৯৯% মানুষের ১০০% ভরসা সেনাবাহিনীর উপর-

লিখেছেন লিখেছেন সময়ের কন্ঠ ০৩ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৩:৩৩:২৩ দুপুর

সেনাবাহিনী ৯ তারিখের পরও মাঠে থাকবেন বলে জানিয়েছেন সিইসি। কেন থাকবেন তার কোন ব্যাখ্যা তিনি দেননি। বিরোধীদলের আন্দোলনকে ঠেকাতেই মুলতঃ সেনাবাহিনী নামানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশের বীর সেনাবাহিনী সেই ধারনা বিফল করে দিয়ে প্রমাণ করেছেন তারা কোন দলের পক্ষে থাকবেন না। তাদের ভাল করেই জানা আছে, এদেশের ৯৯% মানুষের ১০০% ভরসা আছে তাদের উপর। কোর্ট কাচারীর উপর এখন আর মানুষের আস্থা নেই বললেই চলে। বাংলাদেশের যে কোন এলাকায় জরিপ চালিয়ে প্রমাণ করতে পারবেন এটা।

বিষয়: বিবিধ

১৭১২ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

158655
০৩ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:৩১
মেঘ ভাঙা রোদ লিখেছেন : আমাদের শেষ ভরসা এখন তারাই।
158662
০৩ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৪
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : গতকাল একজনের পোস্টে ব্যাখ্যা দিয়েছিলাম,কেন সেনাবাহিনী চুপ করে থাকবে? হয়ত তার অপছন্দ হয়েছে তাই দেখলাম আমার মন্তব্যটি মুছে ফেলা হয়েছে। যাইহোক,ভারত,আমেরিকা আর সেনাবাহিনীর সমর্থনেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে আছে। মার্কিনিরা আফগান যুদ্ধে পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌছেছে।ওবামা অনেক আগ থেকেই চাইছেন আফগান থেকে মার্কিন বাহিনীকে প্রত্যাহার করে নিতে।অল্প কিছু মার্কিন সেনাসদস্য রাখতে চাইছে আফগান সামরিক বাহিনীর প্রশিক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য। তবে ভারত প্রশাসন চাইছে আফগানে যে কোন মূল্যে মার্কিন ঘাটি ধরে রাখতে।তারা কখনো চায়না মার্কিন বাহিনী আফগান ছেড়ে চলে যাক। কারণ তালেবানরা ঘোষনা দিয়েছে মার্কিন বাহিনী চলে গেলে তারা কাশ্মির,গুজরাট,মুজাফফরনগর,আহমেদাবাদ, বিহারসহ অন্যান্য যেসব অঞ্চলে দীর্ঘদিন যাবত লাখ লাখ মুসলিম গণহত্যা-ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন সেসব অঞ্চলের মুসলিমদের রক্ষার জন্য তারা ভারতের সাথে যুদ্ধে জড়াবে। ভারত ৫লাখ সৈন্য নিয়েও কাশ্মিরের সামান্য কিছু জঙ্গীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনা সেখানে তালেবানরা যদি এসে ভারতে ঘাটি গাড়ে তখন তা ভারতের অখন্ডতার জন্য হবে মারাত্নক।আমেরিকাও চীনকে টেক্কা দেয়া এবং জঙ্গী দমনের জন্য ভারতকে বন্ধু হিসেবেই গ্রহণ করেছে। ভারতের ২প্রতিবেশি চীন ও পাকিস্তান ভারতের চরম শত্রু এবং তারা চায় ভারতকে টুকরো টুকরো করতে। ফলে ভারত নিজের স্বার্থেই মার্কিনিদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। ভারত জানে যদি আমেরিকান বাহিনী আফগান ছেড়ে চলে যায় এমন অবস্হায় যদি বাংলাদেশে বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় থাকে তখন তারা উভয় সংকটে পড়বে তারা তখন বাংলাদেশের কাছ থেকে কোন সহায়তা পাবেনা। ২শত্রু প্রতিবেশি দেশের বিদ্বেশী মনোভাবের জন্য তারা তখন বাংলাদেশ লাগোয়া ভারতের বিচ্ছিন্ন অঞ্চলগুলোর নিয়ন্ত্রণ ও অধিকার হারাতে পারে।তাই তারা কখনো চায়না আওয়ামী লীগ ব্যতীত অন্য কোন সরকার আসুক।যে কোন মূল্যে তারা আওয়ামীকে টিকিয়ে রাখবে। আর আমেরিকাও জোড়ালোভাবে ভারতের বিরোধীতা করবেনা কারণ: আমেরিকা বঙ্গোপসাগরে সামরিক ঘাটি স্হাপনের জন্য অনেকদিন যাবত চিন্তা করছে কিন্তু ভারতের সাহায্য ও সমর্থন ছাড়াও তা সহজ হবেনা। তাই তারা ভারতের কথার বাইরে যাবেনা। আর টিকফা চুক্তি মার্কিনীদের খুব প্রয়োজন ছিল যা সম্পাদিত হয়েছে ভারতের ইশারায়। যা প্রমাণ করে,বর্তমান সরকারের প্রতি মার্কিন সমর্থন অবশ্যই আছে। তবে ভারতের সাথে আমেরিকার মতপার্থক্যের কারণ আমেরিকা সারা পৃথিবীতে রাজনীতি করে। তাদের অভিজ্ঞতা বলে, এ অঞ্চলের স্হিতিশীলতার জন্য বিএনপি-জামাত বেস্ট। কারণ: সিরিয়ায় দেখা গেছে সর্বপ্রথম আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিল একদল সেকুলার। কিন্তু আসাদ সরকার তাদের উপর হত্যা-নির্যাতন শুরু করলে তারা অস্ত্র হাতে তুলে নেয়। যাদের প্রতি ইঙ্গ-মার্কিন সমর্থন ছিল কারণ তাদের লক্ষ্য ছিল, "আসাদ সরকারকে হটিয়ে নতুন সেকুলার সরকার প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু যুদ্ধ যখন ব্যাপক আকার ধারণ করে সুন্নী মুসলিমদের উপর গণহত্যা-ধর্ষণ শুরু হয় তখন "জাবহাত আন নূসরাহ" এর নেতৃত্বে ইসলামিস্টরা যুদ্ধ শুরু করে যাদের লক্ষ্য সিরিয়া ও ইরাকের বড় অংশ নিয়ে খেলাফত ব্যাবস্হা কায়েম করা। সাম্প্রতিক সময়ে আসাদ শিবিরে যুদ্ধ নিয়ে হতাশা দেখা দিয়েছে তারা যুদ্ধের মনোবল হারিয়ে ফেলেছে। তাই আমেরিকাও বাংলাদেশে এমন আশঙ্কা করে যে, যদি লীগ ভারতের সহায়তায় ক্ষমতায় থাকে তবে ইসলামিস্টদের উপর ব্যাপক দমন-পীড়ন শুরু হবে ফলে এ অঞ্চলেও ইসলামিস্টরা যুদ্ধে জড়িয়ে যেতে পারে। ফলে গোটা উপমহাদেশ অস্হিতিশীল হয়ে পড়বে। কিন্তু ভারতের আপত্তির জন্য তারা আপাতত চুপ আছে। আর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমেরিকান কমান্ড ছাড়া এক পা নড়েনা।কারণ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে দায়িত্বপালন স্বরূপ তারা মার্কিন কমান্ডের উপর নির্ভরশীল।তাই মার্কিন বলয়ে থাকার জন্যই সেনাবাহিনী চুপ করে আছে। আবার বিগত কয়েকবছর শুদ্ধি অভিযানে কয়েকশত এ্যান্টি-লীগ সিনিয়র আর্মি অফিসারদের চাকরি গেছে।তবে এটা সঠিক, নির্বাচন পরবর্তী গণহত্যায় তারা হয়ত অংশ নেবেনা। কারণ তাতে নিজেরা বিতর্কিত হয়ে পড়বে ফলে শান্তিরক্ষা মিশনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
158680
০৩ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৩
এমএ হাসান লিখেছেন : hmm.army niya etto fala fali koren ken?75 e gonotontro uddar kai army der zokhon fasi deya holo tokhon ki korchilen?
158865
০৪ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:০৩
হতভাগা লিখেছেন : বাংলাদেশে পোলাপান সেনাববাহিনীতে যায়ই মিশনে যাবার কথা চিন্তা করে । মিশনে তারা যুদ্ধ করে না , যুদ্ধ ঠেকায় । বিনিময়ে ডলার পায় । তাই যদি বাংলাদেশে করতে হয় তাহলে তো কোন পয়সাই পাবে না ।


আর সেনাবাহিনী গর্ব কোন কারণে ? ৭১ এ তাদের চেয়ে আমজনতাই বেশী যুদ্ধ করেছে সন্মুখ সমরে । কিন্তু বীরশ্রেষ্ঠ করা হয়েছে সশস্ত্রবাহিনী থেকেই । ওদের যা কাজ ছিল তার জন্য তারা এই খেতাব পাবার কথা নয় । তাদের তো নিজস্ব পদবী আছেই ।

বরং এটা পাওয়া উচিত ছিল যে সব সাধারণ মানুষ সৈনিক না হওয়া সত্ত্বেও যুদ্ধ করে শহীদ হয়েছে তাদের ।

বাংলাদেশের ১০০%ই বিশ্বাস করে যে , এই যে সেনাবাহিনী জাতিসংঘের শান্তিরক্ষাবাহিনীতে এত নাম কামাচ্ছে তারা বাংলাদেশে যখন যুদ্ধ বাঁধবে মায়ানমার/ভারতের সাথে ৩০ মিনিটও টিকতে পারবে না । পারে নি ২৫.০২.২০০৯ এ এবং পারবেও না কখনও ।

এদেরকে নিয়ে মানুষ গর্ব করে না বরং ভয় পায় , কারণ তাদের হাতে অস্ত্র থাকে । যেমনটা থাকে র‍্যাব , পুলিশ ও বিজিবির হাতে । এদের সবগুলোর হাতেই অস্ত্র থাকে বলে মানুষ সবসময়ই এদেরকে এড়িয়ে চলে ।

এরা প্র‍্যাকটিকালি কখনই জনগনের বন্ধু নয় । এরা তাদের ক্ষমতা বলে মানুষকে সবসময় একটা আতন্কে রাখে । তল্লাশীর নামে / অভিযানের নামে / ধারার দোহাই দিয়ে এরা নিরপরাধ মানুষকে সব ধরনের হয়রানী করে থাকে ।

এরা কখনই গর্ব হতে পারে না । এরা আতন্কের নাম ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File