অবশেষে লাশ হয়ে ফিরছেন...
লিখেছেন লিখেছেন অনন্যা ২৪ জানুয়ারি, ২০১৫, ১১:৫২:২৪ রাত
সাত বছর আগে জামিনে মুক্ত হয়ে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে থাইল্যান্ডে যান অসুস্থ আরাফাত রহমান কোকো। সেখান থেকে যান মালয়েশিয়ায়।
তবে সুস্থ অবস্থায় তার আর দেশে ফেরা হলো না। শনিবার দুপুরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মালয়েশিয়ায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর। সাত বছর আগে দেশ ছাড়ার পর স্ত্রী সৈয়দ শামিলা রহমান সিঁথি, দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে নিয়ে কুয়ালালামপুরে একটি বাড়ি ভাড়া করে থাকছিলেন তিনি।
মামলা মাথায় নিয়ে খালেদা জিয়ার দুই ছেলে আছেন দেশের বাইরে। তার মধ্যে এক ছেলের মৃত্যুতে সন্তান হারা হলেন খালেদা জিয়া।
অন্যদিকে নিজের ছোট ভাইয়ের লাশ দেখতে পাচ্ছেন না বড় ভাই বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। লন্ডন থেকে মালয়েশিয়া যাচ্ছেন না তিনি। তবে ভাইয়ের মৃত্যুতে ভাই যেতে চেয়েও যেতে পারবেন কি না তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। ভাইয়ের লাশ দেশে আসলে তিনি দেশে ফিরে ভাইয়ের কবরে মাটি দিতে পরবেন কি না তাও অনিশ্চিত।
এদিকে শোকে কাতর হয়েছেন বাংলাদেশের তিন বারের প্রধানমন্ত্রী ২০ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। দুই ছেলের এক ছেলেকে হারানোর বেদনা তাকে বাকহীন করেছে।
অন্যদিকে নিজেও দীর্ঘদিন ‘অবরুদ্ধ’ গুলশান কার্যালয়ে। প্রায় তিন সপ্তাহ গুলশান কার্যালয়ে আছেন তিনি। দেশব্যাপী চলছে আন্দোলন। সরকারবিরোধী আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে বর্তমানে গুলশানে নিজের কার্যালয়েই অবস্থান করছেন খালেদা জিয়া। সেখানেই ছেলের মৃত্যুর খবর পান।
২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর জরুরি অবস্থার সময় মা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন কোকো।
সে সময় তারেক রহমানও গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
জরুরি অবস্থার সময় গ্রেপ্তার আরাফাত ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই তৎকালীন সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পাওয়ার পর চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই যান মালয়েশিয়ায়।
তার বড় ভাই তারেক রহমানও সেনা নিয়ন্ত্রিত ওই সরকারের সময় মুক্তি পেয়ে বিদেশ যান। সপরিবারে এখন লন্ডনে রয়েছেন তারেক।
তবে দীর্ঘকাল বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত হলেও কোকো রাজনীতি করেননি।
উল্লেখ্য ২০০৮ সালের পর খালেদা জিয়ার পুরো পরিবার আর কখনো এক হতে পারেনি। সর্বশেষ ২০১২ সালে সিঙ্গাপুরে মায়ের সঙ্গে সাক্ষাত হয় কোকোর।
বিষয়: বিবিধ
১২০১ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এই মুহুর্তে মানবতার দুঃখে যার মন সবচেয়ে বেশি কাঁদে, প্রতি রাত যার বিনিদ্রা কাটে মানবতার সার্বিক কল্যাণ কামনায়, যার ক্ষমতার প্রতি বিন্দু মাত্র লোভ লালসা নেই, মানুষের ভালবাসা পেতে যার হৃদয় মন উদগ্রীব, তিনি আর কেউ নন, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী, আমাদের অভিভাবক, জাতির জনকের কন্যা আমাদের দিদি শেখ হাসিনা!!!!
বাংলার জনপদের প্রতিটি আনাচে কানাচে সর্ব শ্রেণীর মানুষের বিপদে আপদে যিনি সমস্ত ব্যস্ততা এক পাশে রেখে তাদের কাছে ছুটে যান, তারই অংশ হিসেবে, বিশেষ করে এক জন মা হিসেবে, তারই চরম প্রতিদ্বন্দ্বী পূত্রের অকাল মৃত্যুতে শোকাহত খালেদা জিয়াকে দেখতে যান, অথচ তাকে কিনা কার্যালয়ে ঢুকতে দেয়া হয় নি, চরম ধৃষ্টতা! তিনি আজো বুঝাতে পারলেন না, রাজনীতির মাঠে শত্রু হলেও খালেদা কে কতটা ভালবাসেন!
সুপ্রিয় পাঠক, বিপদে পাশে দাঁড়াতে গিয়ে হাসিনার অপমানিত হওয়া দেখে আপ্নারা আবেগে আপ্লুত। আপনাদের মূল্যায়নঃ ' কাজটা ভাল করেন নি, গেইট খোলা রাখা উচিত ছিল, প্রধানমন্ত্রী বলে কথা'।
আসলেই কি তাই? কাল না হয় পূত্র শোকে মুহ্যমান ছিল। যখন টানা দু সপ্তাহ বন্দী করে রাখা হল, বেঁচে থাকার খাবারটা পর্যন্ত ঢুকতে দেয়া হয় নি, তখন কোথায় ছিল মানব হিতৌষী শেখ তনয়ার মানতাবোধ? কোথায় থাকে এত দরদ?
দরদ কোন কালেই উনার ছিল না। দরদ থাকা ডাইনীদের মানায় না। ওদের ডাইণি রুপ আড়াল করার জন্য বহুরূপী বৈশিষ্টের প্রয়োজন হয়। যখন যেখানে যে রুপে আভির্ভূত হওয়া দরকার সেভাবে আভির্ভূত হয়। আমাদের হাসিনা বুবু তেমনি একজন!
মনে আছে, এই হাসিনাই খালেদাকে ঈদের আগের দিন এক কাপড়ে ঘর থেকে বের করে দেয়, আবার কিছুদিন পর নিজের বাসায় খালেদাকে দাওওয়াত করে তার আসার অপেক্ষায় দীর্ঘক্ষণ খাবার নিয়ে অপেক্ষা করে ? মনে করুন, বুঝতে পারবেন। কল্পকাহিনীর ডাইনী রুপ দেখতে চাইলে বাস্তবের হাসিনাকেই দেখে নিন। তার মাঝেই খুঁজে পাবেন গল্পের ডাইনীকে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন