চৌধুরী সাহেবের নামটা...
লিখেছেন লিখেছেন অনন্যা ০৫ জুলাই, ২০১৫, ১২:৪৪:১৯ রাত
এই রকম একটা লোক এত্ত কিছু জানে! এমন একটা জ্ঞানী লোকের সম্পর্কে কার না জানতে ইচ্ছে করে তাই একটু কষ্ট করে সার্চ দিলাম। তার বাবা হাজি ওয়াহিদ রেজা চৌধুরী ও মা মোসাম্মৎ জহুরা খাতুন। মানে চৌধুরী সাহেব হাজি সাহেবের পোলা।
মাদ্রাসা ছাত্র : উলানিয়া জুনিয়র মাদ্রাসায় ক্লাস সিক্স পর্যন্ত লেখাপড়া করে হাইস্কুলে ভর্তি হন।
দৈনিক আজাদ'-এ সহকারী সম্পাদক ছিলেন। 'মোহাম্মদীর'ও স্বল্পকালীন সম্পাদক হয়েছিলেন। দৈনিক 'জেহাদ'-এ বার্তা সম্পাদকও ছিলেন।সাপ্তাহিক 'সোনার বাংলা'রও সম্পাদক ছিলেন।
তাইতো বলি এত ধৃষ্টতার কারণ কি? বাবা-মা কোন শখের বশবর্তী হয়ে তার নাম আব্দুল গাফফার (যা আল্লাহর একটি নাম থেকে নেয়া) রেখেছেন???
তার ধৃষ্টতা :
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. এ কে আব্দুল মোমেনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় আব্দুল গাফফার চৌধুরী বলেন, ‘আজকের আরবী ভাষায় যেসব শব্দ; এর সবই কাফেরদের ব্যবহৃত শব্দ। যেমন- আল্লাহর ৯৯ নাম, সবই কিন্তু কাফেরদের দেবতাদের নাম। তাদের ভাষা ছিল আর-রহমান, গাফফার, গফুর ইত্যাদি। সবই কিন্তু পরবর্তীতে ইসলাম এডাপ্ট করেছিল।’
নারীদের বোরকা ও হিজাব নিয়েও বিরূপ মন্তব্য করে গাফফার চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশে এটা হচ্ছে ওহাবিদের লাস্ট কালচারাল ইনভলব। আমি অবাক হচ্ছি। ক্লাস টুয়ের মেয়েরা হায়েজ-নেফাজ পড়বে! এটা আমাদের ধর্ম শিক্ষা হতে পারে?’
তিনি বলেন, ‘মুসলমান মেয়েরা মনে করে হিজাব, বোরকা হচ্ছে ইসলামের আইডিন্টিটি। আসলে কী তাই? বোরকা পরে যাচ্ছে কিন্তু প্রেম করছে। আবার ইন্টারনেটেও প্রেম করছে। আচরণ ওয়েস্টার্ন কিন্তু বেশভূষা ইসলামিক করে আত্ম-প্রতারণা করছে তারা।’
আওয়ামীপন্থী এই কলাম লেখক বলেন, ‘এখন যুগ পাল্টেছে। এখন বাংলাদেশে বোরকা পড়ার বিপক্ষে অনেকেই জেগে উঠেছে। এসব ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’
রাসুল আর রসুল্লাহ শব্দটি এক নয় দাবি করে গাফফার চৌধুরী বলেন, ‘রসুল মানে দূত, অ্যাম্বাসেডর। রসুলে সালাম মানে শান্তির দূত। রসুল বললেই আপনারা মনে করেন হযরত মুহম্মদ (সা.), তা কিন্তু নয়। যখন রসুল্লাহ বলবেন তখন মনে করবেন আল্লাহর প্রতিনিধি। এখন মোমেন ভাই আমেরিকায় থেকে যদি বলেন কিংবা আমি নিজেকে রসুল দাবি করলে কল্লা যাবে।’
কিছুদিন মাদ্রাসায় পড়ার কথা উল্লেখ করে গাফফার চৌধুরী আরও বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি হাদিস সংগ্রহকারী আবু হুরায়রা নামের অর্থ হচ্ছে বিড়ালের বাবা। আবু বকর নামের অর্থ হচ্ছে ছাগলের বাবা। কাফেরদের মধ্যে যারা মুসলমান হয়েছিল পরবর্তীতে তাদের নাম পরিবর্তন করা হয়নি।’
গাফফার চৌধুরী বলেন, ‘পুরো দেশ এখন দাড়ি-টুপিতে ছেঁয়ে গেছে। সরকারি অফিসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে টুপি আর দাড়ির সমাহার। অথচ তারা ঘুষ খাচ্ছেন। এত বড় দাড়ি, এত বড় টুপি; কিন্তু ঘুষ না পেলে ফাইলে হাত দেন না- এটা কী ইসলামের শিক্ষা?’
ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করার দায়ে মন্ত্রিত্ব হারানো আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে সাফাই গান তিনি। অনেকটা রসিকতার সুরে তিনি বলেন, ‘লতিফ সিদ্দিকী কী এমন বলেছিল? তাকে বিপদে পড়তে হয়েছে। তার জন্য আজকে দেশে আন্দোলন হচ্ছে। এসবই হচ্ছে ওহাবীয় মতবাদ ও মাওলানা মওদুদীর চাপিয়ে দেওয়া সংস্কৃতি, যা আমাদের বাংলা ভাষার মধ্যে ঢুকে পড়েছে।’
গাফফার চৌধুরী বলেন, ‘মানুষের মগজধোলাই করে জামায়াত ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছে। তারা প্রকৃত ইসলামী অনুশাসনে বিশ্বাসী নয়। এরা দীনে মোহাম্মদী নয়; দীনে মওদুদী। আবদুল ওহাব নামে কট্টর এক ব্যক্তির ধারায় এ অঞ্চলে ওহাবী মতবাদ চাপিয়ে দেয় সৌদি আরব।’
বিশ্বব্যাপী জঙ্গিবাদের উত্থান প্রসঙ্গে এই লেখক বলেন, ‘আমেরিকা তালেবান সৃষ্টি করে বিপদে পড়েছে। আর ব্রিটিশরা ভারত বর্ষকে ভেঙে টুকরো করার পাশাপাশি ইসলামী মতবাদকেও বিভক্ত করেছে পাকিস্তানকে দিয়ে।’
তিনি জানান, পরবর্তীতে যা সৌদি ও ইরানের অর্থায়নে এ অঞ্চলে ওহাবী মতবাদ মাওলনা মওদুদীকে দিয়ে জামায়াতের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে। অথচ এই পাকিস্তানই ৫০ হাজার কাদিয়ানী হত্যার দায়ে মাওলানা মওদুদীর ফাঁসির রায় দিয়েছিল। পরবর্তীতে যদিও ফাঁসি কার্যকর করতে পারেনি।
তিনি বলেন, ‘এভাবে মুসলমানে মুসলমানে বিভেদ সৃষ্টি করেছেন ওহাবী ইজম। আমি তো মনে করি শেখ হাসিনার শত ভুলত্রুটি থাকলেও আজকে সিম্বল অব সেক্যুলারিজমের জনক হচ্ছেন তিনি। সে শক্ত হাতে এ সব দমন না করলে বাংলাদেশ ধ্বংস হয়ে যেত।’
গাফফার চৌধুরী বলেন, ‘যত দিন আমাদের মনে তিনটি প্রাচীর থাকবে, ততদিন বাংলাদেশ নিরাপদ। বাংলা ভাষা, রবীন্দ্রনাথ ও বঙ্গবন্ধু। এই তিনটি প্রাচীর থাকলেই তালেবানরা বাংলাদেশকে দখল বা ধ্বংস করতে পারবে না।’ আলোচনায় মূল বিষয়ের বাইরে গিয়ে আল্লাহ ও ইসলাম ধর্ম নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনেকেই বিব্রতবোধ করেন।
ভবিষ্যৎ :
ইনি আরেকজন লতিফ....যাদের বলে নাস্তিক ব্লগার তাদের বন্ধু...তসলিমাদির বন্ধু...এরা দীর্ঘদিন অধ্যাবসায় করে সমাজকে ইসলাম বিমুখ করতে চাইছে...উসকানি দেয়াই এদের কাজ। এর প্রতিবাদ হলেই মোড়লরা বুঝতে পারবে জঙ্গিবাদ মাথা চাড়া দিচ্ছে...অতএব নিধন ফিলিস্তিন স্টাইলে...
করণীয় :
ইক্করা বিসমি রব্বিকাল্লাজি খলাক...পড়তে হবে অর্থ বুঝতে হবে তাকে জীবনের সাথে সমাজের সাথে জড়াতে হবে...পৃথিবী পরিচালনার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে...অযোগ্য চালকের ধর্মীয় পরিচয় যাই হোক তাকে দিয়ে আপনি আপনার গাড়ি চালাবেন না...আর আল্লাহ কিভাবে এমন বোকামি করবে...
বিষয়: বিবিধ
১৩৫৪ বার পঠিত, ২৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
চাপাবাজি করা ছাড়া আর কোনো স্কিল শিখেননি। তাই এদিক সেদিক থেকে ময়লা বিস্টা যোগাড় করে পেটে ভাত দিতে মা বাবা, ধর্ম নিজের পূর্ব পুরুষের সংস্কৃতি সব কিছুকেই ছুড়ে দিতে নো প্রবলেম।
নাহলে দাদারা রিপিয়া দিবেনা! তাই ধুতিচাটা চলবে..
লাভ নেই, উনারা ইসলামের যতই কুতসা গাইবেন আল্লাহ তার এই প্রিয় দ্বীনকে ততই ছড়িয়ে দেবেন ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন