পাকিস্তানী হানাদার কিন্তু যা দেখেছি তাতো ভুলা যায় না।
লিখেছেন লিখেছেন বড়মামা ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০২:৫৯:৫৮ রাত
১৯৮৫ সাল জুলাই মাস দালালের খপ্পরে পরে বাই রোডে পাকিস্তানের করাচির উদ্ধেশে যাত্রা। ১০ দিন ট্রেনে এবং বাসে ভারত পরি দিয়া পাকিস্তান বডারে সারা রাত্র হাঠার পর মনে হচ্ছিলো পাকিস্তান পৌচে গেছি।সকাল হতেই দেখি আমরা বডার থেকে ৩০০গজ দুরে ভারতের আংশে আছি দাদাল বলেছিলো পাকিস্তানিরা মুসলমানদের অনেক সাহায্য করে করাচি যাইতে। আমি বল্লাম হানাদারা পাইলে মাইরা ফালাইবো সারা রাত্র কোন খাবার নাই ঘুম নাই আগের দিন দুপুরে একটু খেয়ে ছিলাম তখন আমাদের চার জনের যে কি অবস্থা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।সাথে খাবার নাই পকেটে টাকা নাই আসে পাসে বাড়ি ঘর কিছুই নাই মনে হইতেছলো আমরা মারা যাবো দুর্বল শরীর মাটিতে একটু শুয়ে পরলাম যখন রোদ্রের তাপে ঘুম বেঙ্গে গেলো দেখি শিখেরা হাল চাস করতেছে অনেক দুরে দুরে।এক শিখ এসে বল্লো তোরা বাঙ্গালী তোদের দরিয়ে দিবো তোরা এখান থেকে চলে যা।দালাল বল্লো রাত্রে ছাড়া দিনের ভেলা বডার করছ করলে গুলি খেয়ে মরতে হবে।আমরা তখন কি করবো ভেবে পাইনা।বডার এলাকায় বিলের মত পানি এই ৩০০গজ পানি পার হলেই পাকিস্তান।সবাই একমত হলাম যখন মারাই যাবো দিনেই বডার করছ করবো।কাদে কাদ মিলিয়ে গলা পর্যন্ত পানির নিছে রাখলাম আস্তে আস্তে কচুরী পানার মতো করে বডার করছ করলাম পানি কোমর পর্যন্ত ছিলো আনেক কস্টে পার হলাম পাকিস্তানে ডুকার পরই এক পানজাবী দেখে ফেল্লো মনে মনে ভাবলাম এবার শেষ দালাল কিছু উর্দু যানতো ।লোকটি বল্লো সে আমাদের করাচি পৌচার ব্যাবস্থা করে দিবে । পানজাবী লোকটার পিছনে পিছনে আমরা যাইতেছি একটু সামনে যাওয়ার পর দেখি কয়টা লোক মহিষকে ঘাস খাওয়াচ্ছে তারা আমাদের বল্লো তোমরা মুসলমান? আমরা বল্লাম জি তার পর তারা বল্লো ঐলোক পলিশ তোমরা তার পিছনে যাইওনা তোমরা সোজা এদিকে চলে যাও ।গাছ পালা এবং আখ খেত ছিলো ।নিজের জানটা হাতে নিয়া সবাই তাদের দেখা দিলাম দৌর ৫/৬কিলোমিটার যাওয়ার পর একটা আখ খেতে সবাই শুয়ে পরলাম।আমাদের দেইখা বডরের কুকুরগুলি গেউ গেউ করতেছে তখন এক পানজাবী এসে আমাদের অবস্তা দেখে বালতি দিয়া মহিষের দুধের চা ও পারোটা নিয়া আসলো।সে বল্লো তোমাদেরকে বাড়িতে নেওয়া যাবেনা আমার অসুবিদা হবে।সারাদিন সে আমাদের খবর রাখছে তার কথা মত সন্ধা সময় আমরা ছুইছ খাল পার হলাম যেখানে পানির অনেক স্রোত সাথে কিছু রুটি দিলো।তার পর হাঠতে হাঠতে এক জিব গাড়ী ওয়ালা পাইলাম সে আমাদের অনেক পথ এগিয়ে দিলো এবং নিরাপদে যাওয়ার পরামর্শ দিলো। পরদিন সকাল বেলা হাঠা শুরু ট্রেন স্টেশনের দিকে এক গাদার গাড়ী ওয়ালা আমাদের দেখে বলে কোথায় যাবা আমরা বল্লাম টাকা নাই সে বল্লো গাড়ীতে উঠো গাড়ীতে উঠার পর আমাদের দেখে তার সাথে থাকা দুপুরের খাবার আমাদের চার জনকে খেতে দলো আমরা বল্লাম তুমি কি খাইবানা সে বল্লো আমি পরে খেয়ে নিবো করাচি যাইতে আমাদের অনেক সাহায্য করেছে পাকিস্তানীরা তার মানে আমি সব পাকিস্তানীকে ভালো বলতে ছিনা তারা তোমরা আমাদের ভাই বর্তমানে ৪০ লাখের মতো বাঙ্গালী আছে তারা অনেকে বাংলা দেশে টাকা পাঠায় দীর্গ সাত বছর করাচিতে ছিলাম তারা আমাদের কোন অসুবিদা করে নাই একমাত্র পুলিশ ছারা পুলিশরাতো পাকিস্তানীকেও হেস্ত নেস্ত করে। ৯৩সাল পর্যন্ত খুব ভালো ছিলো।এই পাকিস্তান থেকে হাজার ,হাজার বাংঙ্গালী ইটালী, গ্রীস, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাইয়া দেশে কুটি কুটি টাকা পাঠাচ্ছে।শাসক গোষ্ঠি সব সময় মানুষের উপর নিরযাতন করেছে। এখনো করতেছে।আরো অনেক কথা আছে পরে লিখবো আমার মক্কা আসার পিছনেও পাকিস্তানের অবদান আছে আজকে লাক,লাক টাকা কামাচ্ছি আপনাদের দোয়ায়।
বিষয়: বিবিধ
১৭১৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন