দেশাদ্রোহি উপজাতিদের সাথে কি সরকার আপস করছে?
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মাদ নেছার উদ্দিন ০৪ মার্চ, ২০১৪, ০৩:১৫:২০ দুপুর
বাংলাদেশের একদশমাংশ জুড়ে রয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম। পার্বত্য চট্টগ্রাম একটি উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চল। এই পার্বত্য চট্টগ্রাম সৌন্দর্যের এক লীলাভূমি। তাই এই অঞ্চলকে নিয়ে চলছে নানা প্রকার ষড়যন্ত্র। উপজাতিরা চাই পার্বত্য চট্টগ্রামকে নিয়ে জুম্মাল্যান্ড নামক আলাদা একটি রাষ্ট্র গঠন করতে। খৃষ্টান মিশনারিগুলোও চাই দক্ষিণ এশিয়ায় একটি খৃষ্টান অধ্যুষিত রাষ্ট্র গঠন করতে। তাই খৃষ্টান মিশনারি এবং বিদেশি এনজিওগুলো নানাভাবে মদদ দিয়ে যাচ্ছে দেশাদ্রোহি এই উপজাতিয় সন্ত্রাসীদের। পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রাম সৌন্দর্যের লীলাভূমি হওয়াই পাশ্ববর্তী দেহসগুলোরও কু-নজর পরেছে এই অঞ্চলটির উপর। তাই তারাও বিভিন্নভাবে মদদ দিচ্ছে এই সকল উপজাতীয় সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে। আর এই উপজাতিরা আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের জন্য গঠন করেছে বিভিন্ন সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন। স্বাধিনতার পর পরই উপজাতিরা গঠন করেছে সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন শান্তি বাহিনী। এই সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন শান্তি বাহিনি যদিও ১৯৯৭সালে শান্তি চুক্তির মাধ্যমে ভেঙ্গে দেয়ার কথা ছিল। এবং সেদিন অনেকেই আত্নসমর্থন করেছে। কিন্তু, শান্তিবাহিনীর মুল অংশ আজ পর্যন্ত রয়েছে অখণ্ডিত। পাশাপাশি নতুন করে গঠন করা হয়েছে ইউপিডিএফ, জেএসএস, জেএসএস(সংস্কারপন্থী)। উপজাতিদের প্রতিটি সংগঠনই সশস্ত্র। এবং বর্তমানে উপজাতীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো প্রতিনিয়ত পার্বত্য চট্টগ্রামে চাদাবাজি,অপহরণসহ সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।শান্তি চুক্তির আগে পার্বত্য অঞ্চলের অধিবাসীরা শুধুমাত্র শান্তি বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হতো। কিন্তু, শান্তি চুক্তির পর আলাদা আলাদা সংগঠন গঠন করার ফলে পার্বত্য অঞ্চলের অধিবাসীরা কয়েকটি উপজাতীয় সন্ত্রাসী সংগঠনের নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এই ছাড়াও উপজাতিরা জুম্মাল্যান্ড তৈরির লক্ষ্যে আলাদা পতাকা, আলাদা সংবিধান প্রণয়ন করেছে। তাদের তারকা খচিত পতাকাটি ইতিমধ্যে অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে। অথচ নির্মম সত্য হচ্ছে দেশাদ্রোহি উপজাতীদের এতো কিছুর পরও বাংলাদেশ সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা নিচ্ছে না। সরকার কি তবে তাদের সাথে আপস করছে? নাকি সরকার জুম্মাল্যান্ডকামীদের জুম্মাল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে? যদি তাই নেয় তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত বাঙ্গালীদের কি হবে ভেবে দেখেছে কি সরকার? এখনো পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালীরা প্রতিনিয়ত উপজাতিয় সন্ত্রাসীদের দ্বারা নির্মমভাবে নির্যাতিত। উপজাতি সন্ত্রাসীরা পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বাঙ্গালীদের উচ্ছেদ করার প্রচেষ্টায় লিপ্ত। এমন অবস্থায় যদি ওদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা না নেয়া হয়। তাহলে আগামী দিনে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে এই উপজাতিয় সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো। তাই সরকারের উচিত শীঘ্রয় পার্বত্য চট্টগ্রামকে সন্ত্রাস এবং শত্রুমুক্ত করা
বিষয়: রাজনীতি
১০৩০ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এটাকে মেডিক্যাল পরিভাষায় বলে গ্যাংগ্রিন ।
এটা বাম পায়ে ।এটা অনেক দিন ধরে হয়ে আসছে । প্রথমে হয়ত ছোট একটা ইনফেকশন হিসেবে আত্নপ্রকাশ করলেও অবহেলার কারণে আজ তা বিরাট আকার ধারন করেছে ।
পা শরীরের খুব ভাইটাল একটা অংশ , যা দাঁড়াতে ব্যবহার হয় । কিন্তু এখানে যে অবস্থা এটাকে যদি রেখে আরও বাড়তে দেওয়া হয় তাহলে যত সময় যাবে তত উপরে কাটতে হবে ।
আপনি না হয় বস পাবলিক । আপনার ছোট্ট সন্তান ( শিশু) কি বলবে এই প্রেক্ষিতে ?
বাড়তে দেবে এই দুষ্টক্ষতকে না কি সময় থাকতে থাকতে কেটে ফেলবে ?
মন্তব্য করতে লগইন করুন