ফতোয়া আসবেই।
লিখেছেন লিখেছেন শিকারিমন ১৯ জুন, ২০১৬, ০৮:২৮:৫৩ রাত
১৫৮২ সালের দিকে মোঘল সম্রাট আকবর একটা নতুন ধর্মের প্রবর্তন করেন দ্বীন ই ইলাহী নামে। আকবরের কিছু দরবারী আলেম ছিল, আবুল ফজল ইবন মুবারক, কাশিম খান ,আজম খান ,শেখ মুবারক তাদের মধ্যে অন্যতম। এদের পরামর্শে আকবর নিরপেক্ষ ধর্ম দ্বীন ই ইলাহির সূচনা করেন। মজার বিষয় হচ্ছে আকবরের এই দরবারী আলেমদের মধ্যে কেউ ভিন্ন ধর্মী আলেম ছিলেননা। অথচ আকবর তাদের ই পরামর্শে এমন নিরেপক্ষ ধর্ম চালু করলেন যেখানে অন্য ধর্মানুসারীদের খুশি করতে ইসলাম ধর্মের কিছু মৌলিক বিধি বিধান কে নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়। এই দরবারী আলেমরা ছিল রাজপ্রাসাদের নর্তকী বাইজীদের মত। মোহর ছুড়ে দিলে যেমন প্রাসাদ নর্তকীরা খেমটা নেচে রাজসভা গরম করে দেয়। ঠিক তেমনি ছিল এই দরবারী আলেমরা।
হাসিনা ও কিছু এই রকম দরবারী আলেম ,ময়লানা খুঁজে নিয়েছে। ময়লানা ফরিদ উদ্দিন মাসুদ , জালাল উদ্দিন আল কদরী ,জাতীয় মসজিদের ময়লানা খতিব ছাব আরো অনেকে।
দেশ চলে মদিনা সনদে , অথচ মসজিদের ঈমাম মুয়াজ্জিন জঙ্গি দমনের নামে গুম খুন হয়ে যায়। হাজার হাজার রোজাদার নিরাপরাধ মানুষ পুলিশের অত্যাচারে ঘরবাড়ি ছাড়া। প্রাইমারি হতে উচ্চ মাধ্যমিক সব গুলো বইয়ে সেকুলারিজমের নাম ইসলাম ধর্মের মৌলিক শিক্ষা গুলোকে কেটে কেটে বাদ দেয়া হয়। তখন এই দরবারী ফরিদ উদ্দিন মাসুদদের ফতোয়া আসেনা। শাবাগে জামায়াত শিবির নিষিদ্ধের নামে যখন নাস্তিকরা ইসলাম বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে তখন ফরিদ উদ্দিন মাসুদরা থাবা বাবাদের এমাম হয়।
এখন আর মোহর ছুড়ে মারার রেওয়াজ নেই। যে ময়লানারা পঞ্চাশ টাকার বিনিময়ে মরা লাশ সামনে রেখে সবিনা খতম পড়ত, রাস্তার পাশে মাইক নিয়ে কিংবা লোকাল বাসে এতিমের নামে টাকা পয়সা তুলে পেট চালাত। তারা যদি এখন বঙ্গ বভন , গণভবন মাঝে মাঝে ফাইভ ষ্টার হোটেলে কিছু হালুয়া রুটির উচ্ছিষ্টের ভাগ পায়। কিংবা চামড়া ব্যবসায়ীদের টিভি চ্যানেলে নিজের খোমা মোবারক খানা দেখানোর মওকা মিলেগা। তাহলে তো ফতোয়া আসবেই।
বিষয়: বিবিধ
১৪৯৫ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ আপনাকে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন