তাওবার জীবন ছিল মিঠুনের

লিখেছেন লিখেছেন অনন্যা ২৫ মে, ২০১৫, ০৬:৫৯:১৯ সন্ধ্যা



ছিলেন বাংলা সিনেমার নায়ক...আল্লাহর রহমতে তিনি সব ছেড়ে সত্যের সঙ্গে সখ্য গড়েছিলেন। অনেকে নাকি তাকে পরামর্শ দিত আপনি যে অঙ্গনে ছিলেন সেখান থেকেই সত্যকে প্রচার করতেন। তার মুখ থেকে শুনেছি...‘ আমি কি করে বোঝাই তাদের পৃথিবীর সমস্ত জাহিলিয়াতের নিংরানো রস হল সিনেমা।’

তাওবার অর্থ ফিরে আসা...আল্লাহ আমি জানি তুমি মানুষের ভেতর অবস্থা জানো...আমার প্রকৃত উপলব্ধি ঊনি তোমার দিকে ফিরে এসেছিলেন...তাওবার জীবন শুরু করেছিলেন। তাই তোমার কাছে তার নাজাতের ফরিয়াদ করছি।

তার মুখ থেকেই শুনেছিলাম তাফহীমুল কুরআন তার জীবনের গতিপথ পরিবর্তন করে দিয়েছে...চিন্তা জগতে আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছে...তার পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছিল পরিবারেও মিঠুনের পরিবারও পরিবর্তিত জীবনের দিকে এসেছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি...

সব ছেড়ে আসার সময় লক্ষ লক্ষ টাকা তিনি লোকসান করেছিলেন...অথচ খুশি হয়েছিলেন সিরাতুল মুস্তাকিম তাকে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাবে...

নতুন করে ইসলাম গ্রহণের দৃষ্টান্ত তিনি বাংলাদেশ তথা মুসলমানদের দেখিয়েছেন...মুসলিম পরিবারের সদস্য হিসেবে নয়...ইসলামকে জীবনের সাথে না জড়ালে মুসলিম হওয়া যায় না...এটা পৈত্রিক অধিকার না...

মতিউর রহমান মল্লিক চলে যাওয়ার পর ইসলামি সাংস্কৃতিক অঙ্গন আরো একটা বড় ধাক্কা খেলে...পথে ঘটে অনেক ‘ইসলামি স্টার’ দেখা যায় মল্লিক মিঠুনদের খুঁজে পাওয়া দুরহ...

আল্লাহ এই বাংলাদেশে মল্লিক মিঠুনদের বড় প্রয়োজন যারা মানুষের মানসিকতাকে বুঝেছিল...সত্যের পক্ষে কাজের জন্য যারা গর্বিত ছিলনা...বরং তারাই ছিল আমাদের গর্ব...

কোন ইসলামি আদর্শে বলীয়ান এসব বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াকুরা খুব একটা পৃষ্ঠপোষকতা পায়না স্বজাতির কাছে তবে তারা তাদের বিনিময় আল্লাহর কাছে পাবে এইতো পরম পাওয়া...

বিষয়: বিবিধ

২৫৮৪ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

322452
২৫ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৪৫
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
322462
২৫ মে ২০১৫ রাত ০৮:০২
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : একে একে না ফেরার দেশে চলে যাচ্ছে স্বপ্নের সারথি গুলো। গোলাম মুহাম্মদ চলে গেলেন ভাবলাম মল্লিক স্যার তো আছেন, মল্লিক চলে গেলেন ভাবলাম মিঠুন ভাই তো আছেন। কিন্তূ আজ সেই মিঠুন ভাইও চলে গেলেন তাদের রব এর ডাকে সাড়াদিয়ে!!( ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন) আমাদেরকে একটি সোনালি সকালের স্বপ্ন দেখিয়ে। হে আল্লাহ্‌ আপনি জীবন মৃত্যুর মালিক, জান্নাত জাহান্নামের মালিক, আপনার এই গোলামদের আপনার রহমতের দরবারে ছেড়ে দিলাম, উনাদেরকে মাপ করে জান্নাতের উঁচু মর্যাদা দান করুণ। আমীন।
322470
২৫ মে ২০১৫ রাত ০৮:২১
নীলাঞ্জনা লিখেছেন : এত এত তোবা? ইনি তা হলে আকাজ কুকাজ কম করেন্নি।
২৬ মে ২০১৫ বিকাল ০৪:৪৭
263807
বাচ্চা ছেলে লিখেছেন : মানুষ ভুল করেব এটাই স্বাভাবিক। নবী রাসুলরাও ভুল করেছিলো (আল্লাহ করিয়েছেন) যাতে মানুষ তাদের খোদা না ভাবে। আবুল কাশেম মিঠুনরা তো আল্লাহর প্রিয় বান্দা। কেননা যারা ভুল করে অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর পথে ফিরে আসেন তাদের আল্লাহ অনেক ভালোবাসেন। আল্লাহর ওয়াদা তোমরা এক পা এগিয়ে এলে তিনি দশ পা এড়িয়ে আসেন। হেটে হেটে আল্লাহর পথে এগিয়ে গেলে তিনি দৌড়ে দৌড়ে তার বান্দার কাছে আসেন। মিঠুন হেদায়াতপ্রাপ্ত হয়েছিলেন কারন তিনি হেদায়াত চেয়েছিলেন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File