♥ ইরানের অন্ধভক্তরা! ফিলিস্তিন ও সিরিয়া ইস্যুতে আপনাদের নির্লজ্জ দ্বিমুখী নীতির জবাব চাই! ♦
লিখেছেন লিখেছেন জিয়া্ মির্জা ০৯ আগস্ট, ২০১৪, ১০:১৫:২৮ রাত
ইরান কি আসলেই বর্তমান মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও নির্যাতনের প্রতিবাদে শক্তিশালী গৌরবময় ভুমিকা পালন করছে? যে ইরান হামাসকে শুধু খাদ্য নয় হাই ক্লাস অস্ত্র দিল,ইসরাইল বিদ্ধংসী মিজাইল দিল ভয়ংকর টানেল প্রযুক্তি দিল, যা দিয়ে ফিলিস্তিনের হামাস এখন ইসরাইল কে নাকানিচুবানি খাওয়াচ্ছে সারা মুসলিম বিশ্বে ধন্যধন্য রব পড়ে গেছে সেই একই ইরান পশ্চিমা মিডিয়ায় কসাই আসাদ খ্যাত বাশারকে অকুন্ঠ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। কেন?
যদিও পশ্চিমারা এখনো হতবাক এইট ভেবে যে, বাশার হল আলাভি শিয়া সম্প্রদায়ের, যা তাদের মোট জনসংখ্যার মাত্র ৬ % ।যার প্রায় সব মন্ত্রী সভা এমনকি সেনাবাহিনী প্রধান পর্যন্ত সুন্নি। যারা চাইলে যখন তখন ফু দিয়ে উড়িয়ে দিতে পারে বাশার আল আসাদকে। বাংলাদেশের মত একটা ১৫ ই আগস্ট তারা চোখের পলকে ঘটাতে পারে।তাদের করা জরিপে প্রকাশ অধিকাংশ সিরিয়ানরা হানিফ কারজাই বা আব্দেল ফাত্তাহ মাল সিসি র মত পশ্চিমা পুতুল সরকার দেখতে চায় না বলেই আসাদকে সমর্থন করছে।
ইরান কেন বাসারকে সাপোট করছে তার ১০১ টা যৌক্তিক ইসলামিক ও মানবিক কারন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের সকল বামপন্থী মিডিয়া নিউজপেপার(প্রথম আলো সমকাল, কালের কন্ঠে)।কিন্ত তা ডানপন্থী দের ( জামাত, চরমোনাই, বিএনপি) কাছে গ্রহনযোগ্য নয় বলে ডানপন্থী মিডিয়ার নিউজ প্রকাশ করা হল। উল্লেখ্য এসব মিডিয়া সব সৌদি ঘেষা হওয়ায় তারা অনেক শক্তিশালী পয়েন্ট পাশ কাটিয়ে সাদামটা খবর প্রকাশ করেছে।বিজ্ঞজন দের কাছে বিচারের ভার ছেড়ে দিলাম যদিও তা ১ বছর আগে প্রকাশিত।
দৈনিক নয়াদিগন্ত,২৮ আগস্ট ২০১৩:--
সিরিয়ার সরকারি বাহিনী বিদ্রোহীদের ওপর রাসায়নিক অস্ত্রের হামলা চালিয়েছে’এমন প্রচারণায় মুখর পশ্চিমা গণমাধ্যম। এমন ঘটনার জন্য প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে ‘চরম শিক্ষা’ দেয়ার ঘোষণাও
দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। ভূমধ্যসাগরে নতুন যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়ে শক্তি বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হয়তো যেকোনো সময় সিরিয়ার ওপর হামলা চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র ও তার
মিত্ররা। কিন্তু সব দেশে বিরোধী দলের জন্যই কি পশ্চিমাদের এমন দরদ? তার প্রমাণ কিন্তু নেই। পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলোও কিন্তু এ ব্যাপারে নীরব।
মিসরে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর প্রতিপক্ষ ব্রাদারহুডের সাথে যে আচরণ
করেছে, সে বিষয়ে কিন্তু ‘চরম শিক্ষা’দেয়ার মতো কোনো ঘোষণা আসেনি।আসলে মুসলিম বিশ্বজুড়ে যে হানাহানি চলছে, তা এই কথিত পশ্চিমা ‘গণতন্ত্রপন্থী’দের
ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছু নয়। আর এই ষড়যন্ত্রে সহযোগী হচ্ছে মুসলিম বিশ্বেরই ক্ষমতালিপ্সু প্রভাবশালী শাসকেরা। পশ্চিমাদের
তল্পিবাহক এমন এক শাসকগোষ্ঠী হলো সৌদি আরবের রাজপরিবার। দেশটির ক্ষমতাসীনদের মাথায় বুদ্ধি আর একটু বেশি থাকলে তারা আরো দুর্দমনীয় ও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারত। তবে তেমন কোনো বুদ্ধিবৃত্তিক চমক দেখাতে না পারলেও তারা ইতোমধ্যে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার বিশাল অঞ্চলজুড়ে যথেষ্ট রক্তপাত ও আতঙ্ক সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। আলকায়েদাসহ অন্যান্য কথিত জেহাদি গ্রুপকে কোটি কোটি ডলারের অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করছে। এসব গোষ্ঠীর অপরিণামদর্শিতার কারণে ধ্বংস হয়ে গেছে এক কালের গৌরবময় সভ্যতা ইরাক;আফগানিস্তান, গোষ্ঠীগত সঙ্ঘাতে ধ্বংস হচ্ছে লেবানন,লিবিয়া ও সিরিয়ার মতো সমৃদ্ধ রাষ্ট্র।সৌদি ক্ষমতাসীনেরা এভাবে চলতে পারলে তাদের লালসা ইরানকে নিশ্চিহ্ন করার সুযোগ গ্রহণ পর্যন্ত বিস্তৃত হবে।
এই শিয়া শক্তিটিকে তারা নিজেদের উদ্দেশ্যসাধনের পথে সবচেয়ে বড় বাধা বলে মনে করছে। কিন্তু সুখবর হলো অনেক ক্ষেত্রে পশ্চিমা প্রভুদের তুষ্ট করতে সৌদি ক্ষমতাসীনেরা যে গোপন সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে, তা এখন গোপন নয়। এর কারণ হলো, সৌদি গোয়েন্দাবাহিনীর অদক্ষতা।
তারা কোনো কাজ করলে তার একটি চিহ্ন পেছনে ফেলে যায়।মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সহিংসতা বিস্তারের পেছনে সত্যিকার মদদদাতাদের মুখোশ খুলে গেছে। ফলে তাদের কাজগুলোই
একদিন তাদের পতনের কারণ হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করেন অনেকে। সর্বশেষ প্রকাশিত খবর হলো, দীর্ঘ দিনের মিত্র সিরিয়ার কাছ
থেকে রাশিয়াকে সরিয়ে আনতে
মস্কোকে ঘুষ দিতে চেয়েছে সৌদি আরব।
সৌদি শাসকদের বদ্ধমূল ধারণা হলো,
পয়সা দিয়ে সব কিছু কেনা যায়। দেশটির
গোয়েন্দাবাহিনীর প্রধান গত জুলাইয়ের
শেষ দিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট
ভ্লাদিমির পুতিনকে ১৫ বিলিয়ন ডলারের একটি অস্ত্রচুক্তির প্রস্তাব দেন। এর বিনিময়ে মস্কোকে তার কৌশলগত মিত্র সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে পরিত্যাগ
করতে হবে। সৌদি শাসকদের এমন ঘুষ
দিতে চাওয়ার কাহিনী নতুন নয়। এর
আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট
থ্যাচারের সাথে তারা শত শত কোটি ডলারের অস্ত্রচুক্তি করে। ওই সব
চুক্তির সাথে ঘুষসহ অন্যান্য দুর্নীতি জড়িত থাকার কথা পরে জনসমক্ষে প্রকাশ পেয়েছে। প্রিন্স বন্দর তার নিজস্ব তহবিল
থেকে পুতিনকে আরো কিছু দেয়ার প্রস্তাব করেন। অবশ্য সৌদিদের এই
কূটকৌশল প্রত্যাখ্যান করেন পুতিন।কিন্তু এই নোংরা লেনদেনের খবর প্রকাশ হয়ে পড়ায় বোঝা যাচ্ছে,সিরিয়ার বিরুদ্ধে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কতটা মরিয়া হয়ে কাজ করছে সৌদি আরব যা গোটা অঞ্চলকে একটি মারাত্মক পরিণতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বিগত দুই বছরের ঘটনাবলি পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে যুুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্স ক্রমাগতভাবে বলে যাচ্ছে যে তারা ‘ সিরিয়ায় একটি গণতন্ত্রপন্থী অভ্যুত্থান’সমর্থন দিচ্ছে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হবে,
তারা মানবাধিকারের চেতনা ঊর্ধ্বে তুলে ধরার চেতনা থেকে সিরিয়ার ‘মুক্তিকামী বিদ্রোহীদের’সহায়তা দিচ্ছে। কিন্তু রাশিয়ার ঘটনার মধ্য দিয়ে পশ্চিমা সদিচ্ছার বিশাল
বেলুন ফুটো করে দিয়েছে সৌদিরা।
পশ্চিমাদের তল্পিবাহক হতে গিয়ে এ
কাজ যে তারা এই প্রথম করল তা কিন্তু
নয়। এই কয়েক মাস আগেও রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ একজন সৌদি বুদ্ধিজীবী মিডিয়ায়
মুখফসকে বলে ফেলেন, সিরিয়ায়
সৌদি আরব যে হস্তক্ষেপ করছে তার
কারণ হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব
রোধ করা। ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে বৈঠকের পর সৌদি গোয়েন্দাপ্রধান প্রিন্স বন্দর মন্তব্য করেন, আসাদের পতনের পর
সিরিয়ায় যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক,
তা পুরোপুরি রিয়াদের কব্জায় থাকবে।
তাই সহজেই বোঝা যায়, পশ্চিমারা আসলে সিরিয়ায় গণতন্ত্র চায় না। তারা দামেস্কে এমন এক সরকার চায়, যা হবে রিয়াদের তল্পিবাহক। এমন কোনো সরকার হলে এই অঞ্চলের ভূ- রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ কার্যত ওয়াশিংটন ও মিত্রদের হাতে থাকবে।
এভাবে তেহরানের বিরুদ্ধে একটি সাম্রাজ্যবাদী অক্ষ গড়ে তোলা হবে। তাই,
ভূস্বামী স্টাইলের উপসাগরীয় সরকারগুলোকে সিরিয়ায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য
মরিয়া হয়ে উঠতে দেখলে তা অনেকের
কাছে উদ্ভট মনে হতে পারে। কিন্তু
এটা এমন এক ষড়যন্ত্র যা আর গোপন নেই। সেই সাথে ষড়যন্ত্রের সহযোগীরা অপরাধের কথা স্বীকার করে ফেলাটাও গুরুত্বপূর্ণ।
আমরা নানা পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণের
মাধ্যমে তাদের অপরাধমূলক
কার্যকলাপের প্রমাণ দিতে পারলেও ষড়যন্ত্রকারীদের কাছ থেকে স্বীকারোক্তি পাওয়ার ঘটনা বিরল। কিন্তু সৌদি ক্ষমতাসীনেরা পুতিনকে ঘুষ
দিতে গিয়ে ঠিক এটাই করে ফেলেছে।
কোনো ষড়যন্ত্রের খবর প্রকাশ হয়ে গেলে সে দিক থেকে মানুষের দৃষ্টি অন্য
দিকে ঘুরিয়ে দিতে পশ্চিমা রাজনৈতিক
নেতৃবৃন্দ, কূটনীতিক ও মিডিয়া পারঙ্গম।
সিরিয়ার কাছ থেকে সরিয়ে আনতে পুতিনের সামনে আরো অনেক টোপ ফেলেছেন প্রিন্স বন্দর। এটা হলো,ভবিষ্যতে সিরিয়ার মধ্য
দিয়ে ইউরোপে তেল-গ্যাস পরিবহনের ব্যাপারে রাশিয়ার স্বার্থবিরোধী কোনো চুক্তি রিয়াদ করবে না। পুতিনকে তেল
দিতে গিয়ে প্রিন্স বন্দর প্রকাশ করে দিয়েছেন, কেন বাশারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারস্য
উপসাগরীয় দেশগুলো কেন এতটা মরিয়া।
হিসাবটা অনেক পুরনো। এসব দেশ
বিশ্ববাজারে তেল রফতানির জন্য হরমুজ
প্রণালীর একচিলতে সরু পথের ওপর
নির্ভরশীল। এই সমুদ্র এলাকার বেশির
ভাগ ইরানি ভূখণ্ড এবং দেশটির নিয়ন্ত্রণে। প্রতিদিন ১৭ মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল নিয়ে এ পথ দিয়ে জাহাজ ছুটে যায় বিশ্বের বিভিন্ন বন্দরে। এই পথের
নিরাপত্তা অনেককাংশে ইরানের
মর্জির ওপর নির্ভরশীল। পশ্চিমা ও
উপসাগরীয় দেশগুলো জানে,
কখনো ইরানের সাথে তাদের বিরোধ
তুঙ্গে উঠলে হরমুজ প্রণালী পথে তেল
রফতানি বন্ধ হয়ে যাবে যা পেট্রোডলার-নির্ভর পশ্চিমা অর্থনীতির জন্য হবে একটি বড় আঘাত। এই কৌশলগত দুর্বলতার
কারণে সৌদি আরব, কাতার
এবং অন্যান্য শেখশাসিত রাষ্ট্রের তেল-গ্যাস রফতানির বিকল্প পথ চায়।
আর সেই পথ হলো সিরিয়া। পাইপলাইনের
মাধ্যমে সিরিয়ার মধ্য দিয়ে এই তেল-
গ্যাস ভূমধ্যসাগরীয় কোনো বন্দরে নিতে পারলে এরপর ইউরোপ আমেরিকার বিশাল বাজার তাদের সামনে উন্মুক্ত। তখন
আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠার সুযোগ থাকবে শেখ রাষ্ট্রগুলোর সামনে। অন্য
দিকে, সিরিয়ায় অনুগত সরকার
বসানো গেলে ভূ-রাজনৈতিক কৌশলের
দিক দিয়ে ইরানকে আরো চাপে ফেলা যাবে।
তাই ওয়াশিংটন ও তার মিত্রদেশগুলো সৌদি ষড়যন্ত্রে সবরকম ইন্ধন জুগিয়ে যাচ্ছে।
প্রিন্স বন্দর স্বীকার করেছেন, আরব
রাজারা সিরিয়ায় আসাদের বিরুদ্ধে লড়াইরত দলগুলোকে ইতোমধ্যে অন্তত ১০০
মিলিয়ন ডলারের সহায়তা দিয়েছে।সৌদি আরবকে এ অর্থ দেয়া হয় এবং তা দিয়ে ইসরাইলের কাছ থেকে অস্ত্র কিনে তা সিরিয়ার বিদ্রোহীদের কাছে পাঠানো হয়। বেশির ভাগ অস্ত্র গিয়েছে আলকায়েদার
সহযোগী সংগঠন আল-নুসরাহ ফ্রন্ট,
ইসলামিক স্টেট অব ইরাক ও শামস
নামে দলের কাছে। সৌদি ঘুষের প্রস্তাব পুতিন প্রত্যাখ্যান করলে প্রিন্স বন্দর নাকি বলেছিলেন, ‘সিরিয়ার ব্যাপারে’ সামরিক ব্যবস্থা নেয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকল না। আর জেনেভায় অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় শান্তি সম্মেলনের কথাও ভুলে যেতে হবে। কারণ সিরিয়ার বিরোধীরা তাতে অংশ নেবে না এমন বক্তব্য, আসাদ সরকারকে হটাতে পশ্চিমা ষড়যন্ত্রকারীদের পক্ষে সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ছাড়া আর কী হতে পারে? সিরিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা প্রোপাগান্ডার রহস্য
এটাই। এই ষড়যন্ত্রের পেছনে রয়েছে ভূ-
রাজনৈতিক এবং তেল-গ্যাসের
রাজনীতি। আর তা হাসিলের চেষ্টা করা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালিয়ে। পশ্চিমা শক্তিবর্গ ও তাদের দোষরেরা তথ্যযুদ্ধ
চালিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে সঙ্ঘাতের পেছনে প্রকৃত সত্য আড়াল করতে চাচ্ছে।
নয়াদিগন্ত ২৮ আগস্ট ২০১৩
বিষয়: বিবিধ
২১৪৮ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন