যদি ক্ষমতায় বসানো আর সরানোর মালিকানা দিল্লির হাতেই হয় তাহলে জনগনের দরকার কি?
লিখেছেন লিখেছেন আমি মুসাফির ২০ মে, ২০১৪, ০৭:০৬:২৫ সন্ধ্যা
ভারত আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। এখানে গনতান্ত্রিক পন্থায় বিজয়ী দল বিজেপি ও হবু প্রধানমন্ত্রী মুদীকে আমাদের দেশের সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো অভিনন্দন জানিয়েছে। এটা একটা সৌজন্যতা। কিন্তু এটিকে পূজি করে ক্ষমতায় থাকার আর ক্ষমতায় যাওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগীতা মোটেই কাম্য নয়।
গত কয়েকদিন আমরা সেটিই লক্ষ্য করছি। যদি ক্ষমতায় বসানো আর সরানোর মালিকানা দিল্লির হাতেই হয় তাহলে জনগনের দরকার কি? আর এদেশের স্বাধীনতা আর সার্বভৌমত্বই বা থাকে কোথায়?
রাজনৈতিক বড় দলগুলোর এমন অসুস্থ প্রতিযোগীতায় এদেশের জনগন দেখতে চায় না। যদিও ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনে ভোট ছাড়াই আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় বসিয়ে ভারতের কংগ্রেস সেই জঘন্য অন্যায়টি করে ফেলেছে। যা ছিল বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের উপর আঘাতের শামিল।
ভারতে জনগনের সবচেয়ে বেশী মেন্ডেট নিয়ে গনতান্তিক ভাবে নির্বাচিত দল বিজেপি । বাংলাদেশে কোন অগনতান্ত্রিক দলকে ক্ষমতায় থাকাকে সহযোগীতা করবে না (কংগ্রেসের মত) এটা এদেশের জনগনের প্রত্যাশা। আমাদের মনে রাখতে হবে বিজেপি অবিভক্ত ভারত ও হিন্দুত্ববাদের চেতনায় লালিত একটি দল। সুতরাং আর বিভক্তি নয়। এই মূহুর্তে দেশের অস্তিত্ব রক্ষায় জাতীয় ঐক্যের কোন বিকল্প নেই।
আমরা যদি আমাদের নিজস্ব শক্তি আর সম্ভাবনার দ্বারকে উম্মুক্ত করে বিশ্বের দরবারে মাথা উচু করে দাড়াতে পারি, তাহলে সবাই আমাদের কাছে আসতে বাধ্য হবে। এমন অযুত সম্ভাবনা এই দেশে লুকায়িত। আমাদের জাতীয় নেতৃবৃন্দ সেদিকেই মনোযোগী হবেন। আমজনতার এ্টাই প্রত্যাশা।
আর যদি এসব বুঝতে তারা অপারগ হন জনগণ থেকে ছিটকে পড়তে হবে যা তাদের করুণ পরিণতি ডেকে আনতে পারে।
বিষয়: বিবিধ
১০১৮ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
অশেষ ধন্যবাদ যৌক্তিক কথা বলার জন্য।
মন্তব্য করতে লগইন করুন