বাবার সাথে পিকেটিং

লিখেছেন লিখেছেন শিকারিমন ১০ মে, ২০১৪, ০৮:০২:২৮ রাত



বয়স যখন আমার তিন কি চার ওই সময়ে নাকি আমার হরতালের সময় পিকেটার দের মত স্বভাব ছিল। এখনো কথার চলে আমার আব্বা আম্মা বড় ভাই বোনেরা সেই কথা বলে। অবস্য পিকেটিং টা শুধু হত আব্বার সাইকেলের সাথে। আব্বার একটা সাইকেল ছিল। আমাদের গ্রাম থেকে প্রায় ছয় সাত কিলোমিটার দুরে একটা হাই স্কুল এর শিক্ষক ছিলেন। রিকসায় করে প্রতিদিন আসা যাওয়ার খরচ বাচাতে আব্বার এই দুই চাকার গাড়ি খুব ই কাজে আসতো।কিন্তু প্রতিদিন এই পিকেটারের খপ্পরে পড়ত আব্বার সাইকেল।বুজে কি না বুজে আমি প্রতিদিন সাইকেলের বাতাস বের করে দিতাম। সকাল বেলা আব্বার স্কুল এ যাওয়ার সময় এই নিয়ে হত এক হুলুস্থুল কান্ড। আর পিকেটার তখন প্রাণ ভয়ে হয়ত কোনো খাটের তলদেশে আশ্রয়ে থাকত। অবশেষে কেউ একজন চাকার হওয়া করে দিত , আর সেই সাইকেল নিয়ে শুরু হত আব্বার মানুষ গড়ার অভিযানের প্রাত্যহিক কর্মজজ্ঞ।

খুব ছোট্ট বেলায় আব্বা কে তেমন বেশি ভয় করতাম না। আব্বা তেমন কোনো ভয়ের কারণ ছিলনা। যখন ক্লাস ফোর অথবা ফাইভে উঠে গেলাম তখন থেকে আব্বাকে আমার স্কুল এর শিক্ষক এর মত মনে হত। আব্বা কে সামনে দেখলে ই মনে হত এই বুজি বেত নিয়ে আমাকে পড়া জিগ্গেস করছে। না পারলে শপাং সপাং করে পিঠের উপর চলছে বেতের বাড়ি। এই অযাচিত ভয়ের ফলে কেন যেন মনে হয় আব্বার কাছ হতে একটু দুরে সরে গিয়েছিলাম। অবস্য আব্বা কে ও তখন খুব বেশি গম্ভীর দেখা যেত। সারাদিন স্কুল শেষ করে ক্লান্ত হয়ে ঘরে ফিরত বলে আব্বা চুপচাপ থাকত।

একসময় আমি প্রাথমিক বিদ্যালয় অতিক্রম করে হাই স্কুল এ চলে আসলাম। এই সময় আমাদের প্রতি আব্বার কিছু কড়া বিধি বিধান ছিল , নির্দিষ্ঠ সময়ে ঘুম হতে উঠা , খেতে যাওয়া , পড়তে যাওয়া ,ঘর হতে বের হওয়া ঘুমুতে যাওয়া কিংবা পড়ার টেবিলে থাকা। আর এই সমস্ত বিধি বিধান গুলোকে আমার কাছে অসয্য মনে হত।

এগুলো আমার মানতে খুব কষ্ট হত। আমার অন্য ভাই বোনেরা রোবটের মত সব কিছুই মেনে নিত। আর আমি সব কিছু মেনে নিলেও বাইরের ছেলেদের সাথে খেলতে যাওয়ার নিষেধের বিধান আমি অহরহই ভঙ্গ করতাম। এক পর্যায়ে আব্বা আমার উপর চরম বিরক্ত হয়ে পড়লেন। আর কোনো কিছুতেই আমাকে নিষেধ করতেননা। আর আমিও যেন মুক্তি পেলাম নিষেধের বন্ধন হতে। এলাকায় যেখনে ফুটবল আর ক্রিকেট সেখানেই আমি। একসময় ভাড়াটে প্লেয়ার হিসেবে এক এলাকা থেকে আরেক খেলতে যেতাম হয় ক্রিকেট না হয় ফুটবল। অনেক সময় রাত করে ঘরে ফিরতাম আম্মা খুব রাগ করত। কিন্তু আম্মাকে যেন কিভাবে ম্যানেজ করে ফেলতাম। আম্মা বলত দেখ বাবা তোর আব্বা এগুলো পছন্দ করেনা , তবু ও তুই এগুলো করিস কেন। আমি বলতাম দেখেন আম্মা আব্বার চিন্তা তো আমার পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে , যদি আমার ফলাফল ভালো হয় তাহলে তো সমস্যা নাই। আমার লেখা পড়া ও চলবে খেলা ও চলবে। মা তখন বলত যখন বাবা হবি তখন বুজবি সন্তানদের জন্য পিতা মাতাদের কত দুশ্চিন্তা। তোরা কোথায় যাস , কাদের সাথে চলা ফেরা করিস। আমি শুধু বলতাম তোমরা শুধু অযাচিত চিন্তা করেই যাবে।

সাধারনত প্রতি শুক্রবার আমার কোনো না কোনো এলাকার সাথে খেলার চুক্তি থাকত। এ ছাড়াও অন্যান্য দিনে ও থাকত তবে সবসময় নয়। বেশ কিছু দিন যাবত আমি লক্ষ্য করতাম আমি যখন যেখানেই খেলার জন্য যেতাম সেখানেই দেখতাম আমার গ্রামের একটা লোক কে , খেলার মাঠের এক কোনে বসে থাকতে। প্রথম প্রথম ভাবতাম বেকার মানুষ এদিক সেদিক হয়ত ঘুরে বেড়ায়।কিন্তু যখন দেখলাম আমার কোনো খেলা যদি আমার জেলা থেকে অন্য কোন নিকটবর্তী জেলায় থাকত সেখানে ও ওই লোকটা কে দেখা যেত। একদিন তাকে ধরে ফেললাম , জিগ্যেস করলাম আপনাকে বলতে হবে আমি যেখানে ই খেলতে যাই সেখানে আপনাকে দেখা যায় কেন ? কে আপনাকে গাড়ি ভাড়া দিয়ে এখানে নিয়ে আসে। আমার চাপাচাপি তে লোকটি বলেই দিল তোমার আব্বায় আমাকে তোমার পিছনে পিছনে পাঠায়। তোমাকে দেখার জন্য। আমাকে কেন দেখতে হবে ? খেলা নিয়ে যেন কারো সাথে মারামারিতে জড়িয়ে না পড় কিংবা কেউ যেন তোমার কোনো ক্ষতি করতে না পারে সে জন্য আমাকে পাঠায়। লোকটির কোথায় আমার বুকের মধ্যে প্রচন্ড রকমের এক নাড়াদিযে উঠলো। আব্বার প্রতি ভালবাসায় এবং শ্রদ্ধায় আমার দু চোখের কোন ভিজে উঠলো। সত্যি ই এই ধরনের এলাকা ভিত্তিক খেলা গুলো নিয়ে প্রায় খেলার মাঠে গন্ডগোল বাধে।এ রকম দু একটি গন্ডগোলের শিকার হয়েছিলাম ও এর আগে। সন্তানের প্রতি পিতার এই চরম টান এবং দুশ্চিন্তা যেই পিতা অনুভব করে সেই পিতার কথা আমি কিভাবে অমান্য করি।

সিদ্ধান্ত নিলাম আব্বার কথা অমান্য করে আর দুরে কোথায় ও খেলতে যাবনা। এভাবে বেশ কয়েক সপ্তাহ কেটে গেলে। আমার সব খেলা ধুলা কিংবা অযথা ঘরের বাইরে থাকা সব কিছু বন্ধ করে দিলাম। বিষয় টি আব্বা লক্ষ্য করল , একদিন খুব রাত করে পড়ছিলাম কেউ যেন পেছন থেকে মাথায় হাত রাখল। আমি পেছনে না তাকিয়ে আম্মার হাত মনে করে হাত টা সরিয়ে দিলাম। সাধারনত পড়ার সময় আম্মা এসে মাঝে মাঝে এভাবে মাথায় হাত রাখত। পড়ার ভেতর আমার চরম মনোযোগ , কিন্তু আমার ঘাড়ে কার যেন তপ্ত নিশ্বাস আমায় ছুয়ে যাচ্ছে। পড়ার মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটল পিছনে ফিরে দেখি আব্বা আমার পেছনে দাড়িয়ে আছে। আব্বাকে এভাবে দেখে হঠাত ভয় পেয়ে গেলাম। আব্বা মাথায় হাত রেখে বলল ভয় পেয়েছিস , আমতা আমতা করে বললাম না আব্বা। আমার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে আমি জানি তুই আমার উপর খুব অভিমান করে আছিস , কেন তুই আর আগের মত কোথায় ও খেলতে যাসনা। ভাঙ্গা ভাঙ্গা গলায় বললাম না আব্বা আমি এমনিতে খেলা ছেড়ে দিয়েছি। বুজলাম আব্বা বিশ্বাস করে নি আমার কথা। আব্বা বলল খুব করে জানি আমি দুরে কোথায় ও গিয়ে খেলতে যাওয়া পছন্দ করিনা তাই তুই খেলতে যাসনা। আমি চুপ করে আব্বার কথা শুনছি দেখ বাবা আমি তোর খেলা ধুলা কে কখনো অপছন্দ করিনা , কিন্তু তুই যেভাবে টাকার বিনিময়ে দুরে দুরে খেলতে চলে যাস কোন সময় কোন দুর্ঘটনা ঘটে যায় তখন কি হবে। দুরে না যেয়ে স্কুল কিংবা আশপাশে কোথায় ও গিয়ে খেলতে পারিস। আমাকে কথা গুলো বলছে আর আব্বা পরম মমতায় আমার মাথায় তার ভালবাসার হাতের পরশ বুলিয়ে যাচ্ছে। আর আমার কাছে তখন মনে হচ্ছিল সন্তানের প্রতি পিতার এক পৃথিবী সমান ভালবাসার মমতার ছোয়া আমায় ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। যে ভাসিয়ে যাওয়ার মাঝে আনন্দ আছে পরম নিশ্চয়তার ভরসা আছে আছে স্নেহের নিবিড় বন্ধন। মন তখন বলছিল আব্বা আপনার এইহাত টা সারা রাত আমার মাথায় বুলাতে থাকুন। কেমন জানি মনে হলো আমার মনে জমে থাকা আব্বার প্রতি কিছু অন্যায় অভিমান এক নিমিশেই মুছে গেল।

আব্বা ছিল আমাদের পরিবার তখন একমাত্র উপার্জন কারী মানুষ। তাও আবার শিক্ষকতা পেশা। নব্বই এর দশকে এক জন হাই স্কুল প্রধান শিক্ষক এর বেতন কতই বা ছিল। অথচ আমাদের পরিবারের ছয় সাত জন ভাই বোন একসাথে তখন পড়ালেখা করতাম। আমি নিজে দেখেছি আব্বার কত কষ্ট হত পরিবারের খরচ মেটানো সাথে আমাদের এত গুলো ভাই বোনের লেখা পড়ার খরচ চালিয়ে নিতে। আমি দেখেছি চরম টানাটানির সংসারে আব্বার সংগ্রামী জীবন। ওই সময়ে আমার বড় তিন ভাই ভার্সিটি এবং কলেজে লেখা পড়া করত। আব্বার অভাব দেখে আমাদের বাড়ির অনেক মুরুব্বি আব্বাকে বলত মাস্টার জীবনে তো কোনো সম্পদ গড়তে পারো নাই শুধুই ছেলে মেয়েদের পড়ালেখার জন্যই সব খরচ করে ফেললে , এত লেখা পড়া দিয়ে কি হবে তোমার বড় বড় ছেলে আছে কিছু টাকা পয়সা যোগাড় করে দু একজন কে বিদেশ পাঠিয়ে দাও। তোমার ও অভাব ঘুচবে , পরিবারের ও উন্নতি আসবে। আব্বা তখন ওই সব মানুষদের খুব সুন্দর করে বলে দিতেন আমার সন্তান রাই আমার সম্পদ। ওদের কে যদি সুশিক্ষায় আমি মানুষ করে যেতে পারি সেটাই হবে আমার সম্পদ।

এক সময় আব্বা স্কুল হতে অবসর নিলো। আব্বার যেন সময় যেন কাটেনা সারাদিন অবসর। পুরো বাড়িতে আব্বা আম্মা একা। একসময় যে ঘরে আমাদের ভাই বোনদের চেচামেচিতে ঘর ভরে থাকত আজ বাড়ি শুন্য। দেশে যখন ছিলাম ভার্সিটি যখন বন্ধ থাকত বাড়িতে গেলে আব্বা আমাদের পেলে কেমন জানি ছোট ছোট বাচ্চার মত আনন্দ করত। বাড়িতে যতদিন থাকতাম , প্রায় ততদিন আমাদের কে আব্বার জন্য নির্ঘুম রাত কাটাতে হত। সারা রাত বসে বসে আমাদের নিয়ে কত গল্প করত , আব্বার ছেলে বেলা গল্প , স্কুল এর গল্প , বন্ধু বান্ধব দের গল্প এমন কি ৭১ সালে মুকিযুদ্ধের গল্প কারা রাজাকার আল বদর কিংবা মুক্তিযোদ্ধার নাম করে সম্পদ লুট এবং অবলা নারীদের সম্ব্রম হানি ঘটিয়েছে তার গল্প বলত তার দেখার অভিজ্ঞতা থেকে। আব্বার কাছে থেকে এইসব গল্প শুনতে শুনতে কখন যে রাতের শেষ ভাগে চলে যেতাম টের ও পেতাম না।

কিন্তু আম্মার হাক ডাকে আব্বার গল্পের বিরতি টানতে হত। আম্মা বলত নিজে ও ঘুমাবেনা ছেলেদের ও ঘুমাতে দিবেনা । কিন্তু আব্বার ওই এক কথা ছেলেদর তো আর সব সময় পাইনা , যাও মাঝে মাঝে পাই তাও তোমার জালায় ওদের সাথে দু দন্ড কথা বলে শান্তি পাইনা। আম্মা তখন টিপ্পনি কেটে বলত কেন ছেলেদের এত বেশি লেখা পড়া করিয়েছ , লেখা পড়া করার কারণেই তো ওরা আজ অনেক দুরে থাকতে হয় , দু একটা ছেলে কে লেখা পড়া না শিখিয়ে তোমার কাছে রেখে দিলে পারতে। শুধু রাত কেন দিন রাত সব সময় ওদের সাথে গল্প করে তোমার সময় কেটে যেত। একাকিত্বের কষ্ট অনুভব করে আম্মার কথা শুনে তখন আব্বার বুক থেকে এক চাপা নিশ্বাস বেরিযে যেত ।

আজ পাচটি বছর আব্বা কে ছেড়ে দেশের বাহিরে। অন্য ভাই বোনেরা ও পেশার কারণে এক একজন এক এক জায়গায়। সবাই আব্বা কে চরম মিস করে। আমার এখনো মনে আছে প্রথম যখন ইন্টার পরীক্ষা শেষ করে ঢাকাতে কোচিং করতে এলাম সেদিন সারা রাত মায়ের কথা মনে করে কেদেছিলাম। সত্যি কথা বলতে কি সে রকম ভাবে আব্বার কথা মনে পরতনা।

সব সন্তানদের কাছে বাবার চেয়ে মায়ের প্রতি ভালবাসার তীব্রতা বেশি দেখা যায়। কিন্তু বাবার ভালবাসা অনেক সময় অগোচরে ই থেকে যায়। কিন্তু আমি দেখেছি আমার আব্বার ভালবাসা। যেই পিতা কে আমি ছোট বেলায় অনেক জালাতাম তার অবাধ্য হতাম ,সেই পিতা আমার দেশ ছেড়ে আসার সময় কেদেছিল পাগলের মত। মায়ের সাথে যখন ফোনে কথা বলি খুব স্বাভাবিক ভাবে কথা বলি। কিন্তু যখন আব্বার সাথে ফোন এ কথা বলতে যাই তখনি গলা জড়িয়ে আসে কান্নায় সম্ভবত আব্বার ও , কিন্তু কেমন হয় জানিনা। এক মিনিটের বেশি আব্বার সাথে ফোন এ কথা হইনি কখনো , কথা চলার মাঝেই বলত ভালো থেক , তোমার মায়ের সাথে কথা বল বলে ফোন টা মাকে দিয়ে দিত। আমি বুজে নিতাম আব্বা তার কান্না আমার কাছ থেকে লুকিয়ে রাখতে মাকে ফোন টা দিয়ে দিত।

আব্বা আজ জীবনের শেষ সময়ে উপনীত। হয়ত আমার জীবন ও উনার আগে শেষ হয়ে যেতে পারে। কিন্তু মানুষের স্বাভাবিক বয়সের শেষ প্রান্তের হিসেবে জীবনের শেষ মুহুর্তে তিনি। হয়ত একাকী , গল্প করার মানুষ কিংবা সন্তান দের মধুর সঙ্গ হতে কিছটা বিচ্ছিন্ন। তবে তিনি চরম একাকিত্বের মাঝে ও নাকি পরম তৃপ্ত তার সন্তানদের নিয়ে। দারিদ্র আর কঠিন টানাটানির সংসারে তিনি যে সপ্ন দেখেছিলেন তার সন্তান দের নিয়ে তিনি নাকি সফল হয়েছেন তার সপ্ন পূরণে। মাঝে মাঝে আব্বার খুব কাছের মানুষদের কাছে আব্বা নাকি এই কথাটি বলে থাকেন।

কিন্তু আমরা তার সন্তান রা কতটুকু সফল হয়েছি আব্বা কে ভালবাসতে। হয়ত এখনো বাবা হইনি কখন হব সেটি ও জানিনা। তাই হয়ত সন্তানের প্রতি বাবাদের ভালবাসার অনুভুতি হয়ত বুজা কিছটা দুস্কর। কিন্তু বাবার সন্তান তো হয়েছি তাই বলছি আব্বা পৃথিবীর সব ভালবাসা কেন আপনাদের জন্য নয় ?

বিষয়: Contest_father

২৫৫৮ বার পঠিত, ২৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

219956
১০ মে ২০১৪ রাত ০৮:৩২
চোথাবাজ লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
১১ মে ২০১৪ সকাল ০৫:২৫
167739
শিকারিমন লিখেছেন : আপনাকে ও অনেক অনেক ধন্যবাদ। Good Luck Good Luck
219961
১০ মে ২০১৪ রাত ০৮:৩৮
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : জামাতী বাবা নাকি?
১১ মে ২০১৪ সকাল ০৫:৩০
167740
শিকারিমন লিখেছেন : বাবা তো বাবাই। জামাত , বিম্পি , আম্লিগ এই ধরনের কোনো বিশেষণ বাবা শব্দের লাগাতে হয় নাকি ?? জানতামনা। তবে আমার বাবা স্রেফ একজন বাবাই।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
220034
১১ মে ২০১৪ রাত ১২:২১
ফেরারী মন লিখেছেন : অনেক ভালো লাগলো পড়ে। আপনার জীবনের মত আমার জীবনটা হতো !!!
১১ মে ২০১৪ সকাল ০৫:৩৬
167741
শিকারিমন লিখেছেন : আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব ই আনন্দিত হলাম। ভাই আমার কিশোর বেলার জীবন মোটেই সুখকর ছিলনা। দুষ্টমিতে ভরা। তাই আমার কিশোর বেলার জীবনের সাথে আপনার জীবন মিলানোর আখাঙ্খা বিপদজনক। কোনো একজন ভালো মানুষের জীবনের সাথে আপনার জীবনকে মিলাতে চেষ্টা করুন। আবার ও ধন্যবাদ আপনাকে। Good Luck Good Luck Good Luck
220064
১১ মে ২০১৪ সকাল ০৬:০৬
নিস্পাপ লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে , আপনার বাবাকে নিয়ে সুন্দর একটি লেখার জন্য। আসলে ভাই বাবাদের ভালবাসার কোনো তুলনা হয়না এই পৃথিবীতে। আপনার এই লেখা পড়তে পড়তে আমি আমার বাবাকে বেশ মনে পরছে। বাবাকে অনেক জালাতাম ছোটবেলায়। বাবা প্রায় রাগ করতেন। অনেক দিন বাড়ি থেকে বের ও করে দিয়েছিলেন। আবার সেই বাবা আদরে বুকে জড়িয়ে আমাকে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছেন।
আপনার বাবা আসলেই একজন গর্বিত বাবা।
১১ মে ২০১৪ সকাল ০৬:১৩
167743
শিকারিমন লিখেছেন : আপনাকে ও অনেক ধন্যবাদ। এত্ত বিশাল লিখাটি পরার জন্য। পিতা মাতা উভয়ের ভালবাসা কখনো সন্তানদের জন্য কম হয়না। সন্তানদের উপর পিতামাতার রাগের কারণ ও বুজতে হবে সন্তানের জন্য কল্যাণকামী। আপনার বাবা বলেই তো আপনাকে আবার ঘরে ফিরিয়ে এনেছে।
আমার পিতা মাতা উভয়ের জন্য দোআ করবেন।
ধন্যবাদ আপনাকে।
১১ মে ২০১৪ সকাল ০৬:১৭
167744
নিস্পাপ লিখেছেন : জি ভাই অনেক সুন্দর বলেছেন। আসুন আমরা সবাই আমাদের পিতা মাতার জন্য কল্যাণ কামনা করি।
১১ মে ২০১৪ সকাল ০৬:১৮
167745
শিকারিমন লিখেছেন : জি অবস্যই।
220455
১২ মে ২০১৪ রাত ১২:৫১
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : বাবাই তো ঘাম ঝরিয়ে,নিজের শখ ও সুখকে চেপে রেখে,সন্তানের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য-ভবিষ্যত গড়ার পিছনে বিলিয়ে দেন তার স্বর্ণময় দিনগুলো। জীবনের প্রতিটি পদে,প্রতিটি স্তরে সন্তানের জন্যে বাবা এক বিস্তীর্ণ প্রেক্ষাপট। প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে সবসময় সন্তানের পাশে এসে দাঁড়ানো মাথার ওপর বিশাল এক ছায়া। যে ছায়াটি কেবলমাত্র মৃত্যুর মধ্য দিয়েই অপসৃয়মান হয় তার আগে নয়। ভালো লাগলো বাবাকে নিয়ে লেখা মনের কথাগুলো। দোয়া রইলো Good Luck Rose Happy
১৭ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৬
170007
শিকারিমন লিখেছেন : আমার ছোট বেলার আব্বার সাথে এলোমেলো সময়ের এলোমেলো লিখাটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
221407
১৪ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:০১
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : লিখাটি পড়ে আবেগে গলা ধরে এলো। দোয়া করি আল্লাহ আপনার আব্বাকে নেক হায়াত দান করুন।
১৫ মে ২০১৪ সকাল ০৫:৩১
169106
শিকারিমন লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ বোন আপনাকে। আমার এই লিখাটি পড়ে আমার প্রিয় আব্বা জানের কল্যাণ কামনা করার জন্য। আপনার আব্বা আম্মা দুজনের জন্য আমার পক্ষ হতে শুভ কামনা রইলো। যদি ওনারা দুজন বেছে থাকেন যেন আল্লাহ তাদের কে সুস্থতার সহিত নেক হায়াত দান করেন। আর যদি আল্লাহর ডাকে ওপারে চলে যান আল্লাহ যেন ওনাদের কে তার প্রিয় করে নিন। আমিন
আপনাকে আবার ধন্যবাদ।
221417
১৪ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৮
সুশীল লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
১৫ মে ২০১৪ সকাল ০৫:৩৭
169107
শিকারিমন লিখেছেন : আপনাকে ও অনেক ধন্যবাদ। সময় করে আমাদের বাপ ছেলের কাহিনী পড়ার জন্য।
236679
২০ জুন ২০১৪ রাত ০৪:৩৬
রাইয়ান লিখেছেন : বিজয়ী আপনাকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন ...... Rose Rose Rose Rose
২৩ জুন ২০১৪ রাত ০৩:০৭
184313
শিকারিমন লিখেছেন : আপনাকে ও অনেক ধন্যবাদ। বিজয়ী হওয়ার পর প্রথম অভিনন্দন কারী হিসেবে।
236753
২০ জুন ২০১৪ দুপুর ১২:২২
জোনাকি লিখেছেন : সুন্দর লেখা। অভিনন্দন।
২৩ জুন ২০১৪ রাত ০৩:০৯
184314
শিকারিমন লিখেছেন : আমাদের বাপ ব্যাটার এলোমেলো কাহিনীগুলো আপনার কাছে সুন্দর লেগেছে জেনে খুব ই খুশি হলাম। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
১০
236906
২০ জুন ২০১৪ রাত ০৮:৫২
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : অভিনন্দন আপনাকে আর দোয়া আপনার আব্বার জন্য, আল্লাহ আপনার আব্বাকে সুখে রাখুন।
২৩ জুন ২০১৪ রাত ০৩:১২
184315
শিকারিমন লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আল্লাহ আপনার আব্বা আম্মাকে ও অনেক সুখে রাখুক।
১১
236923
২০ জুন ২০১৪ রাত ০৯:৪৫
নিস্পাপ লিখেছেন : অভিনন্দন আপনাকে, আল্লাহ আপনার আব্বাকে সুখে রাখুন।
২৩ জুন ২০১৪ রাত ০৩:১৩
184316
শিকারিমন লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আল্লাহ আপনার আব্বা আম্মাকে ও অনেক সুখে রাখুক।
১২
236963
২০ জুন ২০১৪ রাত ১০:৫১
পটাশিয়াম নাইট্রেট লিখেছেন : আমি আমার ছেলের সাথে আমার এমন সম্পর্কের স্বপ্ন দেখি। আপনাকে অভিনন্দন।
২৩ জুন ২০১৪ রাত ০৩:২২
184317
শিকারিমন লিখেছেন : জানিনা আমার আর আমার আব্বার মাঝের কোন ঘটনা আপনাকে বেশি উদ্বেলিত করেছে।
তবে আমি কামনা করি আপনি আর আপনার সন্তানের মাঝে সম্পর্ক এমনি হোক , যে সম্পর্কের কথা মনে পড়লে আপনার শত কষ্টের মাঝে ও যেন সুখ অনুভত হয়।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। এবং অভিনন্দন প্রথম হওয়ার জন্য।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File