পরকীয়ার পক্ষে প্রপাগাণ্ডা
লিখেছেন লিখেছেন অনন্যা ১৫ মার্চ, ২০১৪, ০৯:৪৬:৪৫ রাত
সংসার ভাঙ্গা সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে যে অবৈধ সম্পর্ক সে সম্পর্কে পক্ষে সাফাই গেয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের প্রভাবশালী মিডিয়াগুলো। এরা সমকামিতার পক্ষেও লেখে। অনৈতিক সবকিছুতেই এদের আকুণ্ঠ সমর্থন। এগুলোকে তারা প্রতিষ্ঠিতই করতে চায়। এগুলো মানুষের চিন্তা চেতনাকে প্রভাবিত করবে এটা নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে। কুরআন সবাই বোঝেনা সমাজ ব্যবস্থার কারণে। যদি বলি শীর্ষেন্দুর ‘মানবজমিন’ পরকীয়ার একটি উত্তম দলিল কিন্তু এর প্রতিবাদে তার সমতূল্য কোনো সাহিত্য সৃষ্টি করতে পেরেছি কি আমরা বাংলাভাষী মুসলমান।
একজনকে প্রশ্ন করেছিলাম তিনি একজন বড় মাপের নেতা(ইসলামী সংগঠনের) বলেছিলাম ‘সাইমুম’ সিরিজ সম্পর্কে আপনার মতামত কি..ঊনি বলেছেন, এসব পড়ে সময় নষ্ট না করে রাসুলের (সা) একটি হাদীস পড়া উত্তম...তার কথাটা উত্তম ছিল কিন্তু...সাহিত্য সংস্কৃতি ছাড়া ইসলামকে মানব মনে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব? রাসুল (সা) কবি সাহিত্যিকদের কেন পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন তা বুঝতে হবে। শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান সব কিছু্তেই ইসলাম থাকতে হবে...কাজ করলে না সমালোচনা হবে...ছোটদের জন্য গল্পও থাকতে হবে বড়দের উপন্যাসও...‘ইউসুফ জোলেখা’ কি সুরা ইউসুফের বিকৃতি নয় ? ‘বিষাদ সিন্ধু’ কোন ইসলামের ইতিহাস ?
এর জবাব দেয়ার আগে পরকীয়ার পক্ষে প্রপাগাণ্ডা দেখুন :
দারুন উপস্থাপনা
“পরকীয়া তো নিছক লাম্পট্য নয়, স্রেফ ব্যাভিচারও নয়, হৃদয়ের ব্যাপার স্যাপার তো জড়িয়ে রয়েছে এর সঙ্গে। আর হৃদয়ের ব্যাপার যতদিন রয়েছে ততোদিন মানব সমাজে এর অস্তিত্বও রয়েছে। সাহিত্য তো মানুষের কথাই বলবে। সাহিত্যে পরকীয়ার ছবির তাই শেষ নেই।
অতীতের মতো ভবিষ্যতেও কাহিনিতে, গানে, কবিতায়, শিল্পীর তুলিতে মূর্ত হবে অধরা মানুষের কথা। শিল্প সর্বদাই বলবে মানব জীবনের কথা, ভালোবাসার কথা। সে ভালোবাসা বিবাহ বর্হিভূতও হতে পারে। হতে পারে বিবাহিত গণ্ডির ভিতরেও।
সৈয়দ শামসুল হকের পরাণের গহীন ভিতরের ছত্রে ছত্রে পরকীয়ার ছায়া। হুমায়ুন আহমেদ, রাহাত খান, সেলিনা হোসেন, ইমদাদুল হক মিলন, নাসরীন জাহান, মইনুল আহসান সাবের- পরকীয়ার ছবি তাদের গল্পে এঁকেছেন।”
আমার লিঙ্ক দেয়াটাও দোষের...তবুও দিলাম
দেখুন
বিষয়: বিবিধ
১৩০১ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন