কিভাবে এল আমাদের শহীদ দিবস .....ইসলামী ছাত্রশিবিরের .....!!!
লিখেছেন লিখেছেন জোস্নালোকিত জ্যাস ০৮ মার্চ, ২০১৪, ০২:১৭:৫৯ দুপুর
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির একটি ছাত্র সংগঠন। স্বাভাবিকভাবেই যেখানে ছাত্র ,সেখানেই শিবির। বাংলাদেশের সকল
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব ভালো ছাত্রদের
দৃষ্টিআকর্ষণ করতে কর্মসূচি নেয় শিবির।
জন্মের ক’দিনের মাঝে সব বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্যাম্পাসে ও হলে কাজ শুরু করে। ’৮২ সালের ১১ই মার্চ। ইসলামপ্রিয় জনতার জন্য এক শোকাবহ দিন। ’৮২ সালের এ
দিনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্বর লাল হয়েছিল ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের
রক্তে। শাহাদাতের অমৃত সুধা পান করেছিলের চারজন শিবিরকর্মী শাব্বির, হামিদ, আইয়ুব ও জব্বার।
১১ মার্চ ছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের নবাগত সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। আগের দিন ১০ই মার্চ বুধবার। সেদিন থেকেই মূলত শিবিরের এ কর্মসূচিকে বানচাল করার একটি হীন ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে উদীয়মান শক্তি হিসেবে শিবিরকে সহ্য করতে পারলো না বাতিলপন্থীরা।
১১ তারিখের অনুষ্ঠানের প্রচারের কাজে ব্যস্ত শিবিরকর্মীদের ওপর হঠাৎ করে চড়াও হলো ছাত্র ইউনিয়নের পরিচয় বহনকারী একদল
দুস্কৃতকারী। শিবিরকর্মীদের হাত থেকে কেড়ে নিলো প্রচারপত্র। বল প্রয়োগ করতে লাগলো প্রচারকার্য বন্ধ করার জন্য। কিন্তু ধৈর্য ও সহনশীলতার মাধ্যমে পরিস্থিতির মোকাবেলা করলো শিবিরকর্মীরা। আহত হলো কয়েকজন শিবিরকর্মী।
১১ মার্চ সকাল থেকেই নবাগত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের জন্য জোর প্রস্তুতি চলছে। চারদিক থেকে শিবিরকর্মী ও সাধারণ ছাত্ররা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য ছুটে আসতে লাগলো। আর এ অনুষ্ঠানের অদূরেই শহীদ মিনারে আরও একটি জমায়েত লক্ষ্য করা গেল। তাদের হাতে হাতে লাঠিসোটা, রামদা, বল্লম, হকিস্টিক, রড। শিবিরের কর্মসূচির সাথে একই সময়ে একটি সাংঘর্ষিক কর্মসূচির আয়োজন করেছে তারা। কেবলমাত্র শিবিরের প্রোগ্রাম বানচালের জন্যই এ কর্মসূচি। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রলীগ (ফ-চু) (মু-হা) বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নসহ অন্যরা তথাকথিত সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে তার উদ্যোগে এ সমাবেশের আয়োজন করেছিল। ছ্ত্রা ইউনিয়ের নেতৃত্বে তারা ছোট ছোট গ্র“পে বিভক্ত হয়ে বারবার গোলযোগ বাধাতে চেষ্টা করে। প্রতিবারেই শিবিরকর্মীরা তাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়।
ইতোমধ্যে বাইরে থেকে তারা কয়েকটি বাসবোঝাই করে পাঁচ-ছয়শত সশস্ত্র গুণ্ডা এনে শিবিরকর্মীদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। তাদের হাতে ছিল রামদা, ভোজালি, ছোরা, বল্লম, হকিস্টিক ও লোহার রড। হিংস্র হায়েনার মতো শিবিরকর্মীদের ওপর অতর্কিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে তারা। আদিম উন্মত্ততায় শিবিরকর্মীদের নির্মমভাবে ছুরি, বল্লম, রামদা, ভোজালির আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করে। শুরু হয় তাদের ওপর ইট-পাথর বৃষ্টিবর্ষণ। আত্মরক্ষার জন্য শিবিরকর্মীরা এদিক সেদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। কিন্তু পৈশাচিক উন্মত্ততায় মেতে ওঠা নরঘাতকেরা তাতেও নিরস্ত্র না হয়ে পিছু ধাওয়া করে নির্দয়ভাবে প্রহার করতে থাকে। অনেক শিবিরকর্মী আত্মরক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের অফিসে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন মুখচেনা শিক্ষক দেখিয়ে দিলেন শিবিরকর্মীদের। সেখানেও জোর করে দরজা ভেঙে ঢুকে পড়ে সশস্ত্র ঘাতকেরা। বদ্ধ ঘরের মধ্যে নিরস্ত্র কর্মীদের বেধড়ক পেটানো ও ছুরিকাঘাত করা হয়। ইটের ওপর রেখে ইটের আঘাতে চূর্ণ-বিচূর্ণ করা হয় শিবিরকর্মীর মাথা। এক পৈশাচিক বর্বরতার শিকার শিবিরকর্মীদের রক্তে এনসিসি ক্যান্টিনের মেঝে, চেয়ার, টেবিল, দেয়াল সব কিছু লালে লাল হয়ে যায়।
ঘটনার কয়েকদিন পরও সেখানে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ শিবিরকর্মীদের ত্যাগের
মহিমা জানিয়ে দিচ্ছিলো। এত বড় একটি ঘটনা ঘটলো, আহত হলো অর্ধ শতাধিক শিবিরকর্মী কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নীরব। পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছাকাছিই ছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় হামলাকারীদের বাধা দিতে পারেনি।
সকাল ১১টায় সংজ্ঞাহীন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলো শাব্বির, আইউব আলী ও মামুনুর রশীদকে। তাদের সাথেই হাসপাতালে ভর্তি হলো অন্যান্য আহত শিবিরকর্মীরা। শহরের সর্বত্র ছড়িয়ে গেছে এ পৈশাচিক বর্বরতার সংবাদ। বিষাদের ছায়া নেমে এলো রাজশাহীর জনগণের মধ্যে।
দলে দলে ছাত্র, শুভানুধ্যায়ী, সাধারণ মানুষ হাসপাতালের দিকে ছুটে চললেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অচেতন অবস্থায় নিয়ে আসা আলীর মুখ হকিস্টিক আর রডের আঘাতে ফুলে এমন হয়ে গেল যে তাঁকে চেনাই যাচ্ছিল না। তাঁর পেটেও ছুরির আঘাত ছিল।
সকাল সাড়ে ১১টায় হাসপাতালে কান্নার রোল উঠলো। শাব্বির আহমদ শাহাদাত বরণ করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। সকাল ১১টায় সোনালী ব্যাংকের নাইটগার্ড শহীদ শাব্বিরের পিতা জামিল খান খবর পেলেন তাঁর ছেলেসহ অর্ধশতাধিক
শিবিরকর্মী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ছুটে এলেন তিনি দ্রুত সাইকেলে চেপে। হাসপাতালে এসেই পিতার চোখ যা প্রত্যক্ষ করলো তা তিনি সইতে পারলেন না। তাঁর দু’চোখ বেয়ে বয়ে চললো অশ্র“ ধারা। তাঁর স্নেহের বড় ছেলে শাব্বির শহীদ হয়েছে। শহীদ শাব্বির আর কখনও ডাকবে না ‘আব্বা’ বলে। জামিল খান মুনাজাত করলেন ‘হে আল্লাহ এমন ছেলের পিতা হওয়ার গৌরবে আমি শোকর করছি তোমার দরবারে। আমার ছেলের শাহাদাত কবুল করে নাও।’
রাতেই রাজশাহী উপশহর মসজিদের পাশের মাঠে অনুষ্ঠিত হয় শহীদ শাব্বিরের নামাজে জানাজা। গর্বিত পিতা নিজেই শহীদ পুত্রের জানাজার ইমামতি করলেন। হাত উঠালেন আল্লাহর দরবারে। শহীদ পুত্রের রূহের মাগফিরাত আর আহত কর্মীদের সুস্থতার জন্য দোয়া করলেন প্রাণভরে।
রাত ৯টায় শহীদ শাব্বিরের নামাজে জানাজা হতে ফেরত আসা কর্মীরা হাসপাতালে এসে আরো একটি দুঃসংবাদ শুনলেন। আহত আবদুল হামিদ শাহাদাত বরণ করেছেন। কান্নায় ভেঙে পড়লেন সব কর্মী, শুভাকাংখী।
পরদিন। ১২ই মার্চ, শুক্রবার রাজশাহী মাদ্রাসা ময়দানে অনুষ্ঠিত হলো শহীদ হামিদের নামাজে জানাজা। শত শত লোক জানাজায় হাজির হলেন। জানাজার আগে শোকার্ত কর্মী ও জনগণের উদ্দেশে বক্তব্য রাখলেন শিবিরের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সভাপতি জনাব মাওলানা মুহাম্মদ আবু তাহের। অন্যায়ের প্রতিবাদ ও রক্তাক্ত জনপদ হিংস্রতার বিরুদ্ধে ফেটে পড়া রাজশাহীর আপামর ছাত্র-জনতা বিকেলের দিকে বের করেন এক মিছিল। শাহাদাতের এ খবর
ছড়িয়ে পড়ে দেশময়। দেশব্যাপী প্রতিবাদ দিবস পালন করা হয় এদিন। মসজিদে মসজিদে দোয়ার অনুষ্ঠান হয। বায়তুল মোকাররমে বাদ জুমআ গায়েবানা জানাজা হলো। হাজার হাজার ছাত্র-জনতার এক বিশাল প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হলো সেদিন। ঢাকার রাজপথে নেমে আসে প্রতিবাদী ছাত্র-জনতার বিক্ষুব্ধ বিক্ষোভ মিছিল। শ্লোগান উঠতে থাকে চট্টগ্রামসহ দেশের বড় বড় শহরের বিরাট বিরাট মিছিল থেকে। চারদিকে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের এক প্রবল ঝড় শুরু হয়। আর সারা দেশের তৌহিদবাদী জনতা তখনও শহীদদের অন্যান্য সঙ্গীদের সংবাদ জানার জন্য উদ্গ্রীব হয়ে থাকলো।
শুক্রবার বিকেলে পুত্রের আহত হওয়ার সংবাদ শুনে কুষ্টিয়ার আলমডাঙ্গা থেকে ছুটে এলেন আইয়ুবের পিতা আইজউদ্দিন। আইয়ুবের অবস্থা দেখে ডুকরে কেঁদে ওঠেন তিনি। অনেক কষ্টে তাঁকে সরিয়ে নেয়া হলো। শোকাহত পিতার কণ্ঠে চিৎকার উঠলো, ‘কী অপরাধ করেছিল আমার ছেলে? আমি ওর মাকে গিয়ে কী বলবো? ওর মা তো এ খবর শুনে বাঁচবে না।’
রাত ১০টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে ঘোষণা এলো আইয়ুব শাহাদাত বরণ করেছেন। তার পিতা আইজউদ্দিন তখন শহরের অন্য প্রান্তে তাঁকে ঘিরে রাখা লোকদের কাছে জানতে চাচ্ছিলেন তার ছেলের আঘাত খুব বেশি কি না? তখনও তিনি জানেন না তাঁর বড় ছেলে আইয়ুব আলী আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেছেন। বেহেশতের পথে পা বাড়িয়েছেন।
একে একে তিনজন ভাই শাহাদাত বরণ করলেন, ঝরে গেল তিনটি ফুটন্ত ফুল। ১৩ তারিখের পত্র-পত্রিকায় এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রায় সব ক’টি রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন সংগঠন ও বুদ্ধিজীবী মহলের বিবৃতি ছাপা হলো। অধিকাংশ পত্রিকায় সম্পাদকীয় লেখা হয় এ নারকীয় হত্যাকাণ্ডের ভয়াবহতা উল্লেখ করে। পত্রিকার পাতায়, মিছিলে, প্রতিবাদ সভায় সর্বত্র হত্যাকাণ্ডের জন্য বিশেষভাবে দায়ী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর মোসলেম হুদার অপসারণের দাবি ওঠে। ঘটনার দিন এ ব্যক্তির একটি মাত্র আদেশের অভাবে পুলিশ ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারেনি, বাধা দিতে পারেনি দুষ্কৃতকারীদের।
এরপর একে একে পার হয় ন’টি মাস। শহীদ শাব্বির, হামিদ, আইয়ুরের সাথে আহত ভাইয়েরা অনেকেই সুস্থ হয়ে উঠছেন। নতুন উদ্দীপনা নিয়ে এগিয়ে চলছে আল্লাহর পথে। আব্দুল জব্বার তখনও আহত অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। কিন্তু, আল্লাহর প্রিয় বান্দার বেশি দিন অপেক্ষা করতে হলো না। ডাক এসে গেল প্রভুর দরবারে।
২৮শে ডিসেম্বর, রাত ১১টা ৪০ মিনিটে শাহাদাতের স্বাদ নিয়ে মৃত্যুবরণ করলেন শহীদ আব্দুল জব্বার। ১১ই মার্চের পৈশাচিক বর্বরতার শিকার আরেকটি ফুটন্ত গোলাপ ঝরে পড়লো। আবারো শিবিরকর্মীদের জিহাদী চেতনায় নাড়া দিল শাহাদাতের প্রেরণা। শিবির তার কর্মীদের শাহাদাতের মধ্য দিয়ে দেশের মাটিকে আরও উর্বর করলো। ২০৯ জন ভাই এ পর্যন্ত আমাদের শাহাদাতের অমিয় সুধায় নাম লিখিয়েছেন।
যাইহোক একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে যে বর্বর শক্তি তার পৈশাচিকতার পরিচয় দিয়েছে তাদের শাস্তির দাবি উঠলো। দাবি উঠলো- খুনিদের ফাঁসি চাই। দাবির প্রেক্ষিতে অনেক বিলম্বে হলেও দায়সারা গোছের একটি বিচার সংঘটিত হয়েছে। দোষীদের বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান হয়েছে। কিন্তু তারা আদালতকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে।
প্রতি বছরই ১১ মার্চ আসবে। আসবে পরের দিনটিও। আর এদেশের তৌহিদবাদী জনতার মনের পর্দায় ভেসে উঠবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রক্তে রঞ্জিত মতিহার চত্বর, গা শিউরে দেবে এনসিসি ক্যান্টিনে অবরূদ্ধ শিবিরকর্মীদের ওপর সংঘটিত লোমহর্ষক নির্যাতনের কাহিনী, প্রতিটি হৃদয়ে হাহাকার করে উঠবে চারজন শহীদের অনুপস্থিতির বেদনা। কিন্তু থম্কে দাঁড়াবে না সংগঠন, পিছপা হবে না কাফেলার সৈনিকগণ। শহীদের রক্ত-রঞ্জিত পথ ধরেই এগিয়ে যাবে এ কাফেলা। কিন্তু বেদনাদায়ক যে, আদালতের
সে শাস্তি আর কার্যকর হয়নি। ৮৪ সালে স্বৈরাচারী এরশাদের সাথে আওয়ামী লীগের
সংলাপের সময় শাস্তি মওকুফকে শর্ত দিয়ে বসে। এরশাদ-হাসিনার আঁতাতের ফলে খুনিরা হত্যার শাস্তি থেকে রেহাই পায় এবং আরো হত্যাকাণ্ডে মেতে ওঠে।
কত শহীদ রক্ত দিলো তবু কেন তোমার বিবেক কথা বলে না?
বাংলাদেশে হত্যা, খুন ও নির্যাতনের রাজনীতির সূচনা যারা করেছেন তাদেরই নিষ্ঠুর
সহযোগিতায় শিক্ষাঙ্গনেও খুনের রাজনীতি ছড়িয়ে পড়ে। হীন রাজনৈতিক স্বার্থের কারণে খুনিদের ছেড়ে দেয়া হচ্ছে বারবার। এর ফলে উৎসাহিত হচ্ছে হত্যা-সন্ত্রাসে অভ্যস্ত অপশক্তি। আজ বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গনসমূহ বন্দী হয়ে পড়েছে একদল অপশাসক ও সন্ত্রাসী ছাত্র নেতৃত্বের হাতে। অছাত্র আদুভাই এসব তথাকথিত নেতারা ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে কোনো ভালো কাজের উদাহরণ পেশ করতে পারছে না, বরং এরা হচ্ছে মেধাবী ও ভালা ছাত্র-ছাত্রীদের চোখে বিভীষিকা।
এখনই আমাদের বিবেককে জাগ্রত করার সময়। চুপটি করে বসে থাকলে চলবে না। শহীদ দিবসের চেতনায় শাণিত হওয়ার এটাই সময়। হয় আমরা আল্লাহর পথে লড়াই করতে করতে শাহাদাতের অমিয় সুধা পান করবো না হয় আমাদের পদভারে শহীদদের রক্তে রঞ্জিত মোতিহার চত্বরসহ সারা দেশের সকল ক্যাম্পাসে কলেমার পতাকা পত পত করে উড়বে।
যতদিন ১১ই মার্চ আসবে ততদিন শহীদ দিবস আমাদের চেতনাকে শাণিত করবে। আসুন
আমরা শাহাদাতের জজবায় উদ্বুদ্ধ আলোকিত মানুষের পক্ষ নিই, হত্যা, সন্ত্রাস ও খুনের রাজনীতিকে প্রত্যাহার করি।
শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করার মধ্যে দিয়ে দ্বীনের বিজয়ের পথে এগিয়ে যাই।আল্লাহ আমাদের ভাইদের রেখে যাওয়া কাজ কে আঞ্জাম দেওয়ার তৌফিক দিক। সর্বোপরি আন্দোলনের প্রত্যেকটি জনশক্তিকে কবুল করুক!!
বিষয়: বিবিধ
১০৩৭ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সত্যিই যদি পড়তে তাহলে তোমার অশ্রু জলে শিক্ত হতে....এমন কমেন্ট না এসে তখন আসতো অন্য কমেন্ট. ....
মন্তব্য করতে লগইন করুন