প্রবাসীদের কোন সান্তি নাই, করো মন পাওয়া যায়না
লিখেছেন লিখেছেন বড়মামা ১৮ নভেম্বর, ২০১৪, ০৩:০১:৩০ রাত
৬ভাই ,৫বোনের মধ্যে আমি চতুর্থ বড় পরিবার পড়ালেখা খরছ কেউ দিবেনা মনে খুব দুঃক্ষ তাই ১৬/১৭বছর বয়সে ৩৫০০টাকা নিয়া বাড়ি থেকে বাহির হই ।১৫দিন পর করাচী যাইয়া পৌছলাম কত কষ্ট যে শয্য করেছি ।মনেহলে একখনো কান্দন আসে ।রাত দিন মেহনত করে যা পেয়েছি সব টাকা বাড়িতে দিয়াছি।টাকা পাইয়া হিসাব দিয়া পরের চিঠিতেই আবার টাকা দাও, এই অসুবিদা সেই অসুবিদা।টাকা নাদিতে পারলেই নাকি বাজে পথে টাকা খরচ করি বিদেশ থাকিয়া দেশে হিসাব দেওয়া লাগে। ৫বছর পর দেশে যেয়ে দেখি আমার কিছুই নাই জীবনের এই সময় টুকু বিফলে চলে গেল ।কারো মন পাইলাম না ।চলে এলাম সৌদি আরব ৯৬ সাল পর্যন্ত সারে ছয় লক্ষ টাকা দিলা ভাবলাম আর বিদেশ করা লাগবেনা ।দেশে যেয়ে দুই ভাই শিঙ্গাপুর পাঠালাম। শান্তি নাই তাদের টাকা নাকি তাদেরই লাগবে ।খালি হাতে বিবাহ করলাম।বউকে খুশি করতে পারলাম না দের বড়ি স্বর্ন তাই। ।২০০০সালে আবার সৌদি এলাম এখনো আছি ১০বড়ি স্বর্ন দিলাম ফ্রিজ কাপড় দোয়ার মেশিন ওভেন আরো অনেক আধুনিক জিনিস কিনে দিলাম তবু বউ এর মন পাইলাম না আরো বলে আমার কি আছে।দুই বাচ্ছা সহ সৌদি নিয়া আসলাম এখানেও ভালো লাগেনা।চার বছর পর এখন বছরে দুই তিন মাস সৌদি থাকে মনমত বাজার করে দেশে নিয়া যায় ।তার পরও মন পাইলাম না ।নিজের ইচ্ছা মত খরছ করা যায়না ।বউ এখন বলে সুন্দর বাড়ি চাই।বলেছি বাড়ি করে দিবো টাকাও জমা করেছি কিন্তু দেড়ি শয়না বলে আর কয়দিন বাছবো আমাকে কি দিয়াছো।মনে শান্তি নাই,মা,বাবা,ভাই বোন কাউকেই জীবনে খুশি করতে পারলাম না।যানিনা আর কত দিন প্রবাসে থাকতে হবে।এভাবেই আমরা সারা জীবন খেঠে গেলাম।আমাদের দুঃক্ষ কেউ বুজলনা ।পাওয়ার মাজে পেয়েছি মক্ক শহর রহমত বরকত ।আল্লাহর রাজি খুশি কামনা করি।
বিষয়: বিবিধ
১৫৯৫ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বড় মামা সালাম আপনাকে...
এই-ই অবস্হা প্রায় প্রবাসীর ক্ষেত্রেই! তবে...আমার পরিবারের সবাই খুবই সহনশীল আমার প্রতি!তাদের চাওয়া একেবারেই কম!আল্লাহর অপার করুণা যে একমাত্র বউ আর শ্বাশুরী ছাড়া পরিবারের অন্য কেউ কখনো টাকা-পয়সা-জিনিসের আবদার জানায় না!
মন্তব্য করতে লগইন করুন