ইসলাম বিরোধী কোন আইন করা হবে না এ প্রতিশ্রুতির সত্যতা কোথায় ?
লিখেছেন লিখেছেন আমি মুসাফির ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৪:৩৭:৫৮ বিকাল
এমন ঘটনা অনেক ঘটেছে যা বার বার আলোচিত ও সমালোচিত হয়েছে। কিন্তু শাসকগোষ্ঠী সে সামলোচনার কোন গুরত্ব দেয়নি বা তাদের মনের কোণে লুকায়িত তাদের প্রভুদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেই চলেছে ।
সাধারণ মুসলমানরা যাদেরকে উপরোক্ত কথায় বিশ্বাস করেছিল কিন্তু শাসক গোষ্ঠী সে বিশ্বাসের মুলে কুঠারাঘাত করে্ই চলেছে।
নারী নীতিমালা সহ ইসলাম বিরোধী অনেক কাজই সরকার করে চলেছে।
এবার সেনাবাহিনী পরিচালিত আর্মড ফোর্স মেডিক্যাল কলেজে হিজাব নিষিদ্ধ করা হয়েছে!!- এটা কি কামাল আতার্কুকের দেশ!
কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা দেশে ঘটতেই পারে। কিন্তু একটি মুসলিম প্রধান একটি দেশে প্রতিনিয়ত এমন সব পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে যা ধর্মপ্রাণ সব মুসলমানের বুকে কুঠারাঘাত করার মতো।
কিন্তু প্রশ্ন হলো কেনো নেয়া হবে এমন পদক্ষেপ? ড্রেস কোড গুলো কে বানায়? তাদের মোটা মাথায় কি এটুকু জ্ঞান থাকেনা যে এখানকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী স্বাভাবিক ভাবে মুসলিম হবে।
হিজাব নারীর পর্দার অবিচ্ছেদ্য অংশ। ইভটিজিং-ধর্ষন থেকে বাচার সহজ একটি মাধ্যম হিজাব করা। বাংলাদেশ এখনো যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা হয়ে যায় নি। এখানে কোটি রক্ষণশীল মুসলিম পরিবার বাস করছে। তাদের অবধারিত ড্রেস কোড পর্দা করা। ইসলাম সে শিক্ষা দেয়- ফরয হিসেবে। যাদের মানতে আপত্তি সেটা তাদের ব্যাপার।
কিন্তু মামূলী ড্রেস কোডের নাম ভাঙ্গিয়ে ইসলামের একটি 'ফরয' নিষিদ্ধ করা হবে আর সেটা বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মেনে নিবে এমন ভাবার প্রয়োজন নেই।
তাদেরকে মনে রাখতে হবে এটা তিতুমিরের দেশ, শাহাজালালের পুণ্যভূমি, বারো আউলিয়ার মাটি। এখানে সব ধর্মের মানুষ থাকবে। মুসলিম বলে একে একে সব বিধান মুছে ফেলার সাহস দেখালে চুপ করে থাকবে না মুসলমানরা। একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একটি শিক্ষিত জাতির প্রতিনিধিত্ব করে।
কিভাবে একটি সেনাবাহিনী পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে 'হিজাব' নিষিদ্ধের মত ঘটনা ঘটে!
আমরা আশা করছি কোন বিশেষ মহল ধর্মীয় কোন স্পর্শকাতর ব্যাপারে সেনাবাহিনীকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মুখোমুখি দাড় করাবে।
যার যার ধর্মীয় বিধান স্বাধীন ভাবে পালন করার স্বাধীনতা সব ধর্মেরই আছে। শুধু ইসলামের উপর কেনো একতরফা ভাবে 'কিস্তি ' ফলানো হবে!?
এসব রুখে দাড়ানোর সময় কি এখনও আমাদের হয়নি?
বিষয়: বিবিধ
১৪৫০ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কিন্তু তাদের বংশধরেরা অথর্ব স্বার্থপর ও নপুংশক
(সামান্য ব্যতিক্রম বাদে)
মন্তব্য করতে লগইন করুন