চীন সফরের কথা না বলে খালেদা/তারেকের বিরুদ্ধে কেন এই বিষোদগার ?

লিখেছেন লিখেছেন আমি মুসাফির ১৫ জুন, ২০১৪, ০১:৫৩:০৬ দুপুর



প্রতিটি দেশের প্রধান বা গুরুত্ব পুর্ণ মন্ত্রীরা দেশের উন্নয়ন কার্যক্রম বাড়াতে বিভিন্ন দেশ সফর করে এবং দেশে ফেরার পর সফরের সফলতা বা ফলপ্রসু সফর সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলন করে দেশ বাসীকে অবহিত করেন। তারই ধারাবাহিকতায় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি চীন সফর করে দেশে এসেছেন এবং সংবাদ সম্মেলন করেছেন ।

এখানে প্রশ্ন হলো এই সফর সম্পর্কে যত কথা বলার ছিল তা না বলে খালেদা তারেক এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়া সম্পর্কে এক প্রকার কুৎসা রটনা করেছেন।

আর অনেক সাংবাদিক অতি উৎসাহ হয়ে সফর প্রসঙ্গে প্রশ্ন না করে অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করে পরিবেশটা দুষণ করে ফেলেছে।

শেখ হাসিনার প্রথম কথাই হলো আগাম নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি সংলাপ চাইলেও তা না দেবার কথাই বলেছেন।

তিনি বলেছেন"‘একদিকে রিমান্ডে নিতে চায়। আরেকদিকে, সংলাপ। আমি কার সঙ্গে সংলাপ করব... আগে ঠিক করুক, কী করবে।’"

এটার সাথে চীন সফরের কি সম্পর্ক ?

জিয়া হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার স্ত্রী খালেদা জিয়া এবং ছেলে তারেক রহমানের সম্পৃক্ততার পাল্টা অভিযোগ করেন তিনি।

‘ওই মা আর ছেলেকে রিমান্ডে নিতে হবে, ওই (জিয়া) হত্যাকাণ্ডের সম্পৃক্ততা দেখার জন্য।’ এসব কথা কি চীন সফরের সাথে সম্পৃত্ত ?

এরপর বিএনপির বর্জনের মধ্যে দশম সংসদ নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পর বিএনপি নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগাম নির্বাচনের দাবিতে সংলাপ চেয়ে আসছে বিএনপি।

খালেদা সমপ্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে সংলাপে তার আগ্রহের কথা জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখন সংলাপের কথা বলছে। নির্বাচন বানচাল করতে তারা যে মানুষ হত্যা করেছে তাদের জীবন কী ফিরিয়ে দিতে পারবে।’

‘সময় হলে দেখা যাবে।’ চীন সফরের কথাটাই চাপা রইল।

বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে রাষ্ট্রদূতদের সাক্ষাত প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইইউ ‘নো’র সাথে দেখা করে কেন?

‘এখন সে লিডার অফ দি অপজিশন নয়। তার কোনো অফিসিয়াল স্ট্যাটাস নাই।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘উনি (খালেদা জিয়া) স্বামীর লাশ কেন দেখতে চাননি? ওটা তো গুলি খাওয়া লাশ ছিল। জেনারেল এরশাদ নিয়ে আসলো।

‘যে ছেলে এখন এত কথা বলছে সে তো খুব একটা ছোট ছিল না। সে কি বাপের লাশ দেখতে চেয়েছে? কী রহস্য?’

শেখ হাসিনা প্রশ্ন করেন যে, বিএনপি তিনবার ক্ষমতায় গিয়েও কোনো জিয়াউর রহমানের হত্যার বিচার করেনি?

বিএনপি ক্ষমতায় আসার পরও জিয়া হত্যার বিচার না করায় খালেদার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন করেন তিনি।

’৯১-এ ক্ষমতায় এসে হোম মিনিস্ট্রি কেন এই বিচার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল?”

‘সামরিক অভ্যুত্থানের বিচার হয়েছে। খুনের মামলার বিচার হয়নি। খুনের মামলা পেন্ডিং। খুনের মামলা তামাদি হয় না।’

এইচ এম এরশাদকে স্বামীর হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী করলেও তার কাছ থেকে ‘সুবিধা’ নেয়ার সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।

‘কী অছিলায়, কী কারণে, কী সম্পর্কে এরশাদের কাছ থেকে তিনি (খালেদা জিয়া) গাড়ি, বাড়ি আর টাকা নিলেন? এই জবাব ওই পরিবারকে দিতে হবে।’

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করার কথাও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

বিভিন্ন মামলায় ফেরার তারেককে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করা হবে কিনা জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মামলা চলছে। মামলার প্রয়োজনে যা করার তাই হবে।’

হবিগঞ্জ থেকে সমপ্রতি বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধারের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ কোনো ইনসারজেন্সি অ্যাকটিভিটি করুক, তা চাই না। আমরা বাংলাদেশের মাটি ক্লিন রাখতে চাই। আমার মাটি ব্যবহার করে অন্য দেশে খোঁচাখুঁচি করবে তা চাই না। এর ধকল দেশবাসীকেও নিতে হয়।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এবার দেখেন সেই সফর সম্পর্কে কিছু কথা । এখানেও সব কথা বলা হয় নাই।

চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি মেটাতে সরকারের উদ্যোগের কথা জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা চীন থেকে ডিফেন্স পারচেজ করি। তাতে ব্যবধান বেড়ে যায়। রফতানির বাজেট বাড়াতে হবে।’

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর চীনের বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়টি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, “৭১ সালে যে মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলো, তাদের আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি। তখন হয়তো বিশ্ব রাজনীতির কারণে অনেকে সমর্থন দেয়নি।’

মুক্তিযুদ্ধের পর চীনের সমর্থনের বিষয়ে কথা চলছিল বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। ‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সামাজিকভাবে আমাকে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হবে। এজন্য, যেই সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেবে—তা নেবো।’

গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের প্রসঙ্গে আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক দেশ থেকে অনেক প্রস্তাব আসছে। যে দ্রুত করে দিতে পারবে- তাকেই আমরা সমুদ্র বন্দর দেবো।

’চীন থেকে আমরা কেমন সহযোগীতা পাবো কিকি বিষয়ে কথা হয়েছে সেগুলো আরো বিস্তারিত ও ষ্পষ্টভাবে বলা উচিত ছিল কিন্তু তিনি কেন বলেন নাই বা সাংবাদিক ভায়েরা কেন সে বিষয়ে প্রশ্ন না করে আলতো ফালতো প্রশ্ন করে তাকে এক বিশেষ পরিবারের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলা হলো ? এর দায়িত্ব কে নিবেন? সাংবাদিকরা না হাসিনা উপদেষ্টারা না স্বয়ং প্রধান মন্ত্রী ?

Click this link

বিষয়: বিবিধ

১০৭৯ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

235084
১৫ জুন ২০১৪ দুপুর ০২:০৪
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : চায়নাদের কাছে থেকে বাম্বু খাওনের কারণে মুখে তাদের কথা আইছে না। হাসিনা সব সময় যে রোগ এবং ফৌবিয়ায় আক্রান্ত থাকেন হঠাৎ ঐ রোখের ভাইরাসগুলোর চ্যাতনাতে চুলকানি শুরু হওয়াতে হাসিনার মুখে দিয়ে এসব আউলা ঝাউলা পুরনো কাসুন্দিগুলোর বুলি আওড়াতে শুরু করেছে।
১৫ জুন ২০১৪ বিকাল ০৪:৩২
181718
আমি মুসাফির লিখেছেন : এভাবে চুলকাইতে থাকলে তো চুলকা্ইতে চুলকাইতে তার নিজের কাপড় উপরে উেঠে যাবে তখন মারাত্মক শরমের মুখোমুখি হতে হবে। সেদিকেই যাচ্ছে বলে মনে হয় ।
235085
১৫ জুন ২০১৪ দুপুর ০২:০৫
হতভাগা লিখেছেন : ''শেখ হাসিনা প্রশ্ন করেন যে, বিএনপি তিনবার ক্ষমতায় গিয়েও কোনো জিয়াউর রহমানের হত্যার বিচার করেনি?''

০ এটার উত্তর কি কোন বিএনপির ডাই-হার্ড সমর্থক আছেন যে দিতে পারবেন ?

মিলিয়ন ডলার কোশ্চেন থ্রু করেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা



১৫ জুন ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৩
181719
আমি মুসাফির লিখেছেন : চীনের সফলতা না বলে খালেদা তারেকের বন্দনা কেন? তাহলে কি চীন থেকে এমন কোন থেরাপি দিয়েছে ?
১৫ জুন ২০১৪ বিকাল ০৪:৪০
181723
হতভাগা লিখেছেন : বিএনপি একসময় চীনকে তাদের পক্ষে মনে করতো । কিন্তু সময় বদলেছে এবং পরিবর্তিত বিশ্ব ব্যবস্থার সাথে তাল মিলিয়েই সবাইকে চলতে হয় ।

চীন যখন দেখছে বিএনপি ডেড মিট তখন সে আওয়ামী লীগের সাথেই কাজ করবে ।

চারদিকে পুরনো বন্ধু ও সুহৃদ হারানো শুরু হয়ে গেছে বিএনপির ।
235095
১৫ জুন ২০১৪ দুপুর ০২:৪৯
নূর আল আমিন লিখেছেন : সাবধান আস্তে আস্তে লিখেন নইলে গুম কৈরালাইবো
১৫ জুন ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৫
181720
আমি মুসাফির লিখেছেন : এরাতো গুম কম করে নাই এখন তারা নিজেরা গুম হবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। দেখচেন না কিভাবে এক পক্ষ আর এক পক্ষকে মারা শুরু করেছে ?
235107
১৫ জুন ২০১৪ দুপুর ০৩:৩১
ইয়াফি লিখেছেন : মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইদানিং সাংবাদিকদের প্রশ্নকে ভয় করেন! তাইতো সংবাদ সম্মেলনে তিনি প্রশ্নোত্তরপর্ব শুরু করার সময় সাংবাদিকদের খোঁচা মারতে ভুলেননি। “আমি জানি আপনারা কে কি প্রশ্ন করবেন তারজন্য...” । সংবাদ সম্মেলনে তিনি বাংলাদেশকে অসাধারণ সুন্দর দেশ বলেও সাংবাদিকদের আগ্রহ সৃষ্টি করতে চাইলেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে তাঁর পরিবার-পরিজনরা কেন এত সুন্দর দেশ ফেলে আমেরিকা, বিলাত, ফিনল্যান্ডে ? তদুপরি তিনিও তাঁদের ওখানে বসবাসের প্রয়োজনীয় রসদ যোগান দিতে থাকেন।
১৫ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫০
181765
আমি মুসাফির লিখেছেন : হাসিনা যতই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলুক না কেন তার পরিবারের যে শংকর অবস্থা তাতে কেহই সেই চেতনা ধারণ করেনি বরং কাফের মুশরিকদের সংস্কৃতিতেই মানুষ হয়েছে। মুক্তযুদ্ধের চেতনা এখন শুধুই তাদের ব্যবসা।
ধন্যবাদ
235127
১৫ জুন ২০১৪ বিকাল ০৪:৪১
Sada Kalo Mon লিখেছেন : হাসিনা চীন থেকে কিছু আনতে পারেনি তাই সাংবাদিক সম্মেলনকে আবুল মার্কা কথায় মজিয়ে রেখেছে! আর বাংলাদেশের সাংবাদিকগুলো বদল মার্কা হয়ে গেছে! আর তাদের হেডামও নাই যে একটা ব্যতিক্রম প্রশ্ন করে হাসিনা আটকিয়ে দিতে! At Wits' End At Wits' End At Wits' End
১৫ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫২
181766
আমি মুসাফির লিখেছেন : এত চাটার দল হলে কেমন করে দেশ চলবে । সাংবাদিকরা এখন চাটার দলে সামিল হয়ে গেছে।
তাদের ভুমিকা যদি একটু পজেটিভ হতো তাহলে সংবাদ সম্মেলনটি এমনভাবে অন্যদিকে মোড় নিত না।
235237
১৫ জুন ২০১৪ রাত ০৯:৫৯
নূর আল আমিন লিখেছেন : হু ভাই দ্যাকছি
১৬ জুন ২০১৪ বিকাল ০৫:৪১
182011
আমি মুসাফির লিখেছেন : শুধু কি দেখবেন কিছু বলবেন না?

ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File