"এক পরিবারের এক সদস্যের এক অদ্ভুত বেদনামিশ্রিত অনুভুতি "
লিখেছেন লিখেছেন আমি মুসাফির ২১ মার্চ, ২০১৪, ০৭:৫৪:৪৯ সন্ধ্যা
কত মানুষ কত রকমের অভাবে আছে তারই এক দারুন আকুতি।
শুক্রবার মানেই আম্মু শাড়ী পড়বে , ............কারন আব্বু সেদিন বাসায় থাকবে ।
নিজের হাতে রানবে , সকল বেস্ততার মাঝেও, কারন আব্বু
............................................................সেদিন বাসায় থাকবে ।-
আমাদের সবাই কে বোকবে গোসল ......নামাজ ...তারাতারি শেষ করতে কারন .........................................................সেদিন আব্বু বাসায় থাকবে ।
রান্না শেষে ......গোসল করে .... শাড়ি পরে বের হবে...... তাড়াহুড়া করে শাড়ীর পাড় ঠিক করতে করতে কাজের লোকদের জিজ্ঞেশ করবে .......“ কি টেবিল গুছানো কত্তদুর...সালমানের আব্বা চলে আসবে তো .....”।
আমি অবাক হয়ে ভাবতাম...সাধারণত যে মানুষটাকে ধরে শাড়ী পরানো যায় না...সে এতো বেস্ততার মাঝেও সেদিন কেন এতো কস্ট করে শাড়ী পড়ে । এখন বুঝি কারণ..................................................সেদিন যে আব্বু বাসায় থাকবে ।
দেড় বছরের উপরে হবে......আব্বু বাসায় থাকে না......আম্মুও আর শাড়ি পরে না.........
সেদিন আব্বু এরেস্ট হবার পর........দেড় বছর পর আম্মু প্রথম শাড়ী পরল........কিছু মেহমান আসবে তাই....ছোট ভাবি কিছুটা জোর করেই পরালো ।..আমি অবাক হয়ে আম্মুকে দেখলাম ...... খুব ভাল লাগলো.....আমার সুন্দরি মা কে আরো সুন্দর লাগলো হাল্কা বাদামি রঙের মাঝে নীল রঙের বাটিক করা শাড়ীটাতে ...... অসাধারাণ !
কিন্তু কোথায় জানি একটা চাপা কস্ট অনুভব করলাম................................... “ আজ যে আব্বু নাই বাসায় ! ”
আপনারাই বলুন এ চাপা ক্ষোভ নিভাবে কেমনে ?
বিষয়: বিবিধ
১২৭৯ বার পঠিত, ২৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্যহীন।
ধন্যবাদ শুধু
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
সন্তান হয়ে নিজের মা'জননীর গুনাগুন বর্ণনা করতে গিয়ে একসরেশনডা হুনতে কিছুডা পেরেশানী মনে হইছিল। মাথায়ও কেমন যেন একডু গ্যাঞ্জাম লেগে গেলো গা।
আল্লাহ আপনার আব্বুকে দ্রুত মুক্ত করে দিক এই দোয়া করি ।
ইনশাল্লাহ আল্লাহ তাদের খুব সুন্দর এবং পবিত্রভাবে একসাথে করবেন। আল্লাহ আপনাদের পরিবারের সবাইকে শান্তি দান করুন।
একটা জিনিষ, এর চেয়েও কঠিন বাস্তবতা অনেকের মেনে নিতে হয়েছে - তাই, আল্লাহর সন্তুষ্টি প্রকাশ কখনো যেন থেমে না যায়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন