সাঈদী সাহেবের তীব্র বিরোধিতাও ইবাদাত!
লিখেছেন লিখেছেন অনন্যা ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১০:৩৭:১৪ রাত
নবি রাসুলরা ওহি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিলেন তাদের ভুল-ভ্রান্তি এ কারণেই নেই। তারপরও রাসুলে করিম (সা.) একবার খেজুর গাছের ফল ধরা সম্পর্কে বোধ করি একটা নিজস্ব মতামত দিয়েছিলেন যা ভুল বলে প্রমাণিত হওয়ায় তিনি নিজেই বলেছিলেন সেটা তাঁর ব্যক্তিগত অভিমত ছিল। ওহি ছিল না।
তাই মানুষের মানবিক ভুল-ত্রুটি হতেই পারে।
এই মাওলানাকে চিনিনা তবে সাঈদী সাহেবের ভুল ধরাই তার ইবাদত বলে মনে হচ্ছে। তবে সংশোধনের উদ্দেশে মানুষের ভুল ধরিয়ে দেয়া উত্তম।
তারপরও বলবো উপমহাদেশের প্রচলিত রেওয়াজে অনেক কিছুর মিশ্রণ আছে আর নিম্ন বর্ণের নির্যাতিত হিন্দুরা ইসলাম গ্রহণ করেছিল তাই কিছু শতাব্দী প্রাচীন কিছু বদ অভ্যাস আছে সময়ের সাথে সাথে জ্ঞানের প্রসারে সেগুলো বিলুপ্ত হচ্ছে।
এই আলেমকে বলবো খাঁচায় বাঘ রেখে দাপানোর দরকার কি? তার অন্যায়ভাবে জেল খাটা...তার উপর হওয়া জুলুম (জেলে থেকেই মা ও সন্তানকে হারানো) নিয়ে কথা বলুন তাকে মুক্ত করে সামনা সামনি বসে না হয় বিতর্ক করবেন।
কিছু কিছু আলেমকে রাসুল (সা.) দাজ্জালের থেকেও ভয়ঙ্কর বলেছেন আপনি সে তালিকভুক্ত হতে চান কি না জানিনা।
মনে হচ্ছে আপনি সংশোধনের উদ্দেশ্য নিয়ে নয় তার ভক্তদের বিব্রত করার উদ্দেশ্য নিয়েই অসাক্ষাতে গিবত করছেন আর গিবত যেনার থেকেও ভয়ঙ্কর...
আপনার বক্তব্য তার কাছে যদি না পৌঁছে অবশ্যই আপনি গিবত করছেন সন্দেহ নেই...আর ফিতনা সৃষ্টি করাও বড় গুনাহ...
নাম শায়খ মতিউর রহমান মাদানী তার বক্তব্যের ইউটিউব লিঙ্কটা দিলাম : https://www.youtube.com/watch?v=67sRObeWQY4
বিষয়: বিবিধ
২১৪৪ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সুতরাং আলেমদেরও ভুল হলে ধরিয়ে দেয়া উচিত। কারন আলেমদেরকে বিশাল একটি অংশ অনুসরণ করে....। ভুল থাকার পর ধরিয়ে না দিলে মানুষ ভুলের উপর থেকে যাবার সম্ভাবনা বেশি।
কোরআন ও সহীহ হাদীসের বিরুদ্ধে কথা হলে তার প্রতিবাদ করা উচিত।
সেটা মতিউর রহমান মাদানী হোক বা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী হোক। বা অন্য কেউ। @আহমদ মুছা।
আল্লামা সাঈদীর বিরুদ্ধে শায়খ (?!) মতিউর রহমান মাদানীর মিথ্যাচারঃ সপ্রমাণ দেখুন ও শেয়ার করুন।
এই ধরনের শায়খ (?!) থেকে সাবধান!
মতিউর রহমান সাহেব যে সাঈদী সাহেবের সম্মান নষ্ট করার জন্য প্রতিহিংসামূলক ভাবে সাঈদী সাহেব সর্ম্পকে মিথ্যা প্রচার করেন এ ব্যাপারে একটি ভিডিও পোষ্ট করলাম। দেখুন সাঈদী সাহেব কি বলেন হিল্লা সম্পর্কে আর মতিউর রহমান কি ভাবে সাঈদী সাহেব সর্ম্পকে মানুষকে মিথ্যা ফতোয়া দেন বলে বোঝাইতেছেন।
"মতিউর সাহেব সাঈদী সাহেব সম্পর্কে মানুষেকে বিভ্রান্ত করার জন্য সাঈদী সাহেবের পুরো বক্তব্য না শুনিয়ে মধ্যখান থেকে কিছু শুনিয়ে বক্তব্যের শেষ কথাগুলো না শুনিয়ে সাঈদী সাহেবের আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা কে নষ্ট করার চেষ্টা করতেছেন"।
একজন ঈমামের আকিদা মতিউর রহমান সাহেবের মত অবশ্যই হওয়া উচিত নয়।
ধর্মীয় কোন বিষয়েই এই ধরণের মিথ্যাবাদীর বক্তব্য নির্ভরযোগ্য নয়। আকীদা, নামাজ ইত্যাদি কোন বিষয়েই এই মিথ্যাবাদী ভ্রান্তপন্থীর বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। এই সম্পর্কে আমার এই ইউটিউব চ্যানেলে কিছু ভিডিও দেয়া হয়েছে।
আমি অবশ্যই সাঈদীর ভক্ত, এর মানে এই নয় যে অন্ধ হয়ে থাকা। সাঈদী সাহেবের ভুল ধরিয়ে দিলেই অন্য কাউকে বিদ্ধেষী মনে করার কারন নেই। কোরআন ও সহী হাদীস বিবেচনা করে পাঠকদের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।
আল্লাহই ভালো জানেন উনি কতটা সহিহ ইসলামের উপর আছেন।
মাঞ্জুরে এলাহি স্যার, ইব্রাহীম স্যার,আবদুররাজ্জাক, ডা. জাকির নায়েক, আরও অনেক উস্তাজ আছে যারা বেদায়াতিদের বিরুদ্ধে কোরআন ও সহী হাদীস দিয়ে জিহাদকরে যাচ্ছেন।তাদেরকে আল্লাহ রহম করুন ।
কিন্তু এই লোকটার লেকচারগুলি দেখেশুনে মনে হয়েছে সে মসুলমাদের উপর খুব ক্ষেপ্যা, যেমন ক্ষেপ্যা ইহুদি ও 'র' চালিত মিড়িয়া গুলি।
বড়ি লেংগুয়েজও হিংসুক টাইবের। মুসলমানদের ভিতর বিদ্ধেষ ছড়ানো মতিউর রহমান, জনপ্রিয় জনন্দিত সাঈদীকে কলংকিত করার আপ্রান প্রচেষ্টা যথেষ্ট সন্দেহ জনক
ইন্ডিয়ার মুর্শিদাবাদের মতি. সাহেব ওদের চালিত মিড়িয়া কিনা খোঁজ করে বের করা দরকার। কারন সে উম্মাহতে বিভ্রান্তি চড়াতে কিছুটা সফল হয়েছে।
মতিউর রহমান সাহেব টাকার বিনিময়ে সউদিতে এসি ওয়ালা রুমে বসে বিদ্বেষপুর্ন খবর প্রচার করিতেছে। সউদি আলেমদেরকে মতি. সাহেবের ব্যপারে রিপোর্ট করুন।
আপনার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
জাযাকাল্লাহ খায়ের।
মন্তব্য করতে লগইন করুন