জামায়াতে ইসলামীর জনপ্রিয়তা জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে

লিখেছেন লিখেছেন মনির হোসেন ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৩, ১২:৪১:৩০ রাত

জামায়াতে ইসলামী বিগত এক বছর যাবৎ টক অভ্ দ্যা কান্ট্রি। দলটির প্রতি বিরোধী শিবিরের একচেটিয়া ব্যাপক সমালোচনা, সরকারী দলের রাষ্ট্রীয়ভাবে দমন-পীড়ন এবং সুশীল সমাজের অন্ধ বিশ্লেষণ দলটিকে রহস্যময় করে তুলেছে সাধারণ মানুষের কাছে। মানুষের একটি সহজাত গুণ হলো, রহস্যঘেরা জিনিষের প্রতি প্রবল আকর্ষণ থাকা। সেই আকর্ষণের সূত্র ধরেই তারা জামায়াত নিয়ে গবেষণা করার প্রয়াস পায়। বাংলাদেশের বড় দুটি দলের সাথে তুলনা করলে জামায়াতের কিছু বিষয় সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠে।

প্রথমতঃ গণতন্ত্রের ব্যপারে বিএনপি ও আওয়ামীলীগ যতই জোর গলায় কথা বলার চেষ্ট করুক না কেন প্রকৃতপক্ষে তারা কখনোই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হউক তা কখনোই চায় না। উভয় দলের ভিত্তিই পরিবারতন্ত্র। এদিকে জামায়াতে ইসলামী একশত ভাগ গনতন্ত্রের (পরামর্শের) উপর প্রতিষ্ঠিত। জামায়াতের আমীর গোলাম আযমের ছেলে তার পরবর্তীতে জামায়াতের আমীর হননি কিংবা মাওঃ মতিউর রহমান নিজামীর পরবর্তিতে তার ছেলে।

দ্বিতীয়তঃ আওয়ামীলী বা বিএনপি কখনোই দাবি করতে পারবে না যে, প্রত্যেক বছরই তারা ওয়ার্ড পর্যায় তো দুরে থাক জেলা পর্যায়েও তারা তাদের কমিটি করতে পেরেছে। জামায়াত এদিকে অবিশ্ব্যাস্য সফলতা অর্জন করেছে। ফলে দলটি গতিশীল নেতৃত্ব সৃষ্টি করতে পেরেছে।

তৃতীয়তঃ উল্লেখিত দু’দলেই সম্ভাব্য পদ নিয়ে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। কিন্তু আজ পর্যন্ত এমন একটি ঘটনাও দেখানো যাবেনা যেখানে জামায়াত কোন নেতা পদ পাওয়ার ব্যাপারে সংঘর্ষ হওয়া তো বহুদুর বরং পদ পাওয়ার ব্যাপারে সামান্য ইচ্ছাও প্রকাশ করেছে।

চতুর্থতঃ জামায়াত ব্যতীত অন্য দলের ব্যাপারে বাংলদেশে এমন একজনও পাওয়া যাবেনা যারা এ কথার স্বীকৃত দিবে যে, তাদের নেতারা দুর্নীতি পরায়ন নয় বা তারা মানুষের জায়গা জমি অবৈধভাবে ভোগ করে না অথবা সুদ বা ঘুষের সাথে জড়িত নয়। অধিকাংশ নেতৃবৃন্দকে তারা দেখতে পায় মাদকাসক্ত (ধুমপান, মদ, জুয়া ইত্যাদি) কিংবা লম্পট অর্থাৎ চরিত্রহীনতার উর্ধে্ব উঠতে পারেনি।

পঞ্চমতঃ ধর্মীয় অনুশাসনের ক্ষেত্রে অধিকাংশ নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিই উদাসীন বরং ক্ষেত্রবিশেষে ধর্মীয় ব্যাপারে সমালোচনায় পঞ্চমুখ যা জনসাধারণকে মনোকষ্ট দেয়। আন্যদিকে জামায়াত ধর্মের ব্যাপারে শ্রদ্ধাশীল ও অনুশীলনকারী।

ষষ্ঠতঃ জামায়াতে ইসলামীর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্টের মধ্যে একটি হলো জ্ঞানের প্রতি প্রবল তৃষ্ণা। একজন সাধারন সমর্থক থেকে শুরু করে দলের হাই কমান্ড পর্যন্ত জ্ঞানানুশীলনের চর্চা বাধ্যতামূলক। এই গুনটি অন্যান্য দল থেকে জামায়াতকে বিশেষভাবে বিশেষায়িত করেছে। যার কারনে দলটি ইসলামী দল হয়েও আধুনিক বিজ্ঞানভিত্তিক ও গতিশীল রাজনৈতিক দলে রূপান্তরিত হয়েছে।

আনুগত্যঃ আনুগত্যবিহীন একটি পরিবার শান্তিপূর্ণভাবে একদিনও চলতে পারেনা। আনুগত্যের বিষয়ে জামায়াত দক্ষিণ এশিয়ায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বাকি দলগুলো যেখানে হতাশ, জামায়াত সেখানে শতভাগ সফল। কেন্দ্র থেকে জেলা পর্যন্ত প্রথম সারির সকল নেতৃবৃন্দ জেলে থাকার পরও তাদের চেইন অভ্ কমান্ডে চুল পর্যন্ত ফাটল ধরাতে পারেনি।

উপরোক্ত বিষয়গুলো মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে। চিন্তাশীল ও বিবেকবান জনগণ সমালোচনাকারীদের সমালোচনার সাথে মিল পাচ্ছে না। জামায়াতের মৌলিক বিষয়ে তারা যতই জানার সুযোগ পাচ্ছে ততই তারা জামায়াতের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। অন্যভাবে বললে জামায়াতের সমালোচনাই তাদেরকে জামায়াতে ইসলামী বানিয়ে দিচ্ছে। বর্তমানে জামায়াতে ইসলামী অপ্রতিরোধ্য এক শক্তির নাম। অচিরেই এ দলটি একটি জনকল্যানমূলক ইসলামী রাষ্ট্রের জন্ম দিবে বলেই প্রতিয়মান হয়।

বিষয়: বিবিধ

১৩৩১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File