সত্যিকার উপলব্ধি

লিখেছেন লিখেছেন আমি মুসাফির ১২ জানুয়ারি, ২০১৪, ১২:১১:৩০ দুপুর



এই উক্তিটি অনেক আগে বঙ্গবীর সাহেব কোন এক জায়গায় বলেছিলেন কেন বলেছিলেন তা তার নিজস্ব ব্যাপার আর সবাই কি তার সাথে একমত কিনা তা সকলের নিজস্ব ব্যাপার । তবে জামাত তখন যা উপলব্ধি করেছিলেন তার প্রমাণ এখন সত্যিকারভাবেই দেখতে পারছি । ভারত চায় বাংলাদেশে এক ভারতেরই সেবাদাসমুলক শাসক থাকবে যা ভারত বলবে তাই পালন করবে এবং সর্বদা ভারতের প্রয়োজনকেই প্রধান্য দিবে।

এতদিন পরে এসে বিষয়টা পরিষ্কার হতে শুরু করেছে । তাহলে পাকিস্তানীদের শোষণ ও শাসন থেকে মুক্তি লাভ করে আমরা কি পেলাম ভারতের গোলামী ??? এই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে ।

১৯৭১ সালে পাক বাহিণী বাংলাদেশীদের উপর যে ভাবে গুলি অত্যাচার ধর্ষন করেছিল তারই প্রতিধ্বনি দেখতে পাচ্ছি এই আওয়ামীদের কার্যকলাপের মাঝে । তাহলে সেই পাক হানাদার বাহিনীর সাথে আওয়ামী হানাদের বাহিনীদের মাঝে পার্থক্য কিসের ???

এখন এসব প্রশ্নের জবাব খোজার সময় এসেছে জনাব বঙ্গবীর সাহেব যেভাবে উপলব্ধি করেছেন দেশ ্রেপমিক সকলকেই আমাদেরক্রে উপলব্ধি করতে হবে এবং দেশের সমুহ সর্বনাশ থেকে বাচানোর জন্য সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে আর মুক্তিযোদ্ধা বা কোন বীর সৈনিক মানুষকে বেরেয়ে আসার ডাক দিতে হবে। সময় খুব কম তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তত তাড়াতড়ি এই কাজ অমাদেরকে সমবেতভাবে করতে হবে।

বিষয়: বিবিধ

১০৯৯ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

161640
১২ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:২১
মোঃজুলফিকার আলী লিখেছেন : ভাল লাগলো। ধন্যবাদ।
১২ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৩০
115890
আমি মুসাফির লিখেছেন : আপনাকেও অশেষ ধন্যবাদ।
161642
১২ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৩১
বুড়া মিয়া লিখেছেন : ভালো লাগলো
১২ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৫১
115900
আমি মুসাফির লিখেছেন : আপনার ভাল লাগার জন্য অশেষ ধন্যবাদ
161643
১২ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৩১
আমি মুসাফির লিখেছেন :
161648
১২ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৪১
ভিশু লিখেছেন : মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমাণ্ডার মেজর জলিলও অনেকদিন আগেই বুঝেছিলেন এই কথাটি!
১২ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৫৫
115901
আমি মুসাফির লিখেছেন : বুঝেছিলেন বলেই মনে হয় হাম্বালীগের লোক তার উপর এত ক্ষ্যাপা ছিল । এখন অনেকই হয়ত মুখে বলছে না আসলে উপলব্ধি করছে । এটা আশার কথা যা জামাতকে আরো অনেক উপরে উঠতে সহায়তা করবে।
আন্তরিক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ।
161684
১২ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৪২
আল সাঈদ লিখেছেন : লেন্দুজ দর্জি যেভাবে সিকিমকে ভারতের হাতে দিয়েছিলো তেমনি....
১২ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:৪৩
115976
আমি মুসাফির লিখেছেন : হাসিনার পরিণতি জানতে চান????? কস্ট করে পুরোটা পড়ুন...

১৯৭৫ ভারতের সিকিম দখলের বিরুদ্ধে চীন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে। ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সিকিমের রাজপথে কোনো গণপ্রতিরোধ দেখা যায়নি। তাই জাতিসঙ্ঘে প্রতিক্রিয়া জানানোর মধ্যেই বেইজিংয়ের ভূমিকা সীমিত থাকে। ১৯৭৭ সালে ভারতে ইন্দিরা গান্ধীর টানা ১১ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। ১৯৭৮ সালে প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাই সিকিম সম্পর্কে মুখ খোলেন। তার মতে, সিকিমের ভারতে অন্তর্ভুক্তি ছিল ভুল সিদ্ধান্ত। এমনকি সিকিমের যেসব রাজনৈতিক নেতা ভারতে যোগদানের পক্ষে কাজ করেছিলেন, তারাও বলেছেন এটা ছিল ঐতিহাসিক ভুল। কিন্তু তত দিনে তিস্তা নদী দিয়ে অনেক পানি গড়িয়ে ভাটিতে নেমে এসেছে।

লেন্দুপ দর্জি হলেন প্রথম মুখ্যমন্ত্রী : ৪ বছর পর ভোটার তালিকায় তার নাম নেই

১৯৭৫ সালে ভারতে যোগদানের পর লেন্দুপ দর্জি হন সিকিমের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী। ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত তিনি এই পদে আসীন ছিলেন। রাজনৈতিক হাওয়া উল্টা দিকে বইতে থাকে। ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে এ লেন্দুপ দর্জির এসএনসি একটি আসনও পায়নি। নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে লেন্দুপ দর্জি দেখেন ভোটার তালিকায় তার নামটিও নেই। নেপথ্য শক্তি তার রাজনৈতিক জীবনের পরিসমাপ্তি টেনে দেয়।

নিঃসঙ্গ, অপমানিত অবস্থায় সিকিমের

বাইরে লেন্দুপ দর্জির মৃত্যুবরণ

নামগিয়াল রাজবংশের শাসনের অবসান করতে গিয়ে এভাবেই লেন্দুপ দর্জি ৪০০ বছরের ইতিহাসসমৃদ্ধ স্বাধীন মাতৃভূমিকে ভারতের হাতে তুলে দেন। বিনিময়ে লাভ করেন অতীত কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সর্বদা ভীতসন্ত্রস্ত এক অপমানজনক জীবন। ২০০৭ সালের ২৮ জুলাই নিঃসঙ্গ অবস্থায় কলিমপংয়ে তিনি পরলোকগমন করেন। তখন তার বয়স ১০৩ বছর। এর আগে ২০০২ সালে ভারত সরকার তাকে ‘পদ্মভূষণ’ ও রাজ্য সরকার ২০০৪ সালে তাকে ‘সিকিম রতœ’ উপাধিতে ভূষিত করে।

মাতৃভূমির সাথে লেন্দুপ দর্জির বিশ্বাসঘাতকতা

সমকালীন ইতিহাসে সমালোচকদের কাছে লেন্দুপ দর্জি একজন বিশ্বাসঘাতক হিসেবে চিহ্নিত। তার সমর্থকেরাও পরবর্তী সময়ে তাকে ত্যাগ করেন। ১৯৯৬ সালে কালিমপংয়ে স্বেচ্ছা নির্বাসিত জীবন লেন্দুপ দর্জি দুঃখ করে বলেছিলেন, ‘সবাই আমার দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে বলছে, আমি নাকি নিজের মাতৃভূমি সিকিমকে বিক্রি করে দিয়েছি। তা যদি সত্যও হয় সে জন্য কি আমি একাই দায়ী?’ কিন্তু এই অভিযোগ এতই গুরুতর ছিল যে, লেন্দুপ দর্জি আর কখনোই সিকিমে সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরে যেতে পারেননি। চাকুং হাউজে আমৃত্যু তাকে নিঃসঙ্গ দুর্বিষহ জীবনযাপন করতে হয়। তার মৃত্যু সিকিমবাসীর মনেও কোনো সহানুভূতি বা বেদনার উদ্রেক করতে পারেনি।

কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর দিল্লি আমাকে ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করে লেন্দুপ দর্জি মনে করতেন উদ্দেশ্য হাসিলের পর নয়াদিল্লি তাকে অবশ্যই ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে তার আক্ষেপভরা মন্তব্য, ‘সিকিমকে ভারতের হাতে তুলে দিতে হেন চেষ্টা

নেই যা আমি করিনি। কিন্তু কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর নয়দিল্লি আমাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করে। সাপ্তাহিক জন আস্থা পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দিয়ে লেন্দুপ দর্জি বলেন, ‘আগে নয়াদিল্লিতে আমাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দিয়ে বরণ করা

হতো। এখন ভারতের দ্বিতীয় সারির নেতাদের সাথে সাক্ষাৎ করতেও

আমাকে সপ্তাহের পর সপ্তাহ অপেক্ষা

করতে হয়।

২০০০ সালে অপর এক সাক্ষাৎকারে লেন্দুপ দর্জি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জওয়াহের লাল নেহরু ও প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী নয়াদিল্লিতে এক সময় আমাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাতেন। কিন্তু রাজনৈতিক মঞ্চে কাজ শেষ হলে আমাকে ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করা হয়।হ (শেষ)

নেপাল ম্যাগাজিন ও নেপালি টাইমস অবলম্বনে । হাসিনার পরিনতিও কি তাই হবে ?????
161696
১২ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:২১
হতভাগা লিখেছেন : তেলেঙ্গানা > .....
১২ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:৪৩
115977
আমি মুসাফির লিখেছেন : স্বপ্ন দেখতে থাকুন।
161820
১২ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:০৬
শেখের পোলা লিখেছেন : একদিন সব মুক্তিযোদ্ধারাই এ কথার কোরাস গাইবে৷ সে দিনের অপেক্ষায় রইলাম৷
১৩ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:৫৯
116247
আমি মুসাফির লিখেছেন : আপনার কথার সাথে আমি ১০০% একমত ।
অনেক ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File