খেসারত দেবার প্রস্তুতি নিন।
লিখেছেন লিখেছেন আমি মুসাফির ০৩ জুলাই, ২০১৪, ০২:২৪:৪৫ দুপুর
দেশের রাজকোষ লুটপাটের পরে এখন জনগনের পকেট কাটার কাহিনী শুরু করছে দেশের মুজিব কন্যা শেখ হাসিনা!
কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট মানে কুইক দুর্নীতি। নিজেদের দলীয় লোক ও স্বজনদেরকে বিনা টেন্ডারে রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট করতে দেয় হাসিনা।
সরকার তাদের জন্য জ্বালানি তেল আমদানী করে কম মূল্যে সরবরাহ করে বিদ্যুৎ উৎপদান করে পিডিবি সেই বিদ্যুৎ কিনে ১৪-১৫ টাকায়, আর বিক্রি করে কম দামে।
উল্লেখ্য পুরোনা হাইড্রলিক বা গ্যাস সিষ্টেমে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ ইউনিট প্রতি ৩-৪ টাকার বেশী নয়। অথচ বর্তমানে গোটা বিদ্যুৎ সেক্টর জুড়ে চলছে লুটপাটের রাজত্ব।
২০১০-১২ তিন বছরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ভর্তুকির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৭৫৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা। লোকসানের এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০১৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেড় বছরে এই দুই খাতে অতিরিক্ত ৩৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হবে।
চারদলীয় জোট সরকারের প্রথম তিন বছরে এই দুই খাতে ভর্তুকি ছিল ২৪০১ কোটি টাকা। বর্তমান সরকারের এই ডাকাতি যাতে ধরা না যায়, সে জন্য হাসিনা সংসদে আইন পাশ করে বিদ্যুৎ সেক্টরকে আদালত ও বিচারের বাইরে রেখেছে। বর্তমান কুইক রেন্টাল ব্যবস্থায় প্রতি বছর যে ক্ষতি হয়, তার একটা সংক্ষিপ্ত হিসাব:
➶ টেন্ডার না করে ইচ্ছেমতো অবৈধভাবে দর বৃদ্ধির ফলে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। এর ফলে পিডিবি রেন্টালের কাছ থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ ১৪.৮০ টাকা দরে ক্রয় করে জনগনের কাছে বিক্রি করছে গড়ে ৭.৮০ টাকা। এতে পিডিবির ক্ষতি দাঁড়াচ্ছে বার্ষিক ৮০০০ কোটি টাকা।
➶ নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র না বসিয়ে পুরনো বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বসানোর ফলে যে অতিরিক্ত জ্বালানি ব্যবহার করতে হচ্ছে, তাতে গড় (ওয়েট ফ্যাক্টর অনুযায়ী) ৭.০০ টাকা হিসেবে ৬০% প্ল্যান্ট ফ্যাক্টর ধরে রেন্টাল-কুইক রেন্টাল পদ্ধতিতে কেনার ফলে বার্ষিক ক্ষতির পরিমাণ আরো ৮,০০০ হাজার কোটি টাকা।
➶ সরকার ডিজেল লিটারপ্রতি ২৫ টাকা কমে এবং ফার্নেস অয়েলে ১২ টাকা কমে রেন্টালদের বিক্রি করার ফলে শুধু জ্বালানির মূল্য বাবদ ভর্তুকি দিতে হচ্ছে ১৮,০০০ কোটি টাকা।
➶ সুতরাং সঠিক হিসাব করলে বর্তমানে রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল পদ্ধতিতে যদি ১০০০ মেঃ ওয়াট বিদ্যুৎ আসে তাহলে মোট বার্ষিক ভর্তুকি দিচ্ছে (৮০০০+৮০০০+১৮০০০) = ৩৪,০০০ কোটি টাকা।
⌦ হাসিনা ও তদীয় পুত্র এবং বোন এতদিন রেন্টাল পাওয়ারের কমিশন বাবদ হাজার হাজার কোটি টাকা জমা করেছে লন্ডন, আমেরিকা, সুইস ব্যাংক, ও বেলারুশে। এখন আবার জনগনের পকেট কাটার জন্য হাসিনা নতুন সুর তুলছে, “ভর্তুকি দিব না, বিদ্যুতের খরচ দিতে হবে জনগনকে!”
⇛ এ অবস্থায়, আমাদের পরিস্কার বক্তব্য:
➊ কুইক রেন্টাল পাওয়ারের নামে জনগনের পকেট কাটা চলবে না।
➋ কুইক রেন্টালের দুর্নীতির বিদ্যুৎ জনগন চায় না।
➌ গত পাঁচ বছরের রেন্টাল পাওয়ারে খরচের হিসাব ও দুর্নীতির বিচার চাই।
[হিসাবের সূত্র: বি.ডি. রহমতউল্লাহ্, সাবেক ডিজি পাওয়ার সেল]
বিষয়: বিবিধ
৭৮৬ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এরা দেশের ও দশের দুশমন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন