যারা একজন ইসলামী আন্দোলনের নেতাকে গ্রেফতার করা হলে উল্লাসে ফেটে পরে তাদের তরে......

লিখেছেন লিখেছেন জোস্নালোকিত জ্যাস ১১ আগস্ট, ২০১৪, ০৪:২৫:৩১ রাত

গতকাল সন্ধ্যা থেকে আজ দুপুর অব্দি ডজন তিনেক ফোন এসেছে। সবাই প্রথম প্রশ্নেই বলেছেন জাব্বার ভাইকে নাকি গ্রেফতার করলো? তাদের যখন ভূল ভাঙিয়ে দিয়ে জানালাম যে সাবেক সিপি মাসুদ ভাইকে সহ উনিশ জনকে গ্রেফতার করেছে ।তখন অনেকেই কিছুটা সস্তি পেয়েছে। আবার তন্মধ্যে কিছু বন্ধু টাইপের মানুষের যেন একটা ঈদের খুশি পানসে হয়ে গেল।কি মানুষিকতা দেখুন, একজন ইসলামী আন্দোলনের নেতাকে গ্রেফতার করলে ওরা উল্লাসে ফেটে পরে, ঈদের চাদ হাতে পায়।

ছাত্রদলের এক নেতাতো আফসোস করে বলেই ফেললো, 'ধূর, ধরেনি কেন?' তেনার ধূর বলে আফসোস করারই কথা, কারনটাও জানি। হারানো জৌবন ফেরাতে যেমন মানুষ অসুধের দারস্থ হয়, বরাবরের মতোই তারা এবারও এসি ঘরের আন্দোলনের জন্য জামায়াত শিবিরকর্মীদের জীবন চায়।

বন্দুকের নল দিয়ে যারা মসনদে বানায় ও যারা অপরের ঘাড়ে কাঠাল ভেঙে খায় সেই সব মুনাফিক জালেমদের তরে দুটি কথা.....

দুনিয়ার বুকে যদি একটি ছাগল অন্যায়ভাবে আরেকটি ছাগলকে শিং দিয়ে সামান্য আঘাতও করে থাকে তবে পরম শক্তিমান রোজকিয়ামতে অই দু’টি ছাগলকেই জীবিত করে জুলুমের শিকার নির্বাক প্রাণীকেও সুযোগ করে দেবেন শিংধারী ছাগলকে আঘাত করে তার প্রতিশোধ নিতে। আল্লাহ যদি সামান্য অবলা প্রাণীর বেলায় এমন সুক্ষ হন তবে সৃষ্টির সেরা মাখলুকাত মানুষের ক্ষেত্রে কি পরিমাণ কঠোর হবেন। সৃষ্টির সেরা জীব মানুষের ক্ষেত্রে জালেম-মজলুমের হিসাব নিকাশ কতোটা নিখুঁত ও ভয়াবহ হবে তা সহজেই অনুমেয়।

প্রতিপক্ষ জালিম আর সহযোগী মুনাফিক হোক দুটাই আল্লাহর দরবারে সমান ভাবে প্রশ্নবিদ্ধ, সমান জালেম। আল্লাহ তায়ালা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন 'তিনি জালেম মুসলমানের বিপক্ষে মজলুম কাফেরকেও সাহায্য করেন। তবুও তিনি জালেমকে কোনো ছাড় দেন না..........

বিষয়: বিবিধ

১১৩০ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

253100
১১ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৫:১১
কাহাফ লিখেছেন : মুমিনেরা নেবে নাকো বিশ্রাম..............।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File