বিশিষ্ট মনিষীদের কুরআন অধ্যয়ন এবং অসাধারণ ফিডব্যাক।
লিখেছেন লিখেছেন আমি মুসাফির ২২ জুলাই, ২০১৪, ০৪:২৯:২৬ বিকাল
পবিত্র কুরআনে এমন সব বৈজ্ঞানিক তথ্য রয়েছে যা নাযিল হয়েছে ১৪ শত বছর আগে আর তার সত্যতার প্রমাণ হচ্ছে আজ এই একবিংশ শতাব্দীতে।
এই কুরআন নিয়ে বিভিন্ন ধর্মের বিশিষ্ট মানুষদের কিছু উক্তি শুনুন । যদিও অনেকের জানা তবুও শুনলে ভাল লাগবে।
১। সু সাহিত্যিক আবু উসমান আল জাহিস বলেন, কুরআন নাস্তিকদের বিরুদ্ধে অকাট্য প্রমাণ,আস্তিকদের জন্য ষ্পষ্ট বর্ননা, হালালের প্রতিষ্ঠাতা, হারামের উচ্ছেদকারী এবং হক ও বাতিলের পার্থক্যকারী। কুরআন এমন বিচারক যে, জ্ঞানী মুর্খ সবাই যার দিকে প্রত্যাবর্তন করে ইহা এমন জ্ঞান যার ধ্বংস নে্ই।
২। মিঃ ভুগেন্দ্রনাথ বসু লিখেছেনঃ কুরআন একটি চিরন্তন আদর্শ। দীর্ঘ ১৩০০ বছর পরও কুরআনী শিক্ষার প্রভাব এত বেশী শক্তিশালী যে, নীচ বংশের একজন নগণ্য লোকও ইসলাম গ্রহণ করার পর বড় বড় খান্দানী মুসলমানের সমপর্যায়ভুক্ত হবার সুযোগ পেয়ে থাকে।
৩। জি,এম রাডউইন তার ,দি কুরআন, গ্রন্থে লিখেছেনঃ আল কুরআন জ্ঞান ও অনুপেরনার উৎস।
৪। ঐতিহাসিক লেনপুল বলেনঃ শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে দুনিয়ার উপর পাপাচারের যে আচ্ছাদন পড়েছিল কুরআন সেসব নির্মুল করল এবং দুনিয়াকে উন্নত চরিত্র,নাগরিক আইন ও জ্ঞান-বিজ্ঞান সম্পর্কে অবহিত করলো।
৫। ডঃ মরিস বুকাইল বলেনঃ কুরাান সসঙ্গত ভাবেই বলা যায়,বিজ্ঞানীদের জন্যে একটি বিজ্ঞান সংস্থা, ভাষাবিদদের জন্যে একটি শব্দকোষম বৈকারনিকদের জন্য একখানা ব্যাকরণ গ্রন্থ, কবিদের জন্য একখানা ছন্দ,সংহিতা এবং কানুন ও বিধানের জন্য ইহা বিশ্বকোষ।
৬। ফরাসী দার্মনিক লিভার জোর বলেনঃ আল কুরআন উজ্জল ও জ্ঞিানময় এক অসাধারণ গ্রন্থ। এতে কোন সন্দেহ সংশয় এর অবকাশ নেই। কেননা এটা এমন এক ব্যক্তির উপর অবতীর্ন হয়েছে,যিনি সত্য এবং আল্লাহর প্রেরিত পুরুষ।
৭। ডেভিট রপোর্ট,"মুহাম্মদ এন্ড কুরআন" গ্রন্থে লিখেছেনঃ আল কুরআন মুসলিম জাতির সামগ্রিক জীবন বিধান। পরিবার-সমাজ, রাজণীতি-অর্থনীতি, প্রতিরক্ষা, বিচার ও প্রশাসনসহ সকল ক্ষেত্রে উপযোগী,উন্নত,সার্বজনীন ও কল্যণকর বিধানাবলী এতে বিদ্যমান। পাশাপাশি এটি একটা ধর্মগ্রন্থও বটে।
৮। ডঃ স্যামুয়েল জনস বলেনঃ আল কুরআনের মর্ম ও আবেদন এতই ব্যাপক, সার্বজনীন ও কালজয়ী যে, প্রতি যুগের যাবতীয় স্লোগান অবলীলায় এর সামনে অনুজ্জল ও নিষ্প্রভ হয়ে যায়। আর বিজন, বন, প্রাণহীন মরু, সুসভ্য নগর এবং বিশাল সাম্রাজ্য সর্বত্রই এর আওয়াজ সোচ্চার কন্ঠে ঘোষিত হয়।
৯। ফরাসী গবেষক মসিয়ে লুমিয়র বলেনঃ যারা ইসলামকে বর্বর বলে থাকে তারা কুরআন মজীদের শিক্ষা ও দর্শন সম্পর্কে অজ্ঞ। কুরআনের শিক্ষার আলোকেই বর্বর আরবদের জীবনে আমুল পরিবর্তন এসেছিল। তারা একেটি সোনার মানুষে পরিণত হয়েছিল।
১০। "বোনাপার্ট এন্ড ইসলাম গন্থে" নেপোলিয়নের উক্তিঃ আল কুরআন অদ্বিতীয় জীবন বিধান। আমার ইচ্ছে হয় যে, আমি পৃথিবীর সকল জ্ঞানী, চিন্তাবিদ ও প্রতিভাধর ব্যক্তিদেরকে একত্র করে কুরআনী শিক্ষার আলোকে একটি অপ্রতিদ্বন্দ্বী জীবন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবো। শুধুমাত্র এই শিক্ষাই মানব জাতিকে সন্তোষজনক ও চুড়ান্ত লক্ষ্যে পৌছাতে পারে।
১১। খৃষ্টান ঐতিহাসিক মিঃ বাগলে বলেনঃ আল কুরআন বিতর্কের উর্দ্ধে এটাই একমাত্র গ্রন্থ, যার মধ্যে ১৩০০ বছরেও কোন পরিবর্তন পরিবর্ধন সংঘটিত হয়নি এবং আল কুরআনের সামনে উপস্থাপন করার মত কোন জ্ঞান ইহুদী ও খৃষ্টানদের ধর্মে নেই।
১২। টমাস কার্লাইল লিখেছেনঃ ,আমার নিকট এ বিষয়টি অত্যন্ত পরিষ্কার যে, কুরআনের মধ্যে সত্যতা ও বস্তুনিষ্ঠতার গুণাবলী সর্বযুগেই সমভাবে বিদ্যমান এবং এ কথাটি দিবালোকের মত সত্য যে, পৃথিবীতে যদি সুন্দর এবং কল্যাণকর কিছু সৃষ্টি হয়, তবে কুরআন থেকেই হতে পারে।
১৩। ভারতীয় গবেষক লালা লাজপাত রায় বলেছেনঃ আলকুরআন আধ্যাত্মিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক শিক্ষক। আমি ইসলামকে ভালবাসি এবং ইসলামের নবীকে মহাপুরুষ বলে জানি। আমি আন্তরিকভাবে কুরআনের চারিত্রিক, সামাজিক, রাজনৈতিক আচরণগত এবং আধ্যাত্মিক শিক্ষার প্রসংশা কির এবং ইসলামের ঐ নৈতিক বৈশিষ্টকেই সর্বশেৃষ্ঠ মনে করি, যা উমর ইবনে খাত্তাব রাঃ এর যুগে ছিল।
উপরিউক্ত আলোচনায় জানা গেল যে, আল কুরআন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ধর্মীয় গ্রন্থ এবং এর শ্রেষ্ঠত্ব মহত্ব অনস্বীকার্য,দলমত নির্বিশেষে যেই এর অধ্যয়ন করেছে সেই চমৎকারিত্বে বিমোহিত হয়ে দ্যর্থহীন কন্ঠে স্বীকার করেছেন যে, এটি শুধু একটি ধর্মীয় গ্রন্থই নয়, মানব জীবনের সকল দিক ও বিভাগের নির্দেশনা প্রদানকারী এক মহামুল্যবান গ্রন্থ।
আমরা মুসলমান হিসাবে এর কতটুকু গবেষনা ও অধ্যয়ন করে কতটুকু মুল্যায়ন বা কি ফায়দা লাভ করতে পেরেছি এই প্রশ্ন থেকেই যায়।
উৎসঃ সত্যের ডাক।
বিষয়: বিবিধ
১৬৯৫ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন