সালাফী কারা, এদের চিনে রাখুন-

লিখেছেন লিখেছেন সময়ের কন্ঠ ০৯ জুলাই, ২০১৬, ১১:৫৬:২২ সকাল



১। শিয়া, সুন্নি, কাদিয়ানী, দেওবন্দী, বেরেলভী, তাবলিগী, সুফিবাদী, আগাখানী, আহলে হাদীস, ন্যাচারিয়া, এনায়েতপুরী, আটরশী, চন্দ্রপুরী, দেওয়ানবাগী, রাজারবাগী, মাইজভান্ডারী, রেজাখানী- এর মত এটাও একটা বাতিল ফেরকা। সিরিয়ার অধিবাসী ইবনে তাইমিয়া এই ফেরকার সৃষ্টিকর্তা। প্রথমদিকে সালাফীরা আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতভুক্ত হাম্বলী মাযহাবপন্থী হিসাবেই নিজেদের পরিচয় দিতেন। পরবর্তীতে নজদের অধিবাসী ইবনে আবদুল ওহাব নজদী এটাকে অনেক ঘষামাজা করে একটা পরিবর্তিত ফেরকার সৃষ্টি করেন। আর এর অনুসারীরাই হলেন বর্তমান সালাফী। সালাফীরা সৌদি রাজতন্ত্রের আনুকুল্যে নিজেদের মতবাদকে ‘প্রকৃত ইসলাম’ বলে দুনিয়াব্যাপী প্রচার প্রচারনা চালিয়ে আসছেন। বলাই বাহুল্য, সালাফী মতবাদ আগাগোড়াই রাজতন্ত্র-বান্ধব একটা মতবাদ।

২। তৎকালীন হক্কানী-উলামায়ে কিরাম ইবনে তাইমিয়া ও তার অনুসারীদেরকে মুরতাদ বলে ঘোষণা করেছিলেন। ইবনে তাইমিয়া তার এক বয়ানে বলেছেন- উমর ইবনুল খত্তাব জীবনে বহু ভুল করেছেন। আলী ইবনে তালিব জীবনে তিনশত ভুল করেছিলেন। (নাঊযুবিল্লাহ) ফলতঃ ইবনে তাইমিয়া একাধিকবার গ্রেফতার হয়ে অতঃপর ৭২৮ হিজরী মতান্তরে ২৭শে সেপ্টেম্বর ১২২৮ ঈসায়ীতে মৃত্যুমুখে পতিত হন। ইবনে তাইমিয়ার শিষ্য ইবনে কাছিরও তাইমিয়ার মতাদর্শ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।

৩। সালাফীদের কিছু পজিটিভ দিক রয়েছে। তারা মাজারপূঁজার বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেন। শিরক বিদআতের বিরুদ্ধেও এদের অবদান আছে (যদিও তাতে অনেক বাড়াবাড়িও আছে)। তারা নিজেদের ১০০% হাম্বলী, ১০০% শাফেয়ী, ১০০% হানাফী, ১০০% মালেকী বলে পরিচয় দেন। অর্থাৎ তারা সকল মাজহাবকেই সম্মান করেন।

৪। সালাফীরা সকল কথাবার্তাই দলীল ভিত্তিক বলেন। তবে তাদের অনুকুলে থাকা দলীলগুলোই কেবল তারা পেশ করেন। বিপরীত মতকে প্রকাশ করেন না। যেমন, ইয়াজীদকে রাহমাতুল্লা বলার ক্ষেত্রে তারা ইমাম গাজ্জালীর দলীল পেশ করেন। কিন্তু ইমাম গাজ্জালীর চাইতেও অনেক বেশী মর্যাদার ইমামগণ যে এধরনের কথা বলতে নিষেধ করেছেন, সে দলীলগুলো তারা পেশ করেন না। ইয়াজীদের ক্ষমা প্রাপ্তি সংক্রান্তে এরা সহি বুখারীর শরীফের দলীল পেশ করেন। অথচ এটা যে অসত্য সে দলীল তারা পেশ করেন না। যেমন, রোম সাম্রাজ্যে প্রথম যে সেনাদলটি যুদ্ধ করবে, তাদের জন্য আল্লাহর তরফ থেকে ক্ষমা রয়েছে মর্মে বুখারী শরীফের হাদিস আছে এটা সত্য। তবে ইয়াজীদ যে প্রথম সেনাদলের নয়, সেটা এরা এড়িয়ে গিয়ে মানুষকে ধাঁধাঁয় ফেলে ফায়দা লুটেন। তারা কথায় কথায় দলীল পেশ করেন ঠিকই, তবে সেগুলো তাদের মতবাদের অনুকুলেরই দলীল। আর এই দলীল দিয়েই কেল্লা ফতে করলেন বলে তারা বগল বাজান। যদিও তাদের পেশ করা দলীলের বিপরীত দলীলের ভিত্তি এবং গ্রহনযোগ্যতা অনেক বেশী।

৫। সালাফীরা আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের মোড়কে রাজতন্ত্রের অনুকুলে সবকিছুকে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষন করেন। রাজতন্ত্রকে ইসলামী বলে প্রচারণা চালানোই এদের প্রধান লক্ষ্য। ইসলামী খিলাফতের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ইসলামী জাহানে প্রথম রাজতন্ত্রের প্রচলন করেছিলেন আমীর মুয়াবিয়া। আর সে কারনে এরা আমীর মুয়াবিয়ার একেবারে অন্ধ ভক্ত। সাহাবীর মর্যাদা বলতে এরা কেবল আমীর মুয়াবিয়া এবং তার সমর্থকদের মর্যাদাকেই বুঝে থাকেন। আর তাবেঈ বলতে বুঝেন ইয়াজীদকে। ইয়াজিদ বিরোধী সকল কর্মকান্ডকে শীয়াদের কাজ বলে প্রচার করেন। রাজতন্ত্রের অনুকুলে না গেলে কোন ইসলামী ব্যাখ্যাই এরা মেনে নেন না। এই মতবাদে বিশ্বাসী অনেক আলেম ও মুফতি রয়েছেন, যারা সবকিছুকেই রাজতন্ত্রের অনুকুলে তাদের ইসলামী ব্যাখ্যা পেশ করেন।

৬। রাজতন্ত্র টিকিয়ে রাখার প্রধান শক্তি ‘বিভাজন’-কে এরা যারপরনাই প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। মুসলিম আকিদায় বিশ্বাসীদের মাঝে শীয়া, সুন্নী ইত্যাদি বিভাজন করে রাখতে এরা অগ্রনী ভূমিকা পালন করে আসছেন।

[এখানে আল-কোরআনের আয়াতগুলো বিশেষভাবে উল্লেখ্যযোগ্য, ১. অ আতাছিমু-তাফাররকু।[৩: ১০৩] এবং তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জু (কোরান) মজবুতভাবে ধারণ করো। তোমরা দল-উপদলে বিভক্ত হইও না।

২. ইন্নাল্লাজীনা- ইয়াফ আলুন। [৬: ১৫৯] অর্থ: যারা ধর্ম সম্বন্ধে ভিন্ন ভিন্ন মতের সৃষ্টি করেছে/করবে ও দল উপদলে বিভক্ত হয়েছে/হবে, তাদের উপর আপনার কোনই দায়িত্ব থাকলো না/থাকবে না। তাদের দায়-দায়িত্ব আল্লাহর উপরেই ছেড়ে দিন। আল্লাহ তাদের কৃতকর্মের কৈফিয়ৎ তলব করবেন।

৩. মিনাল্লাজীনা-ফারিহুন। [৩০: ৩২] অর্থ: যারা ধর্মে মতভেদ সৃষ্টি করেছে/করবে ও দল উপ-দলে বিভক্ত হয়েছে/হবে, তারা নিজস্ব মতবাদ নিয়েই মত্ত রয়েছে/রবে।

অতীতের দল উপ-দলের ধর্ম বিভক্তকারীদের দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে আল্লাহ/রাছুল সতর্ক করে দিলেন:

৪. অলা- আজীম। [৩: ১০৫] অর্থ: তোমরা অতীতের মত হইও না। যারা তাদের নিকট স্পষ্ট বিধান আসার পরেও নিজেদের মধ্যে মত পার্থক্য করে দল উপ-দলে বিভক্ত হয়েছে; তাদের জন্য কঠিন শাস্তি রয়েছে।]

কাজেই বোঝা গেলো, ইসলামে ঐক্য ফরয আর বিভক্তি হারাম। যারা এই বিভক্তির কাজ যারা করেন তারা আল-কোরআনের বিরুদ্ধেই অবস্থান নেন। আর এটা সুষ্পষ্ট কুফরী।]

৭। রাজতান্ত্রিক দেশগুলোতে এই সালাফী মতবাদকেই প্রকৃত ইসলাম বলে প্রচার প্রচারণা চালানো হয়। সেখানকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ধর্ম প্রচারের কেন্দ্রগুলোকে এই মতবাদ দিয়েই সাজানো হয়েছে। তাদের মতবাদের বাইরের সকল কিছু শিরক-বিদআত এবং শিয়া-মতবাদ বলেই এরা প্রচার প্রগান্ডা চালান।

(চলবে)

বিষয়: বিবিধ

৩৬৫৪ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

374234
০৯ জুলাই ২০১৬ দুপুর ০২:০০
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আমার ব্লগিং বয়স প্রায় ৫ বছর। এমন মস্তিষ্কশূন্য লেখা দেখে শক খেলাম..আচ্ছা আপনি কি আলেম? যদি না হন তবে, আপনি কাউকে বাতিল করে ঘোষণা করার কে?? আপনি বলছেন সুন্নি একটি বাতিল ফেরকা, সুন্নি সম্পর্কে সত্যি কি আপনার নূন্যতম জ্ঞান আছে?? ইমাম ইবনে তাইমিয়া (র)সম্পর্কে আপনি কতটুকু জানেন?? তার মতো একজন আলিম যিনি তাতারীদের অগ্রযাত্রা রুখে দিয়েছিলেন, মিসর, আশ শামকে রক্ষা করেছিলেন মুসলিম সৈন্যদের ঈমানী চেতনা জাগিয়ে যারা পরাজয়ের ভয়ে, মৃত্যুভয়ে কোনঠাসা হয়ে পড়েছিল, যিনি নিজে সেই যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন- এমন একজন আলিমকে নিয়ে মিথ্যাচার করার মত সাহস আসে কথা থেকে আপনার? লোকমান বিন ইউসুপ আর মুফাস্সিল ইসলাম, ফখরুল এর চ্যালা নাকি আপনি? গাধাঁ কোথাকার
০৯ জুলাই ২০১৬ দুপুর ০২:০৩
310481
সময়ের কন্ঠ লিখেছেন : আপনার গালাগালই প্রমান করে আপনার জ্ঞানের বহর। সালাফী সম্পর্কে নেটে সার্চ দিন। আরো জানতে পারবেন। অন্ধকারের দিন শেষ।
০৯ জুলাই ২০১৬ দুপুর ০২:০৫
310482
সময়ের কন্ঠ লিখেছেন : আপনি সুন্নি বলেই সুন্নিকে অধিক প্রাধান্য দিচ্ছেন। শিয়ারাও তাদের ক্ষেত্রে তেমনটা করে। উভয়ই বাতিল ফেরকা।
০৯ জুলাই ২০১৬ দুপুর ০২:১৪
310483
সময়ের কন্ঠ লিখেছেন : মস্তিষ্কশূন্য লেখা কি আলেমরাই লিখেন? আর আলেমরাই বাতিল ঘোষণা করাতে পারবে এটা কোথায় পেয়েছেন? আমি বাতিল বলেছি কোরআনের আলোকে। কোরআনে বলা হয়েছে, যারা মুসলমান তাদের একমাত্র পরিচয় ‘মুসলিম’। আর কিছুই নয়। দলে দলে বিভক্ত হওয়া সবকিছুই বাতিল ফেরকা। এর জন্যে তথাকথিত আলেম হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই।
০৯ জুলাই ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:০৫
310492
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : বিশর ইবনে খালিদ (রঃ)...আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (সাঃ) বলেছেন, ৪ টি স্বভাব যার মধ্যে থাকে, সে মুনাফিক অথবা যার মধ্যে, এই ৪ টি স্বভাবের কোন একটা থাকে, তার মধ্যেও মুনাফিকীর একটা স্বভাব থাকে, যে পর্যন্ত না সে তা পরিত্যাগ করে। ১. সে যখন কথা বলে মিথ্যা বলে ২. যখন ওয়াদা করে ভঙ্গ করে ৩. যখন চুক্তি করে তা লংঘন করে। ৪. যখন ঝগড়া করে অশ্লীল ভাষা(গালি) ব্যাবহার করে (সহীহ বুখারী: হাদিস নং: ২২৯৭, পৃষ্টা:২৫৬ ৪র্থ খন্ড, পাবলিশার ইফাবা)
কাজেই আপনাকে গালি দিয়ে আমার মুনাফিক হবার কি এমন দরকার? গাঁধা যে গালি, এটা প্রথম শুনলাম। আমি জানতাম যাদের বুদ্ধি থাকার পরেও নির্বোধের মত কাজ করে, তাদেরকে গাঁধা বলা হয়। আমিও তার চেয়ে বেশি কিছু করিনি। যাক আপনি এটলাস্ট সত্যি কথাটা বলেই দিলেন যে, আপনার জ্ঞানের উৎস হল, গুগল। কি মহান গুণী ব্যক্তি আপনি যিনি ইসলামের ইতিহাস, কুরান-হাদিস, তাফসীর, ফিকাহ, আরবী গ্রামার ইত্যাদি না জেনেই কোন আলেমের তোয়াক্কা না করেই গুগল দেখে ইসলামিক বিশেষজ্ঞ হয়ে গেলেন। ইবনে তাইমিয়া (রঃ) এর মত সর্বজন শ্রদ্ধেয় একজন মুজতাহিদ আলিমকে পথভ্রষ্ট প্রমাণ করার কাজে লেগে গেলেন। যেন এই হাদিসটাই সত্যি প্রমাণ করছেন:-
#রসূল ﷺ বলেছেন: আল্লাহ তায়ালা তোমাদেরকে যে ইলম দান করেছেন তা হটাৎ করে ছিনিয়ে নেবেন না বরং ইলমের বাহক উলামায়ে কিরামকে তাদের ইলেমসহ ক্রমশ তুলে নেবেন। তখন শুধুমাত্র মূর্খ লোকেরা অবশিষ্ঠ থাকবে। তাদের কাছে ফাতওয়া চাওয়া হবে। তারা মনগড়া ফাতওয়া দিবে ফলে নিজেরাও পথভ্রষ্ঠ হবে,অন্যদেরকেও পথভ্রষ্ঠ করবে। (বুখারী, হাদিস নং: ৬৮০৯, অধ্যায় ৮১/ফিৎনা ও কিয়ামতের নিদর্শনসমূহ, পাবলিশার: ইফাবা)

# রসূল ﷺ বলেছেনঃ অবশ্যই কিয়ামতের পূর্বে এমন একটি সময় আসবে যখন সর্বত্র মূর্খতা ছড়িয়ে পড়বে এবং তাতে ইলম উঠিয়ে নেওয়া হবে। সে সময় হারজ- ব্যাপকতর হবে। আর হারজ- হল (মানুষ) হত্যা। (বুখারী: ৬৫৮৪, অধ্যায় ৮১- ফিৎনা, ইফাবা)
রাসূল ﷺ বলেছেন: শেষ যামানায় (কিয়ামতের পূর্বে) একদল তরুণের আবির্ভাব ঘটবে যারা হবে স্থুলবুদ্ধির অধিকারী। তারা নীতিবাক্যগুলো আওড়াতে থাকবে। তারা ইসলাম থেকে (এমন দ্রুত গতিতে ও চিহ্নহীনভাবে) বেরিয়ে যাবে যেভাবে তীর ধনুক থেকে বেরিয়ে যায়। তাদের ঈমান গলদেশ অতিক্রম করে (অন্তরে প্রবেশ) করবে না। ( বুখারী হাদিস নং: ৩৩৫৩, অধ্যায় ৫০/ আম্বিয়া কিরাম, ইফাবা)
সাবধান হোন হে জ্ঞানী দাবি করা ব্যক্তি।

#কাব ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রসুলুল্লাহ (সাঃ) কে বলতে শুনেছি "যে ব্যক্তি উলামাদের সাথে তর্ক করার জন্য, অথবা নির্বোধদের (মুর্খ) সাথে বাক বিতন্ডা করার জন্য, অথবা মানুষকে নিজের দিকে আকৃষ্ট করার উদ্দেশ্যে ইলম অধ্যয়ন করেছে, আল্লাহ তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।(সহীহ আত তিরমিযি, হাদিস# ২৬৫৪, হাদিসঃ হাসান)
সুন্নী যেটি আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াহ এর সংক্ষিপ্ত রূপ এই টার্মটা আপনি বুঝেন?? আরবী জানেন? তাফসীর? ইসলামের ইতিহাসের কতটুকু আপনি পড়েছেন? কি বলছেন হিসাব আছে?
এই লেখাটা পড়বেন নিজেকে মুফাস্সিল ইসলামের কাতারে নিয়ে যেয়েন না।
http://www.bd-desh.net/blog/blogdetail/detail/3557/warrior2013/73257#.V4D1Ad7bvR0
জাঝাক আল্লাহ
১০ জুলাই ২০১৬ দুপুর ০১:১৭
310537
সময়ের কন্ঠ লিখেছেন : গুগল কিছু লিখে না। খুঁজে দেয়। কোরআন হাদীস, ফেকা শাস্ত্র, ইসলামের ইতিহাস সব পাওয়া যায়। আপনার জানার অনেক ভুল আছে বলেই মনে হয়। সুন্নি একটা ফেরকা। কোরআন মানলে নিজেকে ‘মুসলিম’ পরিচয়ই দিতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে সেটা কুফরী। কোন আলেম কি বলল তাতে কিছু আসে যায় না। আমরা কোরআন-হাদীসের বাইরে যেতে পারি না।
১১ জুলাই ২০১৬ রাত ০১:৪৬
310573
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : সময়ের কন্ঠ মনে হয় সময়ের সুবিধা নিতে পোস্ট দিয়াছেন। যেহেতু পিস টিভি বন্ধ করতে আজ অপশক্তির চিৎকার উঠেছে!
১১ জুলাই ২০১৬ দুপুর ০৩:২৬
310586
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আচ্ছা একজন রুগী যদি ডাক্তারকে বলে, আপনি ডাক্তারীই বোঝেন না, ডাক্তার গুলা আসলেই সব বলদ। গুগলে সার্চ দিলে সব রকম মেডিকেল তথ্যাদি পাওয়া যায়, তাহলে ব্যাপারটা আপনার কাছে স্বাভাবিক শোনালেও অন্যদের কাছে হাস্যকরই ঠেকবে। আমার নানা ও বাবা দুজনই ছিলেন আলিম। মরহুম ডঃ আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর সম্পর্কে ছিলেন আমার খালু। তাই বড় হয়েছি ইসলামিক পরিবেশে। ছোটকালে বাবার কাছে কুরআন শিখেছি। ৩০ পারা সহ প্রায় দুপারার মত কুরআন আমার মুখস্ত। বাবার কাছে আরবী গ্রামার ও ভাষা শিখেছি। আমার বাবার সংগ্রহে নির্ভরযোগ্য কুরআন, হাদিস, তাফসীর, ফিকাহ, সীরাহ, ইসলামের ইতিহাস গ্রন্হের বিরাট সংগ্রহ ছিল ক্লাস ৮ থেকে এসব বই পুস্তক পড়ে শেষ করা ও তার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ জানার জন্য আমার বাবা-নানা ও আলিম আত্নীয়দের সাথে আলোচনা করা ইত্যাদি ছিল আমার কাছে নেশা। বিজ্ঞানের ছাত্র ছিলাম যদিও পরে বিজনেস স্টাডিজে চলে আসি। গত ৫ বছর আমার ব্লগিংয়ের প্রধান বিষয়ই ইসলাম। কাজেই একজন গুগল বিশেষজ্ঞ সত্য-মিথ্যার মিশ্রণে তৈরী নানান ওয়েবসাইট দেখে গুগলিয়ান রেফারেন্স দেখে যখন আমাকে বলে, আমি জানিনা, আমার জ্ঞান নেই, কারণ আমি গুগল ঘাটিনা, তখন আমি জানিনা, সেই ব্যক্তিকে কি বলা উচিত? আপনার প্রশ্নের উত্তর আমি আমার উল্লেখিত ব্লগে দিয়েছি। অহংকারী হলে এভাবেই ধ্বংস হন, যেভাবে আরেক গুগল ইসলামিস্ট মুফাস্সিল ইসলাম নিজে নিজেই মহাপন্ডিত হয়ে অবশেষে অহংকারে বিভ্রান্ত হয়ে এখন চরম ইসলাম বিদ্বেশীতে পরিণত হয়েছে, আর যদি খোলা মনের মানুষ হন, তবে চোখ প্রসারিত করুন, মনের অহংকার দূর করুন। কথায় কথায় মানুষকে কাফির ফাসিক ফতোয়া দেয়া অফ করুন, মনকে বড় করুন। নিজেকে এমন হাস্যকরভাবে উপস্হাপন করবেননা। আর কোন উত্তর পাবেননা। আল্লাহ আপনাকে সঠিক বুঝ দান করুক।
১৬ জুলাই ২০১৬ সকাল ১০:৩৭
310861
সময়ের কন্ঠ লিখেছেন : ইমাম তাইমিয়া যে-ই হোন, ফেরকার সৃষ্টিকারী হলে তিনি আর মুসলিম থাকেন না। এটা কোরআনের কথা। কেরআনের আয়াতগুলো ভাল করে পড়ুন, অন্ধকার আর গোঁড়ামী কেটে যাবে ইনশাল্লাহ। কোরআন জানতে আলেম হওয়ার কোন শর্ত নেই। এটা সকল মুসলমানেরই জানা ফরজ। আমি কোন লোকমান বিন ইউসুপ আর মুফাস্সিল ইসলাম, ফখরুল এর চ্যালা নই, সরাসরি কোরআনের চ্যালা। যে কোন ধর্মীয় ফেরকা সুস্পষ্ট কুফরী।
১৬ জুলাই ২০১৬ রাত ০৮:০৭
310880
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আমার লাস্ট কমেন্টটা ভাল করে পড়ুন। গুগল বিশেষজ্ঞ এসেছে আমাকে কোরআন বোঝাতে। এই আয়াতটা মনে পরছে, আল্লাহ একই আয়াত দ্বারা কাউকে বিভ্রান্ত করেন, আর কাউকে সঠিকপথ প্রদর্শন করেন। বস্তুত আল্লাহ ফাসিক ব্যতীত কাউকেই বিভ্রান্ত করেননা।
ইমাম ইবনে তাইমিয়ার মত আলিমকে যে অমুসলিম ঘোষণা করার মত দুঃসাহস দেখায় তাকে সোজা বাংলা ভাষায় বেয়াদব বলা ছাড়া আর কোন শব্দ পাইনা। আহংকারীরা নিজেদের গর্ত নিজেরাই খোড়ে।
১৭ জুলাই ২০১৬ দুপুর ১২:৫৫
310908
সময়ের কন্ঠ লিখেছেন : আপনি যেহেতু বেশী বুঝেন। তাই আপনাকে বোঝানো বৃথা। আপনি কোরআনের আয়াতকেও থুড়ি মেড়ে ফেলে দিলেন। এমনই তাইমিয়াভক্ত। সালাফীরা সালাফীই, ওরা মুসলিম নয়। কাজেই বিতর্ক করে সময় নষ্ট বৃথা।
374239
০৯ জুলাই ২০১৬ দুপুর ০৩:০৬
তট রেখা লিখেছেন : Bogus.
০৯ জুলাই ২০১৬ দুপুর ০৩:১৬
310484
সময়ের কন্ঠ লিখেছেন : আপনি সালাফী বুঝে নিলাম। বিবেককে প্রসারিত করার আবেদন রইল। একচোখা নীতি কাম্য নয়।
374245
০৯ জুলাই ২০১৬ বিকাল ০৫:০৫
সচেতন মুসলিম লিখেছেন : আপনি তো দেখছি সবাই কে বাতিল করে দিলেন। তাহলে সঠিক কোন দল? বলেন।
০৯ জুলাই ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:০৪
310490
সময়ের কন্ঠ লিখেছেন : কেবল মুসলিম।
374463
১২ জুলাই ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:২৫
কুয়েত থেকে লিখেছেন : আমি মুসলিম এটাই আমার একমাত্র পরিচয়। আল্লাহ আমাদের প্রভূ রাসুল(সাঃ) আমাদের নেতা আল্ কুরআন আমাদের সংবিধান নবীজির সুন্নাহ আমাদের পথের পাথেয়। আমি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত এর অনুসারী। এই আরব দেশে এসে দেখছি আমরা আমাদের দেশে ইসলামের নামে অনেক বিদয়াতের সাথে যুক্ত আছি। এখানে যারা সালাফী বলে নিজেদেরকে পরিচয় দেয় তাদের অনেক কিছুই ভালো লাগে তবে সালাফিরাও অনেক দলে বিবক্ত সবচেয়ে খারাপ লাগে রাজতন্ত্রের তথা শাসক গুষ্টির অন্ধ গোলামি যেটা ইসলাম অনুমোদন করেনা। বর্তমান সময়ে আমাদের সকল মুসলিম উম্মাহকে ইমাম ইবনে তাইমিয়ার অনুসরন করা উচিৎ বলে আমি মনে করি।
১৩ জুলাই ২০১৬ দুপুর ০৩:৫১
310727
সময়ের কন্ঠ লিখেছেন : সালাফী ইসলামের নামে একটা বাতিল ফেরকা।
১৩ জুলাই ২০১৬ দুপুর ০৩:৫৯
310728
সময়ের কন্ঠ লিখেছেন : মুসলমানদের ‘মুসলিম’ ছাড়া অন্য কোন ধর্মীয় পরিচয় সুষ্পষ্ট কুফরী।
১০ আগস্ট ২০১৬ রাত ০৩:০৩
311856
কুয়েত থেকে লিখেছেন : দুয়া রাখবেন জাঝাকাল্লাহ খইর।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File