নারীবাদ' প্রতিষ্ঠিত হলেই কি নারীর প্রতি অবিচার বন্ধ হয়ে যাবে ?
লিখেছেন লিখেছেন সাইফ রাহমান ৩০ নভেম্বর, ২০১৩, ১১:১৫:৪৩ সকাল
'নারীবাদ' প্রতিষ্ঠিত হলেই কি নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে ? নারীর প্রতি অবিচার বন্ধ হয়ে যাবে ?
'বর্তমান সমাজব্যবস্থায় 'পুরুষবাদের' আধিপত্য থাকার ফলে, নারীরা আজ সর্বক্ষেত্রে বঞ্চিত অবহেলিত এবং অবিচারের শিকার' নারীবাদী নেত্রীদের মনোভাবটা অনেকটা এমনই। এতে দ্বিমত থাকবার কথা নয়। হয়ত এ জন্যেই তারা নারীবাদ প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করেন।
কিন্তু প্রশ্ন হল, বর্তমানে নারীর প্রতি যে অবিচার হচ্ছে, সেগুলো কি পুরুষবাদের আধিপত্ত্বের কারনে, না কি বর্তমান সমাজব্যবস্থায় 'ন্যায়-ইনসাফের' অনুপস্থিতির কারনে ?
ধরা যাক, এখন যদি সমাজব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটে, নারীবাদের উত্থান হয়, তাহলে কি ঐ সমাজব্যবস্থায় এই সময়ের নারীদের মতো তখনকার পুরুষরা অবহেলা বা অবিচারের শিকার হবে না, যদি সেখানে 'ইনসাফ' না থাকে ?
তাহলে লাভ কী হল ? সমাজ তো অবিচারের মধ্যেই থেকে গেল।
বর্তমান সময়ে নারীদের প্রতি যে বৈষম্যমুলক আচরণ করা হয় সেটাও আমাদের মধ্যে 'ইনসাফ' না থাকার কারনে। 'নারীবাদ' না থাকার জন্যে নয়।
যে সমস্ত নারী নেত্রীরা মেয়েদের প্রতি মায়া কান্না দেখিয়ে 'নারীবাদের' আন্দোলন করেন তারা কখনই নারীর সঠিক কল্যান চান না। তারা 'পুরুষবাদের' নোংরামির বিপরীতে 'নারীবাদের' নোংরামি প্রতিষ্ঠা করতে চান। তারা একটা অন্যায় রুখবার জন্য, সল্যুশন থাকা স্বত্বেও তা গ্রহন না করে, আরেকটা অন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করেন। এরা মুলত সমাজকে অস্থিতিশীল করে তুলতে সহায়তা করে যাচ্ছেন।
মানব সভ্যতার কল্যানের জন্য এদের অনিষ্টের ব্যাপারে সকলের সচেতন হওয়া জরুরী।
মুলত আমাদের এই সমাজ থেকে সকল প্রকার অন্যায়-অবিচার (চাই তা পুরুষের প্রতি হোক অথবা কোন নারীর প্রতি) দূর করার জন্য কোন 'পুরুষবাদ বা নারীবাদ' প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন নাই, প্রয়োজন 'ন্যায়-ইনসাফ' প্রতিষ্ঠা করার আন্দোলন।
সমাজের সর্বস্তরে 'ইনসাফ' প্রতিষ্ঠা করা গেলে, এই ধরনের সব অবিচার অন্যায় বন্ধ হয়ে যাবে। পুরুষ বা নারী কারো প্রতি কোন অবিচার করার সুযোগ থাকবে না। থাকবে না কোন বৈষম্য। সুন্দর স্থিতিশীল সমাজ গড়ার জন্য 'ইনসাফ' প্রতিষ্ঠা একমাত্র সল্যুশন।
বিষয়: বিবিধ
১১৩১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন