টিভির পর্দায় হুঙ্কার ছাড়া আওয়ামী নেতাদের সম্পর্কে তৃণমূল আওয়ামীদের মনোভাব লক্ষ্য করুন।
লিখেছেন লিখেছেন আমি মুসাফির ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৩:৪৪:৪৯ দুপুর
এই সংবাদটি এক সাংবাদিকের প্রতিবেদিন থেকে নেয়া।
"দীর্ঘ এক মাসেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় আওয়ামী লীগ ও মিত্রদের মধ্যে পতনের ভয় কাজ করছে। একাধিক নেতাকর্মীর সঙ্গে কথা বললে তারা জানালেন, বিএনপির সঙ্গে সংলাপ না করার অর্থ নিজেদের পতন নিজেদের ডেকে আনা। তাদের দাবি যেটাই হোক সংলাপে বসলে সমাধানের পথ খুঁজে বের করা যেত।
বিএনপি আওয়ামী লীগের মতো একটি বড় দল। তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠন অত্যন্ত শক্তিশালী। তাদের বড় মিত্র শক্তি জামায়াতে ইসলামী। এই দুই বড় দল এককাতারে থাকলে তাদের সঙ্গে রাজপথে পারা যাবে না। সেটা লক্ষ্যও করা যাচ্ছে। যে কারণে পরিস্থিতির চরম অবনতি হওয়ার আগে সংলাপে বসলে ভালো হতো।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের একাধিক নেতাকর্মীর সঙ্গে কথা বললে তারা জানালেন, দলের মধ্যে সর্বস্তরের নেতাকর্মীর মনোবল ভেঙ্গে গেছে। ৫ জানুয়ারি যেভাবে নির্বাচন হয়েছে তাকে নির্বাচন বলা যায় না। নৈতিকভাবে দুর্বল একতরফা নির্বাচন করার পর থেকে। গত একটি বছর জোর করে কৌশল অবলম্বন করে ক্ষমতায় থাকতে হয়েছে বা এখন হচ্ছে।
সিলেট, নড়াইল এবং যশোরের তিনজন সংসদ সদস্য জানান, বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অবরোধ শুরুর পর এবং বেগম জিয়ার মনোভাব দেখে আমরা বলেছিলাম তাদের সঙ্গে বসে আলোচনা করা হোক। তখন আমাদের কথাকে মূল্য দেয়া হয়নি। এখন পরিস্থিতি যখন বেসামাল পর্যায়ে চলে গেছে তখন হুঙ্কার দেয়া নেতারা বলছেন, অবরোধ তুলে নিলে সংলাপে বসা যেতে পারে। সুবিধাবাদী নেতাদের সুর পাল্টে যাওয়ায় সকলের মধ্যে ভয় ঢুকে পড়েছে।
পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠী ২০ দলীয় জোটের পক্ষে চলে গেছে। দমননীতি চালিয়ে বেশিদিন ক্ষমতায় থাকা যায় না তার প্রমাণ হয়তো মিলতে পারে।
তারা এ প্রতিনিধিকে আরো বলেন, কতিপয় মন্ত্রী ও নেতার লাগামহীন বক্তব্য ক্ষমতাকে নড়বড়ে করে তুলেছে। এমনিতে নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে। সেক্ষেত্রে মন্ত্রীদের সহনশীল মনোভাব নিয়ে কথাবার্তা বলা উচিত ছিল। অসহনশীল কথাবার্তা সরকারের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ণ করছে। আর এ কারণে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশনার পরও নেতাকর্মীরা মাঠে নামতে সাহস হারিয়ে ফেলেছে। "
বিষয়: বিবিধ
১৪৫৭ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধনবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন