সাবধান!!! ‘কারবালার’ সত্যিকারের ইতিহাস শেখানোর নামে যারা আপনাকে রাজতন্ত্রের গোলাম বানাতে চাইছে-

লিখেছেন লিখেছেন সময়ের কন্ঠ ২১ অক্টোবর, ২০১৫, ০৫:৪৫:৫৯ বিকাল

মহররম মাস এবং আশুরার অনেকগুলো ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও ফজিলত আছে, এটা সত্য কথা। কিন্তু আশুরার দিন সবচাইতে মর্মান্তিক ও পৈচাশিক ঘটনাটা ঘটেছিল কারবালায়। ইসলামী খেলাফত ব্যবস্থার বিপরীতে গিয়ে সাহাবী মুয়াবিয়া রাজতন্ত্র কায়েম করায় নবী দৌহিত্র হুসাইন তা সহ্য করেননি। তিনি বেরিয়ে পড়েন। মুনাফিক কুফাবাসীরাই তাকে প্রথম দাওয়াত করেছিল। কথা দিয়েছিল তারা সাথে থাকবে। কুফাবাসীর মুনাফেকীর কথা অনেক সম্মানীত সাহাবীরা আঁচ করতে পেরে হুসাইনকে কুফা যেতে নিষেধ করেছিলেন। তবে ঐসব সাহাবীরাও রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে ছিলেন। আর তা তো থাকতেই হবে। রাজতন্ত্র বা পরিবারতন্ত্র কোন ইসলামী ব্যবস্থা নয়। একদিকে কুফাবাসীর মুনাফেকী, অন্যদিকে ওবায়দুল্লাহ বিন-যিয়াদের নেতৃত্বে ইয়াজিদ বাহিনীর চরমতম নৃশংশতায় হুসাইন সপরিবারে শহীদ হলেন। এটা এতোই নৃশংস ছিল যে, হাজার বছর পরেও মুসলমানের চোখে অঝোর ধারায় অশ্রু ঝরে। অনেক নবী রসুল এবং সাহাবীরা হত্যার শিকার হয়েছেন। কিন্তু হুসাইনের প্রতি যে নৃশংসতা তা সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে। সাময়িকভাবে ইসলামী শক্তি পরাজিত হলেও, হুসাইনের রক্ত যুগে যুগে মজলুম মানুষকে মুক্তির পথ দেখাচ্ছে এবং রাজতান্ত্রিক পন্থার বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করে তুলছে। আর স্বভাবতই রাজতান্ত্রিক সরকার তাদের পক্ষে নানা দরবারী লোক যোগাড় করে তাদের প্রচারণা সে সময় থেকে আজ অবধি এক মুহুর্তের জন্যেও থামিয়ে রাখেনি। সেকালে মসজিদের খুতবায় হুসাইন এবং আলীর বিরুদ্ধে বিষোদগার করা হতো। মানুষের সচেতনার কারনে সেটা এখন আর নেই। তবে দরবারী আলেমরা ঠিকই কৌশলে তাদের প্রচার অব্যাহত রেখেছে। আমাদের এই বাংলাদেশেও তাদের এজেন্টদের প্রচার থেমে নেই। দরবারী আলেমরা তাদের আলোচনার শুরুতে এমন একটা ভাব দেখান, যাতে মনে হয়, তারা হুসাইনের পক্ষের লোক, তাদের অন্তরে হুসাইনের জন্যে মায়া রয়েছে। কিন্তু ধীরে ধীরে তারা তাদের খোলস থেকে বেরুতে থাকে।

আজ এখানে কয়েকজন বাংলাদেশী দরবারী আলেম নিয়ে সামান্য ঈঙ্গিত পেশ করবো।

আবু আহমাদ সাইফুদ্দীন বেলাল



তিনি শিয়াদের কিছু শিরক বিদআতকে পুঁজি করে শিয়াদের বিরুদ্ধে লিখতে গিয়ে কারবালার ইতিহাসকে খাটো করে ‘আশুরা ও কারবালা’ বইটি লিখেছেন। মুসলিম নামধারী এই কুলাঙ্গার তার উক্ত বইয়ের ৪০ নং পৃষ্ঠায় লিখেছেন, হিজরত ও জিহাদ ও বিপদে ধৈর্য্য ধারন তাদের (হাসান ও হুসাইন) ভাগ্যে জোটেনি, যা আহলে বাইতের অন্যান্যের নসীব হয়েছিল। (নাউজুবিল্লাহ) সে কারনেই নাকি শাহাদাতের মাধ্যমে তাদের ইজ্জত বাড়ানো হয়েছে। অথচ হিজরত এবং জিহাদ করেই তো হুসাইন জীবন দিলেন। এই কুলাঙ্গার তার উক্ত বইতে ইয়াজিদকে (রহঃ) বলে সম্বোধন করেছে।

ডাঃ জাকির নায়েক:



ইসলামের খেদমতে তার অবদান অনস্বীকার্য। তিনি একজন ভালো বক্তা এবং একটি টিভি চ্যানেলের মালিকও বটে। সৌদির রাজশক্তি তাকে প্রায়ই রাজ মেহমান করেন। আর্থিক সমর্তন তিনি পেয়ে আসছেন। সম্প্রতি এই দাঈ তার এক বক্তৃতায় ইয়াজিদের নাম উচ্চারনের সময় তাকে ‘রাহমাতুল্লাহি’ বলে সম্বোধন করায় বিশ্বব্যাপী সমালোচনার ঝড় উঠে। ধীরে ধীরে মুসলমানদের কাছে তার বক্তব্যের গ্রহনযোগ্যতা কমে আসে। আকাশ থেকে মাটিতে নেমে আসার মত অবস্থা হয় তার।



আবদুল্লাহ বিন বাজ (সৌদি আরব)





Click this link

বিষয়: বিবিধ

২১৬৯ বার পঠিত, ২৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

346707
২১ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:১৪
শেখের পোলা লিখেছেন : মুয়াবিয়া, এজিদ নিঃন্দেহে অন্যায় করেছে৷ তার শাস্তি আল্লাহ দিবেন৷ তবে মানতে দোষ নাই তারা সাহাবী ছিলেন৷ কোরআন তাদের মুনাফেক ইঙ্গীত করেনি যেমন করেছে আবদুল্লা ইবনে উবাইয়ের বেলায়৷ যদি সাহাবী মানি তবে রাজিআল্লাহু আনহু বলতে হয়৷ ইচ্ছা না থাকলেও৷ এটি আমার ব্যাক্তিগত যুক্তি৷ সঠিক বলে দাবী করিনা৷ধন্যবাদ৷
২২ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ১২:২৪
287960
সময়ের কন্ঠ লিখেছেন : এজিদ সাহাবী ছিলেন না। কারবালার ঘটনা ৬১ হিজরীর। কুরআনে বর্ণিত থাকার কথা নয়।
346748
২১ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১০:৫০
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : উপরের এই ছবিগুলো ফখরুল নামক পাগল ব্লগারের পোস্টে দেখা যায়। চিন্তার বিষয়!! ফখরুল কি শিয়া!?
২১ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১১:৫৬
287881
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ফখরুল মেবি কদিয়ানির মত আরেক গ্রুপের। দ্বীনে এলাহির মত সে হয়ত ফখরুল এলাহি টাইপের কিছু বাস্তবায়নের ধান্দায় আছে। ফেসবুক তার ফলোয়ার নেহায়েত কমও না।
২২ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ১২:৪০
287966
সময়ের কন্ঠ লিখেছেন : ছবিগুলো কে দিল সেটা কোন বিষয় নয়। ছবিগুলো সত্য নাকি মিথ্যা সেটাই মূখ্য। ফখরুল পাগল কি সুস্থ তা জানার কোন আগ্রহও আমার নেই।
২২ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০২:০১
287980
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : লেজ দেখেই বিড়াল চেনা যায়। আপনি যে কে সেটা বোঝা হয়েছে। শিয়াসাহেব।
২২ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩৭
288025
সময়ের কন্ঠ লিখেছেন : নাম লিখেছেন ‘জ্ঞানের কথা’। জ্ঞানের নাম গন্ধও আপনার মধ্যে আছে বলে মনে হয় না। কোন বিষয়ে আপনার জ্ঞান না থাকলেই বা লেখা আপনার পছন্দ না হলেই তাকে শিয়া বলে গালি দেয়া আপনার অভ্যাস মনে হচ্ছে। কোন মাদ্রাসায় পড়েন? আশা করি এর পর থেকে কোন বাজে মন্তব্য করবেন না। আমরা এখানে শিক্ষিত লোকের মন্তব্য আশা করি। অন্যকে হেয় করে এমন লোকদের ব্লক করা উচিত। অবশ্য আমার সে অভ্যাস নেই। আমি মতের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। কিন্তু সীমা লঙ্ঘন করলে ব্লক করতে বাধ্য হব।
২২ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১১:৩৩
288046
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : উচিত কথায় ফখরুল বেজার।
গরম ভাতে বিড়াল বেজার।

বেজার মানে মনখারাপ। আমার জ্ঞান নেই আর আপনি জ্ঞানের ওয়াশরুম। ব্লকমারেন আমাকে।
346760
২১ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১১:৫৪
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ভাইয়া এমনিতেই তো অনেক বিদ্বেশ, আরো বাড়িয়ে লাভ কি? ইসলামের রাজনৈতিক ও ঈমানি ভিত্তিই শুধুমাত্র ফেলাফত। রাজতন্ত্র, গণতন্ত্র, সৈরতন্ত্র সব হারাম, কাজেই সৌদির রাজতন্ত্রও হারাম। কিন্তু এভাবে টার্গেট করে কথা বলার চেয়ে কৌশলে কোরান-হাদিসের ব্যাখ্যা দিয়ে সত্যটা তুলে ধরাটাই সঠিক পন্হা এতে মানুষ আপনাকে প্রতিপক্ষ ভাববেনা।
২২ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ১২:২৬
287962
সময়ের কন্ঠ লিখেছেন : রাজতন্ত্রীদের বাড়াবাড়ির কারনে কলম ধরতে হলো। তারা ইয়াযীদকে ‘রাহমাতুল্লি’ বলা শুরু করেছে। হুসাইনের জন্যে সামান্যতম দরদ যাদের আছে, তারা তো বসে থাকতে পারে না।
346814
২২ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ১২:১৩
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : কথার মধ্যে রাফেজিয়াতের গন্ধ পাচ্ছি। যাই হোক, ইমাম হুসাইন (রাযি.), ইয়াজিদ ও কারবালার মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে আলোচনা করার পূর্বে সঠিক ইতিহাস নিশ্চয়ই পড়ে দেখেছেন। একটু বলবেন কি, রাসূল (সাঃ)-এর চাচাতো ভাই, যাকে বাহরুল ইলম বলা হতো, সেই আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযি.) কেন হুসাইন (রাযি.)কে বললেন, "মানুষের দোষারোপের ভয় না থাকলে আমি তোমার ঘাড়ে ধরে বিরত রাখতাম (কুফা যাওয়া হতে)।" (সুফিয়ান আস সাওরি হতে সহীহ সনদে) আরেক বিজ্ঞ সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রাHappy হুসাইনকে (রাযি.) বলেন "হুসাইন! কোথায় যাও? এমন লোকদের কাছে,যারা তোমার পিতাকে হত্যা করেছে এবং তোমার ভাইকে আঘাত করেছে?" তার মানে এরাও নাদান ছিলো? নাকি এনাদের মধ্যে ইসলামের দরদ ও স্পিরিট বিদ্যমান ছিলো না?
২২ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ১২:২৩
287959
সময়ের কন্ঠ লিখেছেন : ইতিহাস বলে কুফাবাসীর মুনাফেকীর আঁচ করতে পেরেই তারা হুসাইনকে বারন করেছিলেন। অন্য কারনে নয়।
২২ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ১২:২৮
287963
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : এবার বলুন, নিশ্চিত পরাজয় জেনেও জিহাদে রওনা দেয়ার মাসলা কি?
২২ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ১২:৪২
287967
সময়ের কন্ঠ লিখেছেন : ইতিহাস বলে কুফাবাসীর মুনাফেকীর আঁচ করতে পেরেই তারা হুসাইনকে বারন করেছিলেন। অন্য কারনে নয়।
আর রাফেজীয়াত কি ব্যাখ্যা করে জানালে ভাল হয়। আমার কোন আইডিয়া নেই।
২২ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ১২:৪৮
287971
সময়ের কন্ঠ লিখেছেন : নিশ্চিত পরাজয় জানলেন-- কোথায় পেলেন?
২২ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০১:১৬
287974
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : যেখানকার লোক আপনার বাবাকে হত্যা করলো, ভাইকে নির্যাতিত করলো, তাদের ভরসায় যুদ্ধে যাওয়ার মানে কি? তাদের মুনাফেক্বীর পুনরাবৃত্তি ও পরাজয়। যেটা বয়োবৃদ্ধ ও অভিজ্ঞ সাহাবাগণ উপলব্দি করতে পেরেই হুসাইনকে (রাযি.) বিরত রাখার চেষ্ঠা করেন। অন্যথায় জোরপূর্বক ক্ষমতা দখলকারীর বিরুদ্ধে জিহাদের প্রয়োজনীয়তা ও মর্তবা হুসাইনের চেয়ে তাঁরা কম অবহিত ছিলেন না।

রাফেজি বলতে আইম্মায়ে উলামা ঐ সকল আল্লাহর দুশমনদের বুঝিয়েছেন যারা সাহাবায়ে কিরামগণের ঈমানের উপর সন্দেহ পোষণ করে, উম্মাহাতুল মু'মিনীনগণের (রাযি.) চরিত্রের উপর কলঙ্ক আরোপ করে, খুলাফায়ে রাশেদার প্রথম তিন খলিফার খিলাফত অবৈধ মনে করে, ইমাময়্যিাতে (রাসূলের [সাঃ] পর ৫/৭/১২জন ইমাম দ্বীনের ব্যাপারে দায়িত্বশীল হওয়া, নিশ্বাস হওয়া, সাহিবে গঈব ও কাশফ হওয়া ইত্যাদি আরো আজাইরা ধারণা) বিশ্বাস করে, সাহাবী আমির মুআবিয়া (রাযি.)কে গালমন্দ করে, নিজেদের পরিচয় লুকাতে তাক্বিয়্যা (ইচ্ছাকৃত মিথ্যাচার) করে, আশুরায় মাতম করে, সারা বছরে পশ্চিম দিকে ফিরেও তাকায় না অথচ মুহাররাম মাস আসলেই "হায় হোসেন হায় হোসেন" করতে করতে নাভিশ্বাস তোলে, ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি।
শিআ বা রাফেজিদের পরিচয় ও আক্বিদা নিয়ে আমার একটি লেখা আছে, সেটা পড়লে বিস্তারিত ও দলীল ভিত্তিক ভাবে বুঝতে পারবেন।
২২ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:২৯
288024
সময়ের কন্ঠ লিখেছেন : আমার লেখায় রাফেজী কোথায় পেলেন? এইসব তথাকথিত ছুন্নীরা গালাগাল হিসাবে ব্যবহার করে। চট্টগ্রামের ছুন্নী আন্দোলন সম্পর্কে আপনার ধারনা থাকলে বুঝতে পারবেন।
২২ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৪৬
288026
সময়ের কন্ঠ লিখেছেন : দেখুন, ইসলামের কোথাও নেই যে একা যুদ্ধ করা যাবে না। বিপদ জেনে এগুনো যাবে না। আমার আকিদা হলো, হুসাইন সঠিক কাজটি করেছেন। তিনি মজলুমের আদর্শে পরিণত হয়েছেন। ইয়াযীদকে ‘রহঃ’ যারা বলে তাদের আকিদার সাথে আমার আকাশ-পাতাল পার্থক্য। আমি এই পোষ্টে ইয়াযীদকে সমর্থনকারী কয়েকজন পরিচিতজনের নাম তুলে ধরেছি মাত্র। এরা একদিকে হুসাইনের জন্যে দরদ দেখায়, অন্যদিকে ইয়াযীদকে নিদোর্ষ প্রমাণের আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালায়।
২৪ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১১:৪৬
288160
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : ওটাকে আপনারাই সুন্নী আণ্দোলন বলেন, উলামায়ে কিরাম বলেন বিদআতী আন্দোলন। আর যেটা বললেন ইসলামে নেই, আছে কিনা জানার জন্য ইবনে তাইমিয়্যাহ রহ.-এর ফাতওয়া কুবরা, ফাতওয়া আলমগীরি একটু দেখে নিন, আশা করি চোখে পড়বে আছে কি নেই।
আর আপনার আক্বিদা বা বিশ্বাস কি, তা দিয়ে কিছু আসে যায় না, উলামায়ে হক্ব নিরপেক্ষ ইতিহাসের নিরীক্ষে যা বলেন সেটাই গ্রহণযোগ্য। আর উলামায়ে কিরামগণের মতে, নিঃসন্দেহে ইমাম হুসাইন রাযি. সত্যের পথে অকুতভয় সিপাহসালার, জান্নাতের যুবকদের সর্দার, দ্বীনের পথে শহীদ। এতে কোন সন্দেহ নেই, কিন্তু কুফার উদ্দেশ্যে গমন যে তার ইজতেহাদি ভূল ছিলো এটাও স্পষ্ট। আর ইজতেহাদী ভুল মানে এই না যে ঈমান-আমল সব বিগড়ে গেলো, বরং এটা তাঁর মহত্বে কোন দাগ ফেলেনি।
অপর দিকে ইয়াজিদকে ইমাম হুসাইন হত্যার জন্য দায়ী করা যাবে না, কারণ ইয়াজিদের হুকুম ছিলো বাধা দেয়া, যুদ্ধ করা বা হত্যা করা নয়। এর প্রমাণ? এর প্রমাণ স্বয়ং ইমাম হুসাইনের কথাতেই আছে। তিনি তাঁর পূর্বের তথাকথিত সমর্থন (কুফার লোকজন) ও তার বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে দন্ডায়মান সেনাবাহীনির বিরুদ্ধে যে বদদু’আও করেন, তাতে বলেন: “হে আল্লাহ! আপনি যদি তাদের হায়াত দীর্ঘ করেন, তাহলে তাদের দলের মাঝে বিভক্তি সৃষ্টি করে দিন। তাদেরকে দলে দলে বিচ্ছিন্ন করে দিন। তাদের শাসকদেরকে তাদের উপর কখনই সন্তুষ্ট করবেন না। তারা আমাদেরকে সাহায্য করবে বলে ডেকে এনেছে। অতঃপর আমাদেরকে হত্যা করার জন্য উদ্যত হয়েছে।”
কে এই শাসক? নিশ্চয়ই ইয়াজিদ বিনা অন্য কেউ নয়। যদি ইয়াজিদ ইমামের হন্তারক হতেন, কেন ইমাম তার বিরুদ্ধে একটি শব্দও বললেন না, উপরন্তু নিজের কাতেল ও ঠকবাজদের উপর ইয়াজিদের অসন্তুষ্টির দুআ করলেন? যদি সত্যি ইয়াজিদ ইমামকে হত্যা করতে চাইতো তাহলে তো এই কাজ যারা করেছে এবং যারা সাহায্য করেছে তাদের সে দু'হাত ভরে উপহারাদি দিতো। কেন তাদের উপর অসন্তুষ্ট হতে যাবে? একথা ছাটি পেটা মাথা মোটা রাফেজিরা না বুঝলেও সত্য সন্ধানিদের মাথায় ঢুকবে। শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইম্যিয়া (রHappy বলেন: সকল মুহাদ্দিস ও ঐতিহাসিকের ঐকমতে ইয়াজিদ বিন মুয়াবিয়া হুসাইনকে (রাHappy হত্যার আদেশ দেয়নি। বরং উবাইদুল্লাহ বিন যিয়াদকে ইরাকে হুসাইনকে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে বাঁধা দিতে বলেছিল। এতটুকুই ছিল তার ভূমিকা। বিশুদ্ধ মতে তার কাছে যখন হুসাইন (রাHappy নিহত হওয়ার খবর পৌঁছলে সে আফসোস করেছিল। সে হুসাইন (রাHappy পরিবারের কোন মহিলাকে বন্দী বা দাসীতে পরিণত করেনি; বরং পরিবারের জীবিত সকল সদস্যকে সসম্মানে মদিনায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিল।
এসব কিছুর আলোকে জমহুর উলামায়ে কিরামের অধিকাংশের বক্তব্য, "ইয়াজিদকে যেমন দ্বীনের পক্ষে বলা যাবে না, তেমনি দ্বীনের বিপক্ষেও বলা যাবে না। এটা ঠিক সে হুসাইনকে কতল করেনি কিন্তু আহলে বাইতের কষ্টের কারণ হয়েছে।...... তাই তার নামের সাথে রহমাতুল্লাহি আলাইহি বা লানাতুল্লাহ কোনটাই ব্যবহার করা যাবে না" (মিনহাজুল কারামা ফি মারিফাতিল ইমামা, সিয়ার আলামুল নুবালা, তাফসিরে কুরতুবি, সুন্নাহ লিল খিলাল, হাদিয়াতুশ শিআ ইত্যাদি)

আর এই মুনাফেক্ব কুফাবাসী কারা? এরাই বর্তমানে নিজেরে শিআনে আহলে বাইত নাম ফুটিয়ে চলা, আলী ও হুসাইনের শোকে বুক চাপড়ে লোক দেখানো শোক করা রাফেদির দল। (তাদেরই কিতাব নাহজুল বালিগাহ দ্রষ্টব্য)
346865
২২ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫৬
আনোয়ার আলী লিখেছেন : আব্দুল্লাহ বিন বাজ যে কথা বলেছেন, তাতে তো পৃথিবীতে তিনি ছাড়া আর কেউ মুসলমান নেই। সবাই কাফের। কেননা আজকাল একটা বাচ্ছা ছেলেও জানে পৃথিবী ঘুরছে। স্থির নয়। অথচ এই মূর্খটা বলে দিলেন, যারা বিশ্বাস করবে পৃথিবী ঘুরছে, তারা নাকি কাফের।
এগুলোও নাকি আলেম!!! আর এদের কথাও মানুষ আমল করে! সেলুকাস!
২২ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫৯
288030
সময়ের কন্ঠ লিখেছেন : এরাও আলেম, আর তেলেপোকাও পাখি।
কোরআনের কোথায় আছে সেটা কিন্তু বলে নাই। এসব কুলাঙ্গারের কারনেই সৌদিকে নাস্তিকের সংখ্যা বাড়ছে।
২৪ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১১:১৬
288153
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : কুরআনে সব কথা স্পষ্টভাবে বলা থাকে? একটু তো আকলের ব্যবহার করেন। কুরআনে কি আপনার নাম ধরে বলা আছে হে অমুক খাও, ঘুমাও, এত বেলা খাও? তাহলে তো আপনিও আদেশভঙ্গকারী হয়ে গেলেন।
আবেগে না ভেসে বাস্তববাদী হন, অন্যের ছিদ্র খোঁজার আগে নিজের ছিদ্র খুজে বন্ধ করুন, সেটায় বেশি লাভ হবে।
২৪ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১১:২০
288156
সময়ের কন্ঠ লিখেছেন : কুরআনে পৃথিবী স্থির- একথা লেখা নাই। তবু ঐ তথাকথিত আলেম এমন কথা বলে সবাইকে কাফের বানিয়ে দিল। আপনি কি বিশ্বাস করেন, পৃথিবী স্থির? যদি না করেন, তাহলে ঐ ব্যক্তির কথা অনুযায়ী আপনি কাফের।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File