এমন রাজনীতি কবে দেখবে বাংলাদেশ?
লিখেছেন লিখেছেন আল হোছাইন ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৩, ১২:২৭:৩০ রাত
হত্যা, জ্বালাও-পোড়াও, মার-মার, কাট-কাট ছাড়া কী আছে রাজোনীতিতে?
আসলে রাজনীতি হওয়া উচিত নীতিসমৃদ্ধ। দলীয় সংকীর্ণতা, ব্যক্তিগত স্বার্থ ইত্যাদির উর্ধে উঠে দেশ ও জনগনের স্বার্থে সর্বোচ্চ ত্যাগ দেবার মানসিকতার নামই রাজনীতি। রাজনীতি হওয়া উচিত জনস্বার্থে। আজ আমরা জনস্বার্থের উর্ধে উঠে ব্যক্তিস্বার্থে ১৬ কোটি জনগনের জান নিয়ে ছিনি-মিনি খেলছি।
রাজনীতির এমন বেহায়া রূপ দেখে তরূণ সম্প্রদায় নিযেদের বায়ুতে লিখতে বাধ্য হয়- 'রাজনীতিকে ঘৃণা করি'। আসলে এটা কি রাজনীতিকদের গালে চপেটাগাত নয়? জুতা পেটায় যাদের কাজ হয়না তাদের আবার চপেটাগাত! এজন্য নিযেরাও এখন রাজনীতিকে ঘৃণা করতে শিখছি।
তবে, সমাজের রন্দ্রে-রন্দ্রে রাজনীতির ভয়াল থাবা ও প্রভাব বিদ্যমান। বিশ্ববিদ্যালয়ের পিওন থেকে ভিসি, সাংবাদিক থেকে সম্পাদক, পেশকার থেকে বিচারক বা বিচারপতি হচ্ছেন রাজনৈতিক বিবেচনায়। ক্রিকেটাররা রাজনীতিকদের পূজা না করলে ক্রিকেটার হতে পারেননা শিক্ষক হতে পারেননা শিক্ষক। এ এক আজব খেলা!
সমাজের প্রত্যেকটি সেক্টরে রাজনীতি বা পূজননীতি। সমাজকে এমন অন্ধকার থেকে বাঁচানোর কোনো পথ আমার মতে খোলা নেই। তাহলে উপায়- সেই কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা! মানে রাজনীতি দিয়েই বিরাজনীতিকরণ!
তবে রাজনীতি অবশ্যই হতে হবে রক্তমুক্ত। এমন রাজনীতি কবে দেখবে বাংলাদেশ?
বিষয়: রাজনীতি
১১৫২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন