হিজাব ও দাড়ির প্রতি এত আক্রমণ কেন ???

লিখেছেন লিখেছেন আমি মুসাফির ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০১:৪১:০৫ দুপুর

কিছুদিন পর পর এমন এমন খবর বের হয় যেখানে দেখা যায় কোথাও দাড়ি নেয়ে টানাটানি বা দাড়ি কেটে দেয়া বা দাড়ি ধরে মারা আবার কখনও হিজাব নিয়েও এমন দেখা যায় ।



সম্প্রতি মিশরের মিলিটারীদের কেহ দাড়ি রাখতে পারবে না এমন এক সমন জারি হয়েছে । তাতে বিরুপ প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে । এটাই স্বাভাবিক এটা একটা মুসলমানদের সুন্নতের উপর আক্রমণ কিন্তু আমাদের মুসলমানদের মাঝ থেকে যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করার সুযোগ পান তারা পা্রয়ই কাফের মুশরিকদেরই এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার কাজেই লিপ্ত হন। অথচ নিজেকে মুসলমান বলে মনে করে। এই মুনাফিকির জন্যই আজ কাফের দুনিয়া আমাদেরকে সঠিকভাবে মুল্যায়ন করে না। যে কাজ তারা করত সেই কাজ আমাদের মুসলিম শাসকরাই করছে যার জন্য তাদের পথ আরো প্রশস্ত হচ্ছে ।

আমরাও ব্যক্তি জীবনে পারিবারিক জীবনে সামাজিক জীবনে এবং সর্বোপরি রাষ্ট্রীয় জীবনেও নিজেদেরকে মুসলমানের সঠিক পরিচয় দিতে না পারতে ইসলামী সংস্কৃতি ও ভাবধারা প্রাধান্য পাচ্ছে না। যার জন্য আমাদের ছেলেমেয়েরা নানা জাতির অপসংস্কৃতির মাঝে হাবুডুবু খাচ্ছে ।

আর যারা ইসলামী এই ভাবধারা বজায় রাখার জন্য চেষ্টা করছে তাদেরকে কাফের-মুশরিকদের সহায়তায় হেয় করছি বা তাদেরকে তাদের সঠিক কাজটা করতে দিচ্ছি না।

এইসব থেকে রক্ষা পেতে হলে সকল মুসলমানকেই এগিয়ে আসতে হবে। নইলে সিসি ফাত্তাহ, হাসিনারা দেশকে ধ্বংসের এক কিনারায় নিয়ে যাবে।

বিষয়: বিবিধ

১০৯৪ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

176262
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৫৮
শফিউর রহমান লিখেছেন : জনগণ ঘুমালে কারো কিছুই করার নাই। জনগণ জাগলেও কারো কিছু করার নাই।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:০৭
129439
আমি মুসাফির লিখেছেন : নিজেদের লাভ ক্ষতিটা তো অন্তত বুঝে তো । তা হিসাব করে নিজেদের প্রয়োজনে একটু আড়মোড়া দিয়ে উঠলে তো অন্তত পাবিারিক দিকটাকেতো পরিবর্তন করা যায় ।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:০৬
129581
শফিউর রহমান লিখেছেন : সম্ভবত আমি বুঝাতে পারি নি।
জনগণ ঘুমালে কিছুই করার নাই - অর্থাৎ কেউ তাদের জন্য কিছু পরিবর্তন করে দিতে পারবে না।
জনগণ জাগলেও কারো কিছু করার নাই - অর্থাৎ জনগণ জাগলে তারা তাদের দাবী আদয়া করেই ছাড়বে, কারো কিছু তখন করার থাকবে না।
কাজেই জনগণকে বুঝতে হবে তারা কোন গহ্বরের মাঝে নিমজ্জিত হতে যাচ্ছে দিনকে দিন। সেদিখে খেয়াল করে জনগণকে জাগতে হবে - সকল ষড়যন্ত্র রুখতে হবে এবং নিজেদের অধিকার সমুন্নত রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
176345
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:৪৮
পুস্পিতা লিখেছেন : আমি সবসময় বলে থাকি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট দেশে ধর্মনিরপেক্ষতার একমাত্র মানেই হচ্ছে ইসলাম বিরোধীতা। তাই দেখা যায় যখনই কোন মুসলিম দেশে তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরা ক্ষমতায় আসার সুযোগ পেয়েছে তারা সব ধরনের পন্থায় ইসলাম ধ্বংসের চেষ্ঠা করে গিয়েছে। ধর্মনিরপেক্ষতার নামে অন্য কোন ধর্মের উপর আঘাত কখনো করা হয়না, শুধু করা হয় ইসলামের উপর। সেই আকবরের দীনে ইলাহী থেকে শুরু করে তুরস্কের কামাল পাশা, বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সবাই একরকম।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:৪৭
129781
আমি মুসাফির লিখেছেন : ইসলামের আঘাত করা সত্বেও যারা আওয়ামীদেরকে সমর্থন করে তারা কি মুসলমান ? এবং কাফের মুশরিকরা যে মুসলমানদেরকে তাদের এজন্ডা বাস্তবায়ন করতে বেছে নেয় সে মুসলমানরা কি মুনাফিক নয় ? এত জানা সত্বেও আমরা একত্রিত হতে পারছি না এটাই আমার আফসোসের বিষয় । এ মুহুর্তে আলেম সমাজকে এক প্লাটফরমে দাড়াতে হবে নইলে ক্ষতি আরো বেশী হবে।
ধন্যবাদ।
176609
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৩৪
আমি মুসাফির লিখেছেন :

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File