পাখি চলে গেছে তার আপন নীড়ে
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মাদ নেছার উদ্দিন ১৮ মার্চ, ২০১৪, ০৮:১৩:০৪ সকাল
ছোট ভাই ১০০০টাকা একটা টিয়ে পাখি কিনে এনে রেখে গেছে বাড়িতে। পাখিটাকে বাড়িতে রেখে যাওয়ার পর থেকে পাখিটার খাওয়া দাওয়া সব বন্ধ। সব রকমে চেষ্টা করা হয়েছে পাখিটিকে খাওয়াতে। কিন্তু, পাখিটিকে কিছুই খাওয়ানো যায়নি।ধীরে ধীরে পাখিটি অসুস্থ হতে শুরু করলো। অনেক সময় ভাবতাম পাখিটিকে ছেড়ে দেবো। কিন্তু, চাইলেও পাখিটিকে ছেড়ে দিতে পারতাম না। মনের মাঝে একটা চিন্তা থাকতো। এতো টাকা দিয়ে কিনে আনা পাখিটিকে ছেড়ে দেবো কেন? অনেক কষ্টে অর্জিত টাকা দিয়ে কিনে আনা এই শখের পাখিটি। না খেয়ে না খেয়ে পাখিটি শুকিয়ে হতে লাগলো অসুস্থ। এইভাবে অনেক দিন পার হলো। হয়তো বা মাঝে মাঝে একটু, আধটু খাদ্য খেতো পাখিটি। কিন্তু, চাহিদা অনুযায়ী সেটা অতি নগন্য। খাওয়ার সময়টা পাখিটি কাটিয়েছে মুক্ত হওয়ার চেষ্টায়। যে খাচায় পাখিটি বন্দি। সেই খাচার লোহার শিকগুলো ভাঙ্গার সর্বোচ্ছ চেষ্টা করেছে পাখিটি। তার চেষ্টা দেখে নির্দ্বিধায় বলা যায় সে এই বন্দী জীবন থেকে জীবনের বিনিময়ে হলেও মুক্তি চাই। তার মুক্ত হওয়ার এই অফুরন্ত চেষ্টা চলতেই লাগলো। আর আমরা পাখিটিকে বন্দী থাকতে বাধ্য করলাম। পাখিটির সারাদিন যায় খাচার একটি শিক ভাঙ্গার চেষ্টায়। অতঃপর একটা শিক হয়তো বাকা করলো। কিন্তু, সেটা আর বাকা থাকতে দিনাই। সন্ধ্যা বেলায় সেটা ঠিক করে ফেলেছি। অতঃপর পাখিটির মুক্ত হওয়ার স্বপ্ন, স্বপ্নই রয়ে গেলো। এইভাবে দিন গেলো, সপ্তাহ গেলো, মাস গেলো। একদিন পাখিটির শিক ভাঙ্গার কোন চেষ্টা দেখলাম না। এই খাচা থেকে মুক্ত হওয়ার কোন প্রচেষ্টা দেখলাম না। বন্দী জীবন থেকে মুক্ত হতে খাচার শিক ভাঙ্গার কোন প্রচেষ্টা নাই। খাচার কাছে গিয়েই দেখলাম পাখিটির নিথর দেহ পড়ে আছে। যার মুক্তির যার কোন নাড়াছাড়া নাই। বুঝতে পারলাম পাখিটির জীবন প্রদীপ নিভে গেছে। পাখিটির মুক্তির কোন দরকার নাই। পাখিটিকে আমরা নিজ থেকেই মুক্ত করে দেবো। কিন্তু, মুক্ত হয়ে পাখি আকাশে ডানা মেলে উড়তে পারবে না। পাখিটিকে মুক্ত করে দিয়েছি সত্য। তবে পাখিটির নিথর দেহ অনুভব করেনি মুক্তির আনন্দ। পাখিটি মুক্ত হয়ে পারেনি আকাশে ডানা মেলে উড়তে। পাখি চলে গেছে তার আপন নীড়ে, যেখান থেকে আর ফিরবে না কভু এই ভবে।
collected by my life.
বিষয়: সাহিত্য
১৩৬৫ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কল্পনা???
মন্তব্য করতে লগইন করুন