মুসলিম দেশগুলোর অধঃপতনের অন্যতম কারণ
লিখেছেন লিখেছেন মনির হোসেন ০২ ডিসেম্বর, ২০১৩, ১২:৩৪:৩২ দুপুর
ঘরে স্বর্ণ, অর্থ, সম্পদ- গৃহস্বামী দ্বার উন্মুক্ত রেখেছে, ডাকাত এসেছে. গৃহস্বামী সে ডাকাতের সাথে বন্ধুত্ব করেছে, তাকে সম্পদ লুন্ঠনে সাহায্য করেছে। এই গৃহস্বামীর মত যদি একটি জাতি হয় এবং ডাকাত যদি অপর একটি জাতি হয়, তবে ডাকাত জাতি এখন বোকা সম্পদশালী গৃহস্বামী জাতির সম্পদ লুন্ঠন করেই ক্ষান্ত নয়, তাদের করে নিতে চায় কৃতদাস হিসেবে।গৃহস্বমীর জাতি কৃতদাস হতে প্রস্তুত নয়, ডাকাত জাতি শক্তি প্রয়োগে তা করতে চায়। গৃহস্বামী জাতির সম্পদ দিয়ে তারা ক্রয় করলো বাহন, তৈরি করলো হাতিয়ার এবং এ হাতিয়ারগুলো দিয়ে আক্রমণ করলো গৃহস্বামীদেরকে। তাদের অত্যাধুনিক ও নতুন অস্ত্র বানানোর নিয়ন্ত্রণটি এবং এ ধরনের অন্যায় কাজের নিয়ন্ত্রণের সবটুকু ক্ষমতাই ছিল গৃহস্বামীদের হাতে। গৃহস্বামীগণ তাদের এ নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে উদাসীন ছিল।অতঃপর গৃহস্বামীগণ মনে করলো- আক্রমণে অত্যন্ত দ্রুত এই ডাকাত জাতি; তাদের দূর পাল্লার অস্ত্র অতি তীব্র, কার্য্কর ও অপ্রতিরোধ্য। সুতরাং তাদের জন্য দাসত্ব বরণই এখন ন্যায়সঙ্গত। তাই তারা ডাকাত জাতির দাসত্ব বরণ করলো এই যুক্তিতে যে তাদের অস্ত্রের সামনে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। মূলত তারা ভাবেনি- এই অপ্রতিরোধ্য হাতিয়ার যা ডাকাত জাতির হাতে, তা ঐ ডাকাতের সৃষ্ট নয় বরং তার মৌলিক সৃষ্টা এই গৃহস্বামী জাতিই। তারা ডেকে এনেছে ডাকাতদের তাদের ঘরে, স্বেচ্ছায় ধন সম্পদ দিয়েছে, এই ধন সম্পদে তারা সে এই গৃহস্বামী জাতিকে উচ্ছিন্ন করেছে।
প্রসংগ বাংলাদেশঃ
সাম্প্রতিক বাংলাদেশ কি গৃহস্বামী জাতিটির ন্যায় ভাগ্য বরণ করছে না? তারা তাদের আভ্যন্তরীণ মিমাংসার জন্য ডেকে আনছে সাম্যজ্যবাদীদের । কথায় বলে সাম্রাজ্যবাদীরা যাদের বন্ধু হয় তাদের শত্রুর প্রয়োজন নেই। এই সাম্রাজ্যবাদীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য দেশটি ভারত। যারা বাংলাদেশের Freedom and Sovereignty তে বিশ্বাসী নয়। এমন কোন দিন যায় না যে তারা সীমান্তে একজনকে হত্যা না করে। ১০ম জাতীয় সংসদকে কেন্দ্র করে ভারতের প্রভাবশালী পত্রিকায় বাংলাদেশের উপর সামরিক হস্তক্ষেপ, বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য হুমকি নয় কি?
বিষয়: বিবিধ
১৪৫৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন