"আওয়ামী মহাজোটের তিনটি র্টামকার্ড অতঃপর .............. "।
লিখেছেন লিখেছেন আমি মুসাফির ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৪:১৩:৫৩ বিকাল
কাফের মুশরিকরা অহরহ মুসলমানদের ক্ষতি বা তাদের অগ্রগতি রুখে দেবার জন্য কিছু সংখ্যক মুসলমান কুলাঙ্গারদেকে বেছে নেয় আর আমাদের মুসলমান নামধারী সেই সব কুলাঙ্গাররা তাদের হাতের পুতুল হিসাবে কাজ করে ইসলাম ও মুসলমানদের সমুহ ক্ষতি করে বসেন। অতীতে যেমন দেখেছি তেমনি এই মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসিলে তা যেন আরো বেশী করে দেখতে পারলাম । মোট কথা ইসলামের বিরুদ্ধে নবী রাসুল সাঃ ও কুরআনের বিরুদ্ধে কিছু বললে বা লিখলে তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না কিন্তু সরকারের বিরুদ্ধে ঐভাবে কটাক্ষ করে লিখলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয় না।
আওয়ামী মহাজোট তিনটি র্টামকার্ড নিয়ে বরাবরের মত জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টায় মত্ত-
১.সংখ্যালঘু টার্মকাড-
এ কার্ডটির নিয়মিত ব্যবহার করা আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। নির্বাচনের আগে, পরে অথবা নিজেদের ঘটমান কোন সাংঘাতিক ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য সংখ্যালঘুদের উপর হামলা, লুটপাট, নির্যাতন, জমি দখলেরমত ঘটনা ঘটায়। তারা যদিও বা এ সকল ঘটনার সাথে বারবার জামায়াত-শিবির, বিএনপিকে দায়ী করে থাকে। কিন্তু বারবার এ সকল ঘটনার সাথে যারা জড়িত ছিলেন, ঘটনার সময় যারা গ্রেফতার হয়েছেন তারা কোন দলের তা সারা জাতির কাছে পরিস্কার। এ যেন নিজেদের পাতানো খাঁদে নিজেদের সাঙ্গলীলা।
২.যুদ্ধাপরাধ র্টামকার্ড-
এ কার্ডটি মুলতঃ এ দেশে ইসলামপন্থী নেতৃবৃন্দকে হত্যা ও চরিত্র হনণের জন্য বিচারের নামে অবিচার করা। যদি তা না হয় যখন কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্টার আন্দোলনে জামায়াতের সাথে আওয়ামীলীগের সখ্যতা/ যুগোপত আন্দোলন করেছিলেন তখন কি যুদ্ধপরাধীদের কথা মনে ছিলনা? যে বিচার ব্যবস্থা নিয়ে দেশে-বিদেশে প্রশ্ন উঠেছে। তাহলে কার প্রেসক্রিশন বাস্তবায়নের জন্য এ টার্মকাডের ব্যবহার?
৩.জঙ্গি টার্মকার্ড -
এ টার্মকামকার্ড টি ব্যবহার করে দেশাভ্যন্তরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে বিঘ্নিত করার প্রয়াস ছাড়া আর কি হতে পারে? সরকার সমর্থক কথিত সুধী সমাজরা গলা ছেড়ে বলছেন মাদ্রাসা গুলো জঙ্গি প্রজনন কেন্দ্র! এমন অশ্রাব্য ব্যবহার কোন মুসলমান মেনে নিতে পারেনা। সবাই আশা করে এসব জঙ্গি-ফঙ্গি-আলকায়েদা এর ধুয়া না তুলে প্রকৃত অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা হউক এবং অজ্ঞ ও মূর্খ সুশীলরা না জেনে আজে বাজে মন্তব্য থেকে দুরে থাকুক।
সংখ্যালঘু নির্যাতন, যুদ্ধাপরাধ ও জঙ্গি টার্মকার্ড ব্যবহার করতে করতে এখন সরকার ক্লান্ত। এখন নতুন কোন টার্মকাডের অপেক্ষায়................। যদিও সেদিন কিছু ফাসির অাসামীকে ছেড়ে দিয়ে ক্রস ফায়ারের মাধ্যমে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে বলছেন তবুও দেখার অপেক্ষায় থাকতে হবে কোন ঘটনা দিয়ে আবার এরা দেশে জঙ্গীর ধোয়া তুলে তাদের বিদেশী প্রভুদের দৃষ্টি আকর্ষন করে মুসলিম দমনে নেমে পড়ে।
এক্ষেত্রে সকল নাগরিক সমাজ যদি সচেতন হয় দেশ ও দশের তরে তাহলে কোন টার্মকার্ডের অপব্যবহার করে কেউ জাতিকে বিভ্রান্ত করতে পারবেনা। সত্যের জয় হবে। ইনশাআল্লাহ।
বিষয়: বিবিধ
৯১২ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ইহাকেই বলে রাজনীতি
মন্তব্য করতে লগইন করুন