ইবাদাত শেষ পর্ব ।
লিখেছেন লিখেছেন আমি মুসাফির ১২ জুলাই, ২০১৪, ০১:৫১:৪৮ দুপুর
কিন্তু প্রকৃত ব্যাপার এই যে আল্লাহ যে ইবাদতের জন্য আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং যে ইবাদাত করার আদেশ আমাদেরকে দেয়া হয়েছে তা সম্পুর্ণ ভিন্ন জিনিস।
সে্ই ইবাদাত হলো, আমরা আমাদের জীবনের প্রত্যকটি মুহুর্তেই আল্লাহর আনুগত্য স্বীকার করে চলব এবং আল্লাহর আইনের বিরোধী এ দুনিয়ায় যা কিছু প্রচলিত আছে তা অনুসরণ করতে একেবারে অস্বীকার করব। আমাদের প্রত্যেকটি কাজ, প্রত্যেকটি গতিবিধি আল্লাহর নির্ধারিত সীমার মধ্যে হতে হবে। এ পন্থায় যে জীবন যাপন আমরা করব তার সবটুকুই ইবাদাত বলে গন্য হবে।
যে সব কাজকে আমরা দুনিয়াদারী বলে থাকি তাও ইবাদাত এবং দ্বীনদারী হতে পারে যদি সকল বিষয় আমরা আল্লাহ নির্ধারিত সীমার মধ্য থেকে আল্লাহর দেয়া বিধান অনুসারে সমাধা করি।
অতএব চেতনা লাভের পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আল্লাহর আইন অনুযায়ী চলা এবং তারই নির্ধারিত বিধান অনুযায়ী জীবন যাপন করার নামই হচ্ছে আল্লাহর ইবাদাত।
এই ইবাদাতের জন্য নির্দিষ্ট কোন সময় নেই। এই ইবাদাত সব সময় হওয়া চাই , এ ইবাদাতের জন্য কোন নির্দিষ্ট প্রকাশ্য রুপ নেই, কেবল প্রতিটি রুপের প্রত্যেক কাজেই আল্লাহর ইবাদাত হতে হবে।
আমরা এ কথা বলতে পারব না যে, আমি অমুক সময় আল্লাহর বান্দা আর অমুক সময় আল্লাহর বান্দা নাই। আর একথাও বলতে পারব না যে, অমুক সময় আল্লাহর ইবাদাতের জন্য এবং অমুক সময় আল্লাহর কোন ইবাদাত করতে হয় না।
এ আলোচনা থেকে আমরা নিশ্চয়ই ইবাদাত শব্দের অর্থ ভাল করে জানলাম এবং একথাও বুঝলাম যে, প্রত্যেক মুহুর্তে সকল অবস্থায় আল্লাহর দাসত্ব ও আনুগত্য করে চলার নামই ইবাদাত।
আল্লাহ আমাদের এমন ইবাদাত করার তৌফিক দিন। আমীন।
সুত্রঃ নামাজ রোজার হাকিকত।
বিষয়: বিবিধ
৯৬৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন