যায় অই পাচ জন এক ব্যাপারির থেকে আরেকটি গরু কিনে নিয়ে একজনের বাড়িতে নিয়ে রাখলো। বুড়া শুনে খুশি হল।যাইহোক পরিশেষে সব ঠিকঠাক হল।
কিন্তু এশার সময় আরেক কান্ড। নদীর চড়ে গরুটাকে খুজে পেল লোকজন। চোর ভোরের আগে নদী পার হতে পারেনি বলে রেখে পালাইচে। অই গরুকেও আনা হল।
দশটায় আবার মিটিং ডাকা হল। অই পাচ জনের ভিতর তিন জন পরের গরুটা কুরবানি না করে বেচে দিতে চাইলো। কিন্ত দুই জন বললো না দুটাই হোক.......
মিটিংটি রাত্রি গভীর পর্যন্ত চলিয়াও সমাধান টানা গেল না...আগামীকাল আবার ভোর থেকে শুরু হইবে............ :-/ :-/
বিষয়: বিবিধ
১০৫৮ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন