""" চরিত্রহীনতার পরিণাম ও নৈতিক চরিত্রের সাফল্য"""
লিখেছেন লিখেছেন আমি মুসাফির ২৩ জানুয়ারি, ২০১৪, ০১:১০:১৫ দুপুর
ইসলামী আদর্শে বিশ্বাসীদের নিয়ে কাফের মুশরিক জগত সর্বদা মিথ্যা অপবাদে বহুমুখী প্রাপগান্ডা করেই চলেছে । ইসলামী চিন্তাবিদ, ইসলামী রাজনৈতিক নেতা ইসলামী আকিদা পোষনকারী এবং সর্বোপরি ইসলাম ও মুসলমানদের চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করেই চলেছেন। তাদের সাথে যোগ দিয়েছেন আমাদের কিছু মুনাফিকধারী মুসলমান । তবে যতই তারা প্রপাগান্ডা চালাক মুসলমানদের নৈতিক চরিত্রের কোন ঘাটতি তারা পায়নি।
মার্কিন সেনাদের অন্য নারীদের উপর ধর্ষণ বা লুইচ্চামীর কথা আজ চরম সীমায় উঠেছে ।তা ছাড়াও খোদ মার্কিন মহিলা সৈন্যরাই তাদের পুরুষ সহকমী সৈন্য দ্বারা নিয়মিত যৌন নিপীড়ন বা ধর্ষণের সম্মুখীন হচ্ছে প্রতিনিয়ত। প্রতিদিন অভিযোগের খাতায় যুক্ত হচ্ছে কোনো নারীর দুর্বিষহ অভিজ্ঞতার কথা। আমরা মার্কিণীদের ইরাক আক্রমণের সময় বিভিন্ন ঘটনা জানতে পেরেছি মার্কিন পুরুষ সৈনিকদের বিরুদ্ধে খোদ মার্কিন মহিলা সৈনিকদের যৌন হয়রানির কথা।
এবার আসেন মুসলমানদের কথায় । কখনো শুনেছেন তালিবান বা আল কায়দার কোনো সদস্য কোনো নারীকে ধর্ষণ করেছে অথবা এমন কি কখনও হয়েছে যে নারী কেলেঙ্কারির কোনো অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে??? নারীদের সাথে লুইচ্চামীর কোন অভিযোগ আছে তাঁদের বিরুদ্ধে???
আপনারা হয়ত জানেন তালিবানদের হাতে বন্দী হয়েছিলেন প্রখ্যাত ব্রিটিশ জার্নালিস্ট ইভোন রেডলি। বন্দীদশায় তালিবানদের ভদ্রতা,আচার আচরণ ও ইসলামের প্রভাবে এতটাই বিমোহিত হয়েছিলেন যে মুক্ত হয়ে তিনি আল্লাহর অশেষ রহমতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন।
অন্যদিকে আফিয়া সিদ্দিকীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেন মার্কিন বাহিনী, তার উপর প্রতিনিয়ত চলে পাশবিক অত্যাচার যা ভাষায় ব্যক্ত করা সম্ভবই নয়। নিয়মিত মার্কিনিদের হাতে ধর্ষিত হন তিনি, ডোক্টরেট (নিউরোলজিস্টে PHD) ডিগ্রিধারী উচ্চশিক্ষিত একজন মুসলিম নারী মার্কিনিদের রোষানলের স্বীকার হয়ে মানসিক এবং শারীরিকভাবে আজ বিপর্যস্ত প্রায়। (আল্লাহ তাকে আরো ধৈর্যশীল হওয়ার তৌফিক দান করুক)।
কখনো শুনেছেন তালিবানরা আল কায়দার কোনো সদস্য কোনো কারণে হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যা করেছেন?
অপরদিকে আমেরিকা ও যুক্তরাজ্য দুই দেশের সৈন্যদের আত্মহত্যার হার এতটাই বেশি যে এর সংখ্যা কমিয়ে আনতে তারা'স্পেশাল কমিটি'গঠন করেছে। এই বিশেষ কমিটি হতাশায় নিমজ্জিত থাকা সৈন্যদের কাউন্সিলিং দিয়ে থাকেন, যেন এর সংখ্যা কমিয়ে আনা যায়।
সুবহানাল্লাহ! এই খাতে তাদের খরচ হয় লক্ষ লক্ষ মার্কিন ডলার। আরো একটি সুসংবাদ হচ্ছে, যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের যত সৈন্য মারা যায় তার থেকে অধিক সংখ্যক সৈন্য আত্মহত্যা করে থাকে। কেন তারা এমনটা করে?? কি কমতি আছে তাদের???
তারা তাদের সরকার থেকে খুব ভালো মানের বেতন পায়, তাদেরকে সবসময় মডিফিটেড রাখার জন্য অনেক ধরনের অফার করা হয় তাদের সরকারের পক্ষ থেকে। কিন্তু এতকিছুর পরেও তারা জীবনের প্রতি এতই হতাশ যে আত্মহত্যাকেই তারা একমাত্র সলিউশন মনে করে।
আল্লাহ তাআলা কুরানে বলেন,
الَّذِينَ آمَنُوا يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ۖ وَالَّذِينَ كَفَرُوا يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ الطَّاغُوتِ
অর্থঃ যারা ঈমানদার তারা যে জিহাদ করে তা তো আল্লাহর পথেই। পক্ষান্তরে যারা কাফের তারা লড়াই করে শয়তানের পক্ষে ......."
[সুরা নিসা, আয়াত নং ৭৬]
সুতরাং যারা শয়তানের পক্ষে লড়াই করে তাদেরকে শয়তান শুধু
মিথ্যা আশা দ্বারা আকৃষ্ট করে, যা অনেকটা মরিচিকার মত। শয়তান তার অনুসারীদের কুকর্মকে সুশোভিত করে দেখায়। আর শয়তানের অনুসারীরা দুনিয়া এবং আখিরাত উভয় ক্ষেত্রেই পরাজিত এবং এইটাই স্বাভাবিক।
কিন্তু যারা আল্লাহর পক্ষে লড়াই করে তাদরকে কোনো মাসিক বেতন অথবা অন্য অনেক সুযোগ সুবিধার প্রলোভন দেখানোর প্রয়োজন পড়ে না।
তারা স্বেচ্ছায় সজ্ঞানে আল্লাহর কালিমা সুউচ্চ রাখতে এবং মুসলিমদের যান মাল রক্ষায় আল্লাহর পথে আত্মনিয়োগ করে থাকেন। কারণ আল্লাহ তাদর জন্য
বিজয় সুনিশ্চিত করেছেন। আর সাফল্য এপারে হতেই হবে এমনটা নয়, মূল সাফল্য তো ওপারে।
হক ও বাতিলকে তুলে ধরার জন্য এরকম অনেক উদাহরণ তুলে ধরা যায়। কিন্তু যারা সত্যিই আল্লাহর হেদায়েত কামনা করেন এবং সত্যের অন্বেষণ করে থাকেন তাদের জন্য সত্য বড় সুস্পষ্ট।
আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেনঃ
وَقُلْ جَاءَ الْحَقُّ وَزَهَقَ الْبَاطِلُ ۚ إِنَّ الْبَاطِلَ كَانَ زَهُوقًا
অর্থঃ বলুন, সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে। নিশ্চই মিথ্যা বিলুপ্ত হওয়ারই ছিল।'
[সূরা বনী ইসরাইল, আয়াত ৮১]
আল্লাহ আমাদেরকে হক এবং বাতিল চেনার তৌফিক দান করুক। আমীন।
সংগৃহীত।
বিষয়: বিবিধ
১১৫৩ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন