হাটি হাটি পা পা..... (২)
লিখেছেন লিখেছেন রেইন স্পট ০৮ জানুয়ারি, ২০১৫, ১০:০১:১৯ সকাল
ধীরে ধীরে একজন শিশুর ম্যচিউর হয়ে উঠার গল্পটা কিন্তু অনেক জটিল। কিন্তু একটু সহজ করে বুঝার চেষ্টা করি চলেন....সাথে আমাদের কি করনীয় সেটাও জেনে নেই।
একমাস বয়সের ছোট্ট সোনামনি, মায়ের হাসির রিপ্লাই হিসেবে সুন্দর কিউট জগত ভুলানো হাসি কিভাবে দিতে হয় এটা শিখে যায় ততদিনে। শুধু হাসি না। সে অন্য সবার মত মুখের ভাবভঙ্গি নকল করার চেষ্টা করতে থাকে। চোখের সামনে যে বস্তু ধরা হয় সেটাকেই সে অনুসরন করতে থাকে। একটি খেলনা বাবুর সামনে ধরে ডানে-বামে যেখানেই নিবেন বাবুটিও তার দৃষ্টি সেদিকেই ফিরাবে।
বয়স যদিও একমাস। কিন্তু এই একমাসেই সে তার সবচেয়ে আপন, প্রিয় মানুষকে চিনে ফেলবে। সে মাকে দেখেই হাসি দিবে, উত্তেজিত হবে। যেকারো দিকে সে গভীর ভাবে তাকিয়ে থাকবে, সব কাজ একদৃষ্টিতে দেখবে।
এসময় মায়ের বেশি কিছু করনীয় নেই। তবুও যেটা করা যায় সেটা হল-
খুব উজ্জ্বল রঙের কিছু খেলনা যা নাড়া দিলে সুন্দর শব্দ করে যেমন উইন্ড চাইম জাতীয় কিছু একটা বাবুর শোবার খাটে বা দরজায় টানিয়ে রাখতে পারেন। এছাড়াও দুধ খাওয়ানোর সময় কিংবা গোসলের সময় বাবুর সাথে হাসবেন, গান গাইবেন। এটা বাচ্চাদের সুন্দর পরিবেশে ধীরে ধীরে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে।
কিন্তু খেলনা জাতীয় কিছু বাবুর হাতের নাগালের কাছে রাখবেননা। কারণ সেটা তারা মুখে দিয়ে খেতে চাইবে।
আপনি যখন নিজে কাজে ব্যস্ত থাকবেন তখন সারাদিনের বাবুর জন্যও কাজ নির্ধারণ করে দিবেন। এক মাস বয়সের বাবুর জন্য আবার কিসের কাজ? ভয় পাবেন না। এটা বাবুর কাজ নয় বরং খেলা।
বাবুর মাথার উপরে উজ্জ্বল রঙের খেলনা ঝুলিয়ে রাখবেন যেন নাড়লেই সেটা এদিক ওদিক দোল খেতে পারে। এটা দেখে বাবু আনন্দ পাবে এবং খেলনা বস্তুর এদিক ওদিক দোলার সাথে চোখের দৃষ্টিভঙ্গির এডাপ্টেশান ক্ষমতাও বাড়বে।
বিষয়: বিবিধ
১০৭০ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন