হে প্রভু, তাঁদের রহম করুন

লিখেছেন লিখেছেন আল হোছাইন ২১ জুন, ২০১৫, ১২:৫২:৩০ দুপুর

বাবারা পৃথিবীতে আসেন কষ্ট করতে, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সন্তান-সন্ততিদের মানুষ করতে। করেনও, অতঃপর সন্তানরা মানুষ হতে না হতেই বাবারা প্রভুর সান্নিধ্যে চলে যান।

আর যারাই বা থাকেন, অনেকের ভাগ্যে বৃদ্ধাশ্রম বা রিকশার প্যাডেল সঙী হতে দেখা যায়। ব্যতিক্রম অবশ্য আছে।

সরকার পিতা-মাতার ভরণ পোষণ আইন করলেও, কয়জন পিতাই বা পারেন পুত্রকে কাঠগড়ায় দাড় করিয়ে ভরণ-পোষণ আদায় করতে? আখের আঞ্জাম, তিনি বাপতো!!! সন্তানের কষ্টতো বাবা বা মায়ের সহ্য হয়না।

আজ বাবা দিবসে, বাবার জন্য কান্না ও মায়াভরা স্ট্যাটাসের ফুলঝুরি দেখে ভাবি, আমরা কয়জন বা বাবার কান্নার কারণ হচ্ছিনা?

পিতা-মাতার প্রতি সদাচরনের কথা সকল ধর্মে স্বীকৃত। ইসলাম ধর্মে, স্রষ্টার দাসত্বের পাশাপাশি পিতামাতার প্রতি সদাচরণের দীক্ষা দেয়া হয়। মা-বাবার মনে কষ্টোদ্দীপক শব্দ উচ্চারণে নিষেধাজ্ঞা আছে। অবাধ্যতার শাস্তিও বিধিত।

মা-বাবার প্রতি আমাদের দায়িত্বানুভূতি জাগ্রত হোক, হাজার-হাজার বছর জাগ্রত থাকুক। আমরা যারা মা-বাবা বা যেকোনো একজন হারিয়েছি তারা মা-বাবার বন্ধু-বান্ধব বা আত্বীয় স্বজনের সাথে সদব্যবহারের মাধ্যমে মা-বাবার প্রতি দায়িত্বের কিয়দাংশ পালন করতে পারি।

অবশেষে মহান প্রভুর দরবারে তাঁদের জন্য প্রার্থণা করি, রাব্বিরহামহুমা কামা রাব্বায়ানি সাগিরা। হে আমাদের প্রতিপালক, আপনি তাঁদের (পিতা-মাতা) উভয়ের প্রতি করুণা করুন, যেমনিভাবে তারা আমাদেরকে শিশুকালে লালন-পালন করেছেন।

বিষয়: বিবিধ

১৩৪০ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

326984
২১ জুন ২০১৫ দুপুর ০১:২৭
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
326988
২১ জুন ২০১৫ দুপুর ০১:৫২
হতভাগা লিখেছেন : বেচারাকে স্বান্ত্বনাসূচক তাম্র পদক নিয়েই তুষ্ট থাকতে হয় এত খাটা খাটুনির পরও।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File