♥ ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর স্বার্থেই কওমি মাদ্রাসা বন্ধ করা উচিত ,এত লিস্ট সংস্কার ♥
লিখেছেন লিখেছেন জিয়া্ মির্জা ০৬ আগস্ট, ২০১৪, ০৬:০৩:০০ সকাল
♦♦ " দ্বীন ইসলাম কি পরিপুর্ন জীবন বিধান " যদি তাই হয় তাহলে শ্রদ্ধেয় আলেম সমাজ একটু ভেবে দেখবেন কি ♦♦♠
, ১) মাদ্রাসা শব্ধ টি আরবি 'দরস' থেকে উৎপন্ন হয়েছে, দরস মানে, 'পাঠ' /স্টাডি/ লেসন/ মাদ্রাসাঃ ইসলামী পরিভাষায়, যেখানে ইসলামী শিক্ষা দেয়া হয়, সে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কে 'মাদ্রাসা' হিসেবেই লেখা হয়, পড়ানো হয়, বুঝানো হয়।
২) এবার আমরা দেখবো, ইসলাম কে কি আল্লাহ শুধুমাত্র একটি সো কল্ড ধর্ম বলেছেন নাকি অন্য কিছু ও বলেছেন? ইয়েস, এটি কে 'কমপ্লিট কোড অফ লাইফ' বলা হয়েছে।
৩) এবার দেখবো কুরআন কে কি শুধু একটি সো কলড ধর্ম গ্রন্থ বলা হয়েছে? নাকি মানবজাতির মুক্তির সনদ বলা হয়েছে? ইয়েস, অবশ্যই এটা কে ''মানব জাতীর মুক্তির সনদ'' বলা হয়েছে।
৪) এবার দেখবো এই মুক্তির সনদ বলতে কি শুধু আখিরাতে মুক্তি নাকি আরও কিছু বলা হয়েছে? ইয়েস, উই ফাউন্ডঃ এটাকে দুনিয়াবি শান্তি-উন্নতি এবং আখেরাতে মুক্তির সনদ বলা হয়েছে।
৫) এবার দেখবো, দুনিয়াবি শান্তি আর উন্নতির জন্য আমরা কুরআন থেকে কি পেতে পারি? ইয়েস, কুরআন এ ই মহান আল্লাহ বলছেন উনার সৃষ্টি নিয়ে গবেষণা করার জন্য। সবি পাবো।৬) এবার দেখবো, আমাদের ট্রাডিশনাল সুন্নি মাদ্রাসা গুলোতে (বিশ্বব্যাপী) মুলত কিসের উপর জোর দেয়া হয়? ইয়েস, উই ক্যান সি, এগুলতে , কুরআন মুখস্ত করা, শরিয়ত এর আদেশ নিষেধ, আকিদা-ঈমান, ইসলামী সঙ্গীত এর পিরিওডিক্যাল অনুস্থানাদি, কিরাত পরতিযগিতা, হামদ, নাত প্রতিযোগিতা, আর সরকার কত্রিক নিয়ন্ত্রিত মাদ্রাসা গুলোতে বাড়তি হিসেবে ইংলিশ, অর্থনীতি, বিজ্ঞ্যান, রাষ্ট্র নীতি, ইসলামের ইতিহাস, এগুলো ও পড়ান হয়, কিন্তু বাস্তবিক অর্থে শেখান থেকে একজন ছাত্র না পারে ঠিকমতো ওই শরিয়া বিষয়ক জ্ঞ্যান এ বিজ্ঞ হতে আর না পারে বিজ্ঞান, অর্থনীতি টেকনোলোজি এগুলতে বিজ্ঞ হতে। যা মুলত বের হন তাঁদের মধ্যে আমরা ২ জাতের মানুষ পাইঃ ১) বেসরকারি (কওমি) থেকে বের হওয়া মানে, তার পক্ষে সেই কওমি মাদ্রাসায় ই শিক্ষকতা, অথবা কোন মসজিদে ইমামতির জব, এগুলো ছাড়া আর কিছু করার থাকেনা, অথচ উনাদের বেশীর ভাগ ই কুরআন এর মতো এতো বিশাল নলেজ এর ভাণ্ডার কে অন্তরে ধারন করে হাফিয হয়ে বশে আছেন। আর ২) সরকারি মাদ্রাসা থেকে দুই দিক সামাল দিয়ে কোন মতে পাশ করে বের হয়ে এলেও ভালো কোন কম্পানি তে তাঁদের চাকরি হয়না। কর্পোরেট ওয়ার্ল্ড এর অফিস গুলোতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ হতে হবে এরকম বলে দেয়া হয়।
৮] মাদ্রাসা শব্দ যদি আরবি 'দরস' বাংলা স্টাডি, ইংলিশ লেসন থেকে আসে, আর মাদ্রাসা মানে যদি ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর নাম হয়ে থাকে সেখানে শুধু শরিয়া বিষয়ক লেখাপড়া কে কেন একমাত্র শিক্ষা হিসেবে বেঁধে দেয়া হল (কওমি)? আর কেনই বা শরিয়া শিক্ষার সাথে দুনিয়াবি উন্নতির শিক্ষ্যা গুলো কে অপশনাল করে রাখা হল / অপশনাল না হলেও, কেন সেখানে একটা ছাত্র এর উপর ডাবল চাপ না দিয়ে কারো জন্য ধর্মীয় টি অপশনাল, (হাল্কা) আর বিজ্ঞান, অর্থনীতি, এগুলো কে একমাত্র বেবস্থা, এবং কারো জন্য বিজ্ঞ্যান, অর্থনীতি টেকনোলোজি এগুলোকে অপশনাল আর শরিয়া গুলো কে একমাত্র করে দেয়া হচ্ছে না, যাতে যার যেদিকে জোক বেশী বা মাথা কাজ করবে বেশী সে সেদিকে বিজ্ঞ হতে পারে, দেশ, মানুষ, এর উন্নতির কাজে লাগতে পারে??
এমনি যদি হবে এর নাম ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাখা হচ্ছে কেন? ইসলাম তো শুধু একটা ধর্ম নয়। এটা কমপ্লিট কোড অফ লাইফ। একটা কমপ্লিট কোড অফ লাইফ কে কেন শুধুমাত্র নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, বিয়ে, তালাক, ইমামতি, আযান, জানাজা পড়ানো, ফতওয়া দেয়া এগুলতে সিমাবধ করে রাখা হল? কেন একটা কমপ্লিট কোড অফ লাইফ যা গবেষণা করে কুরআন এর মতো বিশাল মহা বিজ্ঞান এর গ্রন্থ থেকে আমরা পেতে পারি, সেই মহা গ্রন্থ কে ও শুধু মসজিদে, অজুখানায়, হজের মাঠে, কবরের পাশে, মৃতের দুয়ায়, মক্তবের আলিফ বা তা সা'ইয় সিমাবদ্ব করে ফেলেছি?
ইসলাম যদি কমপ্লিট কোড অফ লাইফ হয় আর কুরআন যদি মহা বিজ্ঞানির দেয়া গ্রন্থ হয়, তাহলে সুন্নি মাদ্রাসা থেকে পাশ করে বের হয়ে কেউ মঙ্গলে যেতে পারছেনা কেন? স্যাটেলাইট বানাতে পারছেনা কেন? ওয়েবসাইট বানাতে পারছেনা কেন? ফেসবুকে যে ধর্ম প্রচার করে ''মুই কি হনু রে ''টাইপ হুক্কা হুয়া আওয়াজ তোলা হচ্ছে সেই ফেসবুক কোন মাদ্রাসা ছাত্র কেন বানাতে পারলনা? কেন মাদ্রাসায় ক্যান্সার/ এইডস এর মতো মারাত্মক রোগের ঔষধ আবিষ্কার এর ল্যাবরেটরি নেই??? কেন এগুলো সব পশ্চিমা দের দখলে অথবা যারা মাদ্রাসায় পড়েনা তাঁদের দখলে??
এবার যান ইরানে। গিয়ে দেখেন পৃথিবীর একমাত্র 'ইসলামিক রিপাবলিক' এর এডুকেশনাল সিস্টেম! না যেতে পারলে কারো কাছ থেকে খবর নিয়ে দেখুন যারা ইরানে আছেন।তাদের সিনেমা ফিল্ম সম্পর্কে তো জানেন নিশ্চয়ই । দ্বীন ইসলামের বেসিক টিচিং গুলো তারা যেভাবে চমৎকার করে ফুটিয়ে তোলে সত্যি অভিভূত না হয়ে পারা যায় না । সমর শক্তি তো এখন ইসরাইল মেরিকা আর সৌদির আতংকের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়ে ছে । আর সর্ব শেষ নিউজ অনুযায়ীঃ ইরানি বিজ্ঞানি রা ক্যান্সার এর ঔষধ আবিষ্কার এর কাছাকাছি আছে। ইনারা কেউ ন্যাংটা চলেন না রাস্তায়, নারী বিজ্ঞানি আছেন যিনি গর্বের সাথে হিজাব মেইন্টাইন করেন। ইরানি বিশ্ববিদ্যালয় গুলো তে ৬৫ % এর বেশী নারী স্টুডেন্ট। কেউ ই নেঙটা চলেন না। সকলেই এডুকেটেড, আবার এই নারী হাইলি এডুকেটেড রা ই পুরুষ এর
পাশাপাশি মেধা প্রজ্ঞা আর কুরানিক ভাস্ট নলেজ দিয়ে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন উলংগ পশ্চিমাদের টেক্কা দিয়ে। মহররমে একই সাথে রক্তাক্ত কারবালায় যান। ইসলামের জন্য ইমাম হুসেন যেভাবে জীবন দিয়েছেন নবি পরিবারের ৭২ জন সদস্যসহ তাকে যে নিষ্ঠুর নির্মম ভাবে জবাই করা হয়েছে সেই শোকের কথা মনে করে অঝোরে কাঁদেন। সেখান থেকেই আবার সেই শোককে শক্তিতে পরিনত করে নতুন করে দ্বীন ইসলামের চেতনায় উজ্জীবিত হন।
তাই আগে আমাদের আলেমদের পরিবর্তিত হবে। তারপর তারাই আমাদের সঠিক পথে পরিবর্তিত করবার প্রয়াস নিবেন। শুধু মুখে মুখে খিলাফত খিলাফত চিল্লাইলেই খিলাফত আসবে না। আমাদের দেশে কোন ইসলামী আলেম বক্তৃতা দিলে বিশেষ করে মেয়ে রা অট্ট হাঁসি হাসে, আর তারা মার খেতে দেখলে নারী রা হাত তালি দেয়। ওখানে শুধু ইরান এর কথা ফেলে রাখি, ইমাম খমেনির কথা ও ফেলে রাখি, শুধু লেবাননের হাসান নাস্রুল্লাহ্র ব্যাপারে যদি পশ্চিমা সহ কেউ কোন 'টু' শব্দ উচ্চারন করে লেবানন, সিরিয়া, ইরাক সহ ইরানি হাইলি এডুকেটেড নারী গন পুরুষ থেকে বেশী পরিমানে নাস্রুল্লাহ্র ছবি হাতে নিয়ে, মাথায় নিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন। বুঝুন অবস্থা!!!!! আর আমাদের বাংলাদেশের অবস্থা ?আহারে! দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ আলেমে দ্বীন মুসলিম উম্মাহর অহংকার আল্লামা শাহ আহমদ শফী (দা;বা কে যেভাবে অপমান অপদস্থ করা হচ্ছে বেইজ্জতি করা হচ্ছে আর নারী সমাজ রাস্তায় তো দূর উল্টা তালিয়া বাজাচ্ছে ।আফসোস রাখার ও জায়গা নাই । পরিবর্তন কোথা থেকে করতে হবে উপরের কথা থেকে বুঝে নিন। আলেম দের কে ই পরিবর্তিত হতে হবে, পরিবর্তন আনতে হবে।যেমনটা এনেছিল ইরানের. আলেমরা ১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লব এর মাধ্যমে । ইসলাম আর খিলাফত নিয়া আন্দাজে চিল্লাইলে আর হাজার হাজার মাদ্রাসা ই খালি স্থাপন করে রাখলে কিছুই হবেনা, হচ্ছে ও না কিছু। হবেওনা কোনোদিন।
Never Ever
জিয়া মোহাম্মদ মির্জা
৭ , ৮ ,২০১৪
বিষয়: বিবিধ
১৮৭১ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ফিজিক্সের অনার্স-মাষ্টার্স গিয়া ব্যাংকের প্রিন্সিপ্যাল অফিসার, এম.বি.বি.এস গিয়া হয় ম্যাজিষ্ট্রেট, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হইছে সমাজ-কল্যাণ কর্মচারী, ইতিহাসের ছাত্র করে হিসাব-রক্ষণ, কেমিষ্ট করে প্রি-ক্যাডেট এর মাষ্টারী! এই আমাদের সাধারণ শিক্ষার ফলাফল! অথচ কোট-টাই লাগাইয়া এসব কাজ করার জন্য সর্বোচ্চ ছয় মাসের জেনারেল-ট্রেনিং-ই যথেষ্ট। মনে হয় ছয় মাসের ট্রেনিং দিয়া এসব ক্ষেত্রে মাদ্রাসার পোলাপান রিক্রুট করলেও ঐসবের চাইতে কোন অংশে কম সার্ভিস দিতো না!
যাই হোক এখানে কোন আশা নাই এ্যট লিষ্ট অদূর ভবিষ্যতে ... তাই স্বপ্ন দেখেন আপাতত!
মারহাবা, ইরাণীরা বেশ অগ্রগামী। তো, অন্য যারা লেংটা বাইবেল বিশ্বাসী অথবা লেংটা ইহুদী অথবা চীনের লেংটা নাস্তিক তাদের জ্ঞান-বিজ্ঞান-আবিস্কারের তুলনায় আপনার কোরানপূজরী ইরাণী মুমিনরা এখনো আদীম গুহবাসী, ১০০ বছর পিছিয়ে আাছে।। তাহলে তথাকথিত কোরাণের পূর্নাঙ্গ জীবন বিধানের অন্তসারশুন্য বাহাদুরীর কি দরকার? লেংটাই ভাল।
সমস্ত মুসলিম ছাত্রদের জন্য এটা করাটা জরুরী। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের মূলেই ধ্বংস করে দেয় – সহানুভূতি এবং সহযোগীতামূলক চরিত্র গড়ে দেয়ার বদলে আমাদের শেখানো হয় প্রতিযোগীতা!
ভাই রাগ করবেন না একটা কথা বলি। ভার্চুয়াল পরিচয় আমাদের। আপনি জানেন না আমি আস্তিক, নাস্তিক বা মুনাফিক। তেমনটি আপনার ক্ষেত্রেও। আমি আলোচনা চালিয়ে যেতে চাই। যতটুকু বুঝি বা জানি। আপনার জানা বিষয় দিয়ে আমি শোধরে যেতে চাই। আমার জানা বিষয় দিয়ে আপনাকে শোধরে দিতে চাই। ভালো মানসিকতা নিয়ে আলোচনা চালিয়ে মাইল ফলক হয়ত হবে না। কিন্তু একটা পদক্ষেপ তো হবে। এই আশা নিয়ে চলুন আলোচনা করি।
এরা কেন কুরআন রিসার্চ করে না ? এটাই আমার প্রশ্ন ।
এত বড় বড় আলেম এরা কেন বুঝে না ইসলাম যে পরিপুর্ণ জীবন বিধান তার অর্থটা ?
জীবনের সব কেত্রেই যদি ইসলাম হয় তাহলে নিজেদেরকে অরাজনৈতিক বলার সুযোগ আছে কি না ।
আমি যতটুকু বুঝি ইসলাম পরিপুর্ন জীবন বিধান মানে জীবনের সকল দিকই হলো ইসলাম এক দিক নিয়ে চলার কোন সুযোগ নেই।
মন্তব্য করতে লগইন করুন