আমি যদি শিয়া ইরান হতাম!

লিখেছেন লিখেছেন জিয়া্ মির্জা ০৭ আগস্ট, ২০১৪, ১২:১৯:০৫ রাত

---------------------------------

----------------আমি আমেরিকার সাথে হাত মেলাতাম বন্ধুত্ব করতাম, বন্ধুত্ব করতাম ইসরায়েলের সাথে তবে হ্যাঁ, এরদোগানের মত দুচারটি ফাকা বুলি ছাড়তাম ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আর বেশি কিছু না । আমি আমার দেশকে ভালবাসি। আমেরিকা ও ইসরায়েল বিরোধী হওয়ার কারণে আমি আমার দেশের উপর অবরোধ চাই না ! আমি চাই আগে আমার দেশের উন্নতি তারপর সময় সুযোগ হলে অন্যদের জন্য চিন্তা করব, এটা ঠিক যদিও আমার দেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে যথেষ্ট উন্নতি করেছে যা কোনো মুসলিম বা তৃতীয় বিশ্বের দেশ করতে পারেনি কিন্তু এতই সন্তুষ্ট না আমি আরো আরো দ্রুত উন্নতি চাই । আমি চাই আমার দেশ একটি বিশ্ব পরাশক্তি হোক -অর্থনীতিতে ও সামরিক উভয় দিক দিয়ে এবং আমি এটা চাই মাত্র ১০ বছরের মধ্যে। এবং আমি বিশ্বাস করি আমার দেশের নেতাদের সেই দেশ প্রেম ও চেতনা আছে কিন্তু তাদের যা নেই তা হল স্বার্থপরতা। ফিলিস্তিন ইস্যুতে আমাদের কথা্ বলে কি লাভ ? ফিলিস্তিনিরা সুন্নী কিন্তু যেখানে ওদের সুন্নী ভাইয়েরা ওদের জন্য কিছু বলে না সেখানে আমরা শিয়া হয়ে কেন তাদের সহায়তা করব ? আর কথা হল ওরা তো বেশিরভাগই শিয়াদের কাফের মনে করে !এই চলমান গাজা যুদ্ধে হামাস যেসব অস্ত্র ব্যবহার করেছে সেসব কাদের তৈরি ও কোনো দেশের প্রযুক্তির ? আমাকে দেখান কোনো সুন্নী দেশ হামাসকে সহায়তা করেছে ? আজকে হামাস যদি ঐ প্রতিরোধ না করতে পারত তাহলে হামাস নি:সন্দেহে টিকে থাকতা না, গাজাবাসী আজকে মাটির সাথে মিশে যেত কিন্তু ইরানই একমাত্র এগিয়ে এসেছে শুধু খাদ্য, ওষুধ নয় অস্ত্রও নিয়ে ? এখানে ইরানের স্বার্থটা কি ?

শিয়ারা যখন সুন্নীদের সম্পর্কে বলে তখন তারা বলে আমাদের সুন্নী ভাই, আর যখন সুন্নীরা শিয়াদের সম্পর্কে বলে তখন সুন্নীরা বলে শিয়া ধর্মাবলম্বী আবার অনেকেই বলে শিয়া কাফের !!! ইরান মুসলিম ঐক্য নিয়ে এপর্যন্ত যতগুলো আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করেছে, সেই সম্মেলনগুলিতে বাংলাদেশ থেকেও অনেক সুন্নী আলেম যোগ দিয়েছিল বা দেয় এপর্যন্ত কোনো সুন্নীদেশ, সুন্নী সংস্থা, সুন্নী সমাজের কেউ তার ১ শতাংশও করেনি !!! রোহিঙ্গা ইস্যুতে ইরান জাতিসংঘকে পদক্ষেপ নেওয়ার দ্রুত আহবান জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের কয়েকবার ত্রাণ দিল এমনকি মিয়ানমারে ইরান সংসদীয় প্রতিনিধি দলও পাঠিয়েছিল মিয়ানমার সরকারের সাথে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কথা বলার জন্য , এমনকি রোহিঙ্গাদের সরাসরি টাকাও দিয়েছে ইরান !! তেমনি সোমালিয়ার দুর্ভিক্ষ পীড়িতদেরও ইরান যথেষ্ট সহায়তা করেছে যা কোনো আরব রাস্ট্র করেনি !! অথচ এরা সবাই সুন্নী !!! ইরান সুন্নীদের জন্য যা করেছে ও করতেছে সেই তুলনায় সুন্নীরা শিয়াদের তুলনায় কি করেছে ? হ্যাঁ, সুন্নীরা যা করেছে তা হল এরবিনিময়ে শিয়াদের তারা হত্যা করেছে !!!আপনারা এত্ত সুন্নী দেশ-অথচ একটি রাস্ট্রও এমন নেই যে আমেরিকা, ইউরোপ ও ইসরায়েলর দালালি করে না !!! আমি দেখেছি সুন্নী আলেম ও শিয়া আলেমের মধ্যে আকাশ জমিন তফাৎ !! যেখানে বাংলাদেশের আলেম বলেন ব্লগ দিয়ে ইন্টারনেট লিখে, আরব আমিরাতের আলেম ফতুয়া দেয় মঙ্গল যাত্রা হারামসহ আরো কতকি সেখানে ইরানের মত একটি অত্যন্ত আধুনিক ও বিজ্ঞান, প্রযুক্তিগতভাবে তুলনামূলক অনেক উন্নত একটি দেশ পরিচালনা করতেছে আলেমরাই !!!

তুরস্ক, মিসরের মত সেক্যুলার শাসন ব্যবস্থা ইরানেরও ছিল, তারচেয়েও জঘণ্য ছিল কিন্তু ইরানি আলেমরাই বিপ্লব ঘটিয়েছেন এজন্য তারা যেমন মুরসি, এরদোগানের মত সেক্যুলার সংবিধানে ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেনি তেমনি আইএসআইল, আল কায়েদা, তালেবানদের মত নিরীহ ও নিরপরাধ মানুষ হত্যা করেও ক্ষমতায় আসেনি বা বিপ্লব ঘটায়নি !! ইরান ইচ্ছে করলেই ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে পারে যেমনটি দিয়েছে সুন্নী তুরস্ক, জর্ডান ও মিসর । এতে ইরানের কোনো ক্ষতিই নেই বরং লাভ হবে ইরানের উপর একটি অবরোধও থাকবে না। আপনারা যেমনটি বলেন এরদোগান কৌশল নিয়েছে আমার মনে হয় ইরানেরও তেমন কৌশল নেওয়া উচিৎ -ফিলিস্তিনিরা মরে মরুক তাতে ইরানের কি ? ইরানের উচিৎ আমেরিকা ও ইসরায়েলের সাথে হাত মিলিয়ে গর্দভ আরবদের শায়েস্তা করা ! ইরান ফিলিস্তিনিদের সহায়তা করতেছে ভবিষ্যতে ইরান এর থেকে কোনো উপকারই পাবে না, তার প্রমান ইতোপূর্বে হামাস দিয়েছে। যে হামাসকে দুধ কলা দিয়ে পুষতেছে ইরান সেই হামাস সিরিয়া ইস্যুতে ইরানের কথা শুনেনি ! সিরিয়ার জঙ্গীদের পক্ষ নিয়েছিল যাদেরকে অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সিরিয়া পাঠিয়েছে আমেরিকা, সৌদি, তুরস্ক ও ইসরায়েল ! ভবিষ্যতে ইরানের সাথে কোনো আরব দেশের যুদ্ধ বা কোনো সংকট সৃষ্টি হলে আমি নিশ্চিত এই হামাস বলেন আর ফিলিস্তিনি বলেন এরা ইরানকে কোনোমতেই সাপোর্ট করবে না যদিও ইরান ন্যায়ের পথে থাকে ! এর প্রমান পাওয়া গেছে ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময় ! ইরান আক্রান্ত ও ন্যায়ের পথে থাকার পরেও কোনো সুন্নী রাস্ট্র ইরানকে সমর্থন করেনি !! শুধু তাই নয় আরব রাস্ট্রসহ সুন্নী রাস্ট্ররা ইরানকে ধ্বংস করতে সাদ্দামকে অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করেছিল !! আর এজন্য অবরোধ থাকলে হবে না। শুধু অবরোধ প্রত্যাহার নয় আমাদের দরকার কিছু কৌশলী নীতি গ্রহন। আমেরিকা, ইসরায়েল ও ইউরোপ সবার সাথেই আমাদের বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক, সামরিক ও কুটনৈতিক সম্পর্ক থাকবে। আমরা যদি বিশ্ব পরাশক্তি হই এই সুন্নীরাই সেদিন আমাদেরকে মুসলিম ভাই বলে বুকে টেনে নিবে । যেদিন তাদের আর কোনো প্রয়োজন আমাদের হবে না সেদিন তারা আমাদের পাশে এমনিতেই থাকবে। কারণ সেদিন আমরা হব মনিব আর ওরা হবে আমাদের ভৃত্য !! আজকে যেমন ওরা এবং ওদের নেতারা, শাসকেরা আমেরিকা ও ইসরায়েলের দালালি করতেছে সেদিন ওরা আমাদের দালালি করবে, আমাদের গোলামি করবে !!! কারণ ওদের নীতি, নৈতিকতা বলে কিছু নেই তবে ওরা শক্তিকে ভয় পায়। এজন্য কাতারে অবস্থানরত বিখ্যাত সুন্নী আলেম ইউসুফ আল কারজাভি সিরিয়ার আসাদের বিরুদ্ধে জেহাদ করা ফরজ ফতুয়া দিল !! অথচ প্রায় ১ মাস ধরে গাজায় ইসরায়েলী আক্রমন !! উনি চুপ !!! কেন ? কারণ আসাদ ইসরায়েল ও মার্কিন বিরোধী তাই আসাদের বিরুদ্ধে ফতুয়া দিতে কোনো সমস্যা নেই !!! সৌদি ও মিসরীয় আলেমের ফতুয়া তো শুনেছেন ! আজকে ইরান যেভাবে ফিলিস্তিনিদের সাহায্য করতেছে তা অকল্পনীয় !! এই যে পরশুদিন ইরান গাজা গণহত্যার প্রতিবাদে ন্যাম সম্মেলন করল তেহরানে !! ওআইসি কি করল ? আরব লীগ কি করল ? একটা বৈঠক করেছে ? একটি সম্মেলন করেছে ইসরায়েলের নিন্দা জানাতে ? হামাসের সব অস্ত্র ইরানের তৈরি ও ইরানি প্রযুক্তির ! ইরানি সহায়তায় যদি ফিলিস্তিন কোনোদিন মুক্তও হয় আমার মনে হয় না এই অকৃতজ্ঞরা অন্তত সেদিনও ইরানের প্রশংসা করবে !!! এই সুন্নীরা দাড়িয়েছে ভ্রান্ত বিশ্বাস ও নীতির উপরে !! এদের সৎ, সাহসী, ত্যাগী নেতা পাবেন না , এদের নেতা হল সৌদি বাদশাহ, কাতারের আমীর, তুরস্কের এরদোগান !!!! এদের নেতা হল সাদ্দাম ! এদের নেতা হল মোল্লাহ ওমর, এদের নেতা হল ওসামা বিন লাদেন, এদের নেতা হল আইমান আল জাওয়াহেরী ! এদের নেতা হল আবু বকর আল বাগদাদি !!! এদের নেতা হল বোকো হারামের আবু বকর শেকাউ ! এরা সবাই এদরে ইসলামিক নেতা !!! আর এই নেতারা সবাই আমেরিকা ও ইসরায়েলের পা চাটতে ব্যস্ত !!!

মিজানুর রহমান মিলন

৭ , ৮ , ২০১৪

বিষয়: বিবিধ

২৩৫১ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

251759
০৭ আগস্ট ২০১৪ রাত ০১:১২
বুড়া মিয়া লিখেছেন : অন্তর্জ্বালা আর ধরে রাখতে পারলেন না ... উগড়ে দিলেন একেবারে বাস্তবতার বাহারে!
০৭ আগস্ট ২০১৪ রাত ০১:৩৩
195894
জিয়া্ মির্জা লিখেছেন : সখী মনের আবেগ রুধিয়া রাখতে নারি। থ্যাংকস এ লট ভাই আমার মনের আর্তনাদ উপলব্ধি করার জন্য
251785
০৭ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৫:০৩
সাদাচোখে লিখেছেন : ইন্টারেস্টিং! ফ্যাক্টচ্যুয়াল! যৌক্তিক এ্যাসারশান! মুসলিম মননের সম্ভিৎ ফেরার জন্য অনেক কিছুই আছে, ভাবনা অর্গানাইজ করার মত ম্যাটেরিয়াল ও অনেক। কোন সন্দেহ নেই। চমৎকার লিখা শেয়ার করার জন্যও ধন্যবাদ।

পলিটিক্যাল ম্যাথামেটিক্স অনুযায়ী, পশ্চিমা ও ইয়াহুদী আগ্রাসী ও হঠকারী শক্তি ইরানকে ইদানিং যে টোপ বা প্রস্তাব দিয়ে আসছে - তা হল সৌদি পা - চাটা সরকারকে সরিয়ে 'হেজাজ তথা মক্কা ও মদীনার কন্ট্রোল' শিয়াদের হাতে তুলে দেবে - বিনিময়ে ইরানকে, আরবদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করতে হবে - যেখানে ন্যাটো সহায়তা দেবে।

ইতোমধ্যে মাঠ তৈরীর পার্ট হিসাবে পশ্চিমা শক্তি ও ইয়াহুদীরা পৃথিবীর বিভিন্ন মুসলিম ভুখন্ডে সাবোটাইজ করে - শিয়া সুন্নীর মধ্যে ফাইট শুরু হয়েছে এমন আবহ তৈরী করছে তার রেশ হিসাবে আমরা দেখছি সিরিয়া, আইএসআইএল, ইরাক, লেবানন ইত্যাদি।

এর পেছনে কারন হচ্ছে দু পক্ষকে উত্তপ্ত করা, ঠিক যেমন এ লিখাটা ও সে পারপাস সার্ভ করছে। সো আগামীতে ইরান যদি পশ্চিমা এ লুকরেটিভ টোপটা গিলে - আমি অবাক হবনা। তবে ইরান যদি সত্যিকার আল্লাহ ও রাসুল প্রেমিক হয় - তবে তা করবে না বলেই আমার বিশ্বাস। আমি দেখতে চাইনা ইরান তার সাকসেস ভুলুন্ঠিত করুক।
০৭ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৭:৫৫
195951
বুড়া মিয়া লিখেছেন : আপনার মন্তব্যের জন্য লিখতে গিয়ে একটা লেখা নীচে চলে গেছে ...
০৭ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০৩:০৪
196102
জিয়া্ মির্জা লিখেছেন : শিয়াদের সম্পর্কে কি যে ভয়াবহ অপপ্রচার চলে আপনারা কল্পনাও করতে পারবেন না। তারা আলী কে নবি মানে, জীবরাইল আ ভুল করে মোহাম্মদ স কে কুরান দিয়েছেন, তাদের আলাদা এক্সসেপ্সনাল কোরান আছে এই সব নাকি শিয়ারা বিশ্নাস করে। আর এইসব অপপ্রচার চালানো হয় মুলত কওমি মাদ্রাসা গুলারে মাধ্যম যার অর্থদাতা সাউদি। অথচ ইরানের ইসলামি বিপ্লবের আগে দুনিয়ায় শিয়া সুন্নি দন্ধ এরকম ছিল না। নবাব সিরাজউদ্দোলা মোঘল বাদশাহ রা, ওমর খৈয়াম, আল বিরুনী, ইবনে সিনা, হাজী মুহসিন, আলিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ আমীর আলী, পাকিস্তান এর জনক কায়েদে আজম জিন্নাহ, মীর মোশাররফ হোসেন সহ হাজার লক্ষ শিয়ারা ছিল অথচ কোনদিন তাদের মধ্যে বাই বিতন্ডা হয়নি। কাফের বলা তো দুরের কথা। মুসলিম বিশ্ন কি ভয়াবহ ষড়যন্ত্রের মধ্যে আছে ইরানের ইসলামি বিপ্লব এর পরে বুঝে নেন
251802
০৭ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৭:৫৪
বুড়া মিয়া লিখেছেন : @সাদাচোখ, ভালো বলেছেন।

আমিও মনে করি ইরানের এখন অন্য দিকে কন্সেন্ট্রেট করা উচিৎ না, টেকনিক্যাল এ্যাডভান্সমেন্ট লাগবে আরও। অন্যান্য যুদ্ধরতদেরও এভাবে আগানো উচিৎ বলে মনে করি।

রাসূল(সাঃ) এর কোন এক যুদ্ধের ঘটনা মনে পড়লো, যুদ্ধক্ষেত্রে নামটা মনে নেই, তবে ঘটনাটা এমন ছিল – এক এলাকার লোকদের দূর্গে ঠেলে দিলেন পরে মুসলমানরা দূর্গ আক্রমণ করতে গিয়ে কয়েকবার ব্যর্থ হয়েছিল, এরপর রাসূল(সাঃ) সবাইকে বললেন – আমরা এখান থেকে চলে যাবো, তখন কিছু লোক বললেন – আমরা চলে যাবো কেন? আল্লাহর জন্য আমরা যুদ্ধ করি, তাই আমরা ওদের সাথে যুদ্ধ করবো, পরে রাসূল(সাঃ) তাদের অনুমতি দিলেন – পরের দিন তারা আবার আক্রমণ করতে গিয়ে আরও মার খেয়েছিলেন, শেষে যুদ্ধে উৎসাহীরাও নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছিলেন এবং সেখানে আর আক্রমণ করেন নাই!
০৭ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪১
196168
সাদাচোখে লিখেছেন : @ ব্লগারঃ

আমরা মূলতঃ এখন শেষ জামানার শেষাংশটুকুতে আছি। শেষ জামানার ফেতনা হিসাবে (প্রতারনায় ভরপুর তথা দাজ্জালিক বিধ্বংশী ফোর্স) আমাদের মধ্যে ষঢ়যন্ত্রের মাধ্যমে সাধারন মানুষকে গোলকধাঁধায় ফেলতে চাইছে। নিরবিচ্ছিন্নভাবে আমাদের মধ্যে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত সৃষ্টি করে গৃহযুদ্ধের আবরনে মুসলিম নিধন চাইছে - যাতে করে আমরা শত্রুকে না পারি আইডেন্টিফাই করতে, আর না পারি শত্রুর বিরুদ্ধে ইউনাইটেড হতে।

দেখুন বেশীর ভাগ জানা শোনা ওলামারা শিয়াদের সম্পর্কে যৌক্তিক আলোচনা করে, গঠনমূলক সমালোচনা করে - কিন্তু সবশেষে মুসলিম ভাই বলেই সম্ভোধন করে।

আমি নিজে অনেকবার শুনেছি - যেখানে সত্যিকারের স্কলার রা কোরান, হাদীস ও যুক্তির আলোকে দ্বিমত পোষন করেন শিয়া বিশ্বাসের ঐ অংশটুকুর সাথে, যেখানে শিয়া ভাইরা মোহাম্মদ সঃ এর অতি আপনজন, অতি কাছের মানুষ আবু বকর, ওমর, ওসমান রাঃ ও আয়েশা রাঃ এর বিরুদ্ধে কথা বলেন কিংবা ওনাদেরকে ডিমোনাইজ করেন - কিন্তু তারপর ও সম্ভোধন করেন মুসলিম ভাই বলেই। সাধারন মানুষের বোঝার জন্য বলেন, শিয়ারা মুসলিম বলেই হজ্জ করতে পারে। সো যতদিন শিয়াদের হজ্জ করতে বাধাঁ না দেওয়া হবে - ততদিন ধরে নিতে হবে তারা মুসলিম।

আপনি নিশ্চয়ই জানেন - ষঢ়যন্ত্রমূলক ক্রিয়াকর্মের মাধ্যমে আমাদেরকে তো ১০০ বছর আগেই প্রতারনায় চেম্পিয়ান বৃটেন নেতৃত্ব শূন্য করেছে - আমাদের খেলাফতকে ধ্বংশ করেছে। অবশিষ্ট নেতৃবৃন্দের মধ্যে বিভিন্ন বিজানু ডুকিয়ে দিনকে দিন দূর্বল মেরুদন্ড হীন করে ফেলছে - যা আমরা মধ্যপ্রাচ্যে বড় বেশী করে দেখতে পাই - জর্ডান, সৌদী, মিশর হয়ে বাদ বাকি আন্ডা বাচ্চা তুল্য তথা কথিত নেশানস সমূহের নেতাদের মধ্যে। কিন্তু সচেতন প্রতিটি মুসলিম ই জানে গণমানুষ এখনো বিক্রি হয়ে যায়নি।

@ বুড়া মিয়া,
আপনি সম্ভবতঃ হুনাইনের যুদ্ধের কথা বলতে চাইছিলেন। এখানে সাহাবা রাঃ মক্কা বিজয়ের পর পর ওখানকার নতুন কনভার্টদের সাথে নিয়ে তাইফ অভিমুখে রওয়ানা হয়েছিলেন এবং সে সময় সাহাবা রাঃ ও নতুন মুসলিমদের মধ্যে এমন ভাব বিরাজ করছিল যে তারা বুঝিবা অদম্য, অপরাজিত শক্তি। সো পাহাড় ঘেরা একটা জায়গায় এলে ওনারা তীরন্দাজদের আক্রমনের শিকার হয়েছিল - যা ভেদ করে যাওয়া সম্ভব ছিলনা এবং মোহাম্মদ সঃ পিছু হটতে বলেছিলেন। কোরানে ও এর রেফারেন্স আছে - যতটুকু আমি সিরাহ এর আলোচনায় শুনেছি। আল্লাহ ভাল জানেন।
০৮ আগস্ট ২০১৪ রাত ০১:২০
196275
জিয়া্ মির্জা লিখেছেন : যেই খিলাফত নিয়ে আবু বকর উমার উসমান প্রশ্নবিদ্ধ শিয়াদের কাছে যার কারনে উদ্ভব হল শিয়া সুন্নি সেই খিলাফত জিনিসটা আমি আজো বুঝতে পারি নি। খিলাফাত নির্বাচনে র সত্যিই কাইউম কোন স্পেসিফিক সিস্টেম আছে ইসলামে? যদি থেকে থাকে তাহলে পাচ জন খলিফা পাচ সিস্টেম এ নির্বাচিত হল কেন? আর খলিফা যদি এতই গুরুত্ব পুর্ন হয়ে থাকে তাহলে রাসুল স কেন খলিফা নির্বাচন করে গেলেন না? আর যদি অগুরুত্বপূর্ণ ই হয়ে থাকে তাহলে কেন রাসুলের মৃত্যুর পর তার দাফন কাফন না করে সাহাবিরা তিন দিন তিন রাত ধরে বনু সকিফাতে শলা পরামর্শ করে খলিফা নির্বাচন করল?
251803
০৭ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৮:০২
কাহাফ লিখেছেন : আপনার ভাবনা ভাবনাতেই সীমা বদ্দ্ব.....।
০৭ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৬
196118
জিয়া্ মির্জা লিখেছেন : কিন্তু মুসলিম দের সচেতন তো করতে পারি। তারা যেন ইহুদি সাউদি পশ্চিমা অপপ্রচার এ বিভ্রান্ত না হয়।
252136
০৮ আগস্ট ২০১৪ রাত ০১:১৯
জিয়া্ মির্জা লিখেছেন : যেই খিলাফত নিয়ে আবু বকর উমার উসমান প্রশ্নবিদ্ধ শিয়াদের কাছে যার কারনে উদ্ভব হল শিয়া সুন্নি সেই খিলাফত জিনিসটা আমি আজো বুঝতে পারি নি। খিলাফাত নির্বাচনে র সত্যিই কাইউম কোন স্পেসিফিক সিস্টেম আছে ইসলামে? যদি থেকে থাকে তাহলে পাচ জন খলিফা পাচ সিস্টেম এ নির্বাচিত হল কেন? আর খলিফা যদি এতই গুরুত্ব পুর্ন হয়ে থাকে তাহলে রাসুল স কেন খলিফা নির্বাচন করে গেলেন না? আর যদি অগুরুত্বপূর্ণ ই হয়ে থাকে তাহলে কেন রাসুলের মৃত্যুর পর তার দাফন কাফন না করে সাহাবিরা তিন দিন তিন রাত ধরে বনু সকিফাতে শলা পরামর্শ করে খলিফা নির্বাচন করল?
০৮ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৫:৪৯
196285
কাহাফ লিখেছেন : এ বিষয়ে একটু স্টাডি করুন, জবাব পেয়ে যাবেন নিজেই........................।
০৮ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:২৭
196350
জিয়া্ মির্জা লিখেছেন : আমি জ্ঞানী দের জন্য ওয়েট করছি। আল্লাহ পাক বলেছেন "তোমরা যা না জান তা জ্ঞানী দের কাছ থেকে জেনে নাও।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File