আদর্শ বিবর্জিত থাকার পরিণতি ও উপলব্ধি ।
লিখেছেন লিখেছেন আমি মুসাফির ০৩ মার্চ, ২০১৪, ০২:১৪:২৪ দুপুর
"জামায়াতে ইসলাম একটি আদর্শিক ও স্বয়ংসম্পূর্ণ দল। আর আদর্শ কে নিষিদ্ধ বা হত্যা করা যায় না । জঙ্গিবাদের নামে জামায়াতের প্রচারে প্রসার হয়েছে " কথাগুলো ড. অধ্যাপক আবু সায়িদ সাহেব বাংলাভিশনের এক টকশোতে বলেছিলেন।
তার কথার সুত্র ধরে আমি বলতে চাই,আমাদের সমাজের মানুষকে বিশেষ করে ছাত্রসমাজ ও সম্ভাবনাময় যুবসমাজকে সঠিক পথে পরিচালনা করা ছাড়া জাতির ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হতে পারে না। এক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনের জন্য সরকার গঠিত হয় কিন্তু নীতি ও আদর্শ চর্চা না থাকাতে সরকার সঠিক পথে থেকে কাজ না করে সন্ত্রাসের ছত্রছায়ার পথ অনুসরণ করে ফলে দেশে আদর্শ বিবর্জিত হয় প্রতিষ্ঠিত হয় উগ্র ও হিংসাত্বক কর্মকান্ড, ক্ষতিগ্রস্ত হয় নতুন ও তরুন প্রজন্ম, দেশ এবং দেশের মানুষ ।
সরকারের বাইরে অন্যান্য দলের নেতা-কর্মীদেরও অবদান রাখার কথা। কিন্তু অর্থবহ অবদান রাখতে হলে তো দায়িত্বশীলদের যোগ্যতা থাকতে হয়, থাকতে হয় শপথ ও অঙ্গীকারের প্রতি আন্তরিকতা। থাকতে হয় আদর্শ । এসবের অভাবে আজ আমরা এক করুণ পরিণতির দিকে যাচ্ছি ।
দেশের সুশীল ও বুদ্ধিজীবিরাও তাদের কথা বার্তায় একটি আদর্শের কথা বলে কিন্তু সেই আদর্শটা কি তা বলেন না। তবুও তাদের মনে আদর্শের জায়গাটা স্থান করে নিতে পেরেছে ।
তাই আমি তাদেরকে বলব অধ্যাপক আবু সায়িদ সাহেব যে আদর্শের কথা বলেছেন তেমনি করে জামাতের মত আদর্শ যদি সকল দলই ধারণ করেন তাহলে হয়ত প্রতিযোগীতার ভিত্তিতে এক সুন্দর আদর্শিক পরিবেশ বিরাজ করবে এবং হানাহানি মারামারি এবং হিংসাত্মক ও ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড থেকে বেরিয়ে এসে সুন্দর শান্তিময় জীবন যাপন করা যেত।
আবার বিভিন্ন টকশোতে বলতে শুনা যায় যে তৃতীয় এক শক্তি প্রয়োজন যার মাধ্যমে হিংসাত্মক ও ধ্বংসাত্মক মানসিকতা সম্পন্ন দলগুলির বিকল্প হিসাবে কাজ করবে। কিন্তু তেমন কোন আদর্শ দল দেখতে পারি না । এক্ষেত্রে আমি বলব তৃতীয় শক্তি হিসাবে জামায়াত চলে আসতে পেরেছে । যদিও সুশীল বা বাম ঘরানারা দারুণ অপছন্দ করেন তুবও জনগণ তাদের চয়েস করেছে বলে মনে করি।
এসব বিষয়ে আমাদের সরকার ও রাজনীতিবিদদের এখন আত্মসমালোচনা খুবই জরুরি বিষয় হয়ে উঠেছে। কারণ আত্মসমালোচনার মাধ্যমেই দায়িত্ববানরা তাদের ভুল-ত্রুটি ও সম্ভাবনার বিষয়গুলো উপলব্ধি করতে পারেন। আমরা জানি যে, যথার্থ উপলব্ধি ছাড়া সঠিক কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। তাই এই মুহূর্তে প্রয়োজন জাতীয় স্বার্থে ব্লেমগেম ও চাতুর্যের পথ পরিহার করে নৈতিক চেতনায় আদর্শের রাজনীতির পথে ফিরে আসা। আমাদের সরকার ও রাজনীতিবিদরা বিষয়টি যত তাড়াতাড়ি উপলব্ধি করবেন ততই মঙ্গল তবে উপলব্ধি করবেন কিনা, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
বিষয়: বিবিধ
৯৯৩ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন