আল কায়েদা তোমরা আছ কি ?
লিখেছেন লিখেছেন শিকারিমন ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১২:০১:০৬ রাত
বেশ কিছু দিন হতে চোখে পড়ছে বিষয়টা। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়াতে , ব্লগে এই নিয়ে লেখা হচ্ছে , মর্মান্তিক সব ছবিগুলো পোস্ট করছে কেউ না কেউ। যে সমস্ত ছবি গুলো পোস্ট করা হচ্ছে অসম্ভব রকমের ভয়াবহ । দেখলেই গা শিউরে উঠে , আমি সাধারণত এই ধরনের ছবি বা ভিডিও গুলো আমার ফেবু হতে মুছে ফেলি অথবা লুকেয়ি ফেলি। অনেক সময় নানা রকমের কারসাজির মাধ্যমে আজকাল অনেক ছবিকে মডিফাই করে ভয়ন্কর ভাবে উপস্থাপন করা হয়। তাই অনেক সময় সোশ্যাল মিডিয়ার অনেক ছবি কে বিশ্বাস যোগ্য মনে হয়না।
গত কয়েক সপ্তায় মধ্য আফ্রিকায় খির্স্টান সম্প্রদায় মুসলমানদের সাথে যা করছে যা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। খ্রিষ্টান সস্ত্রাসবাদী সংগঠন সরাসরি চার্চের নির্দেশনায় মুসলিম নিধন করছে। বর্বরোচিত উপায়ে তারা মুসলিম হত্যা করছে কুপিয়ে , বাসের নিচে পিষ্ট করে। এই ছবি গুলো সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশ করে পোস্ট হচ্ছিল। পরে যখন বিভিন্ন মিডিয়াতে এর সত্যতা নিজ চোখে দেখলাম ,তখন কেমন জানি নিজেকে মুসলমান হিসেবে ভাবতে বেশ কষ্ট হছিল।
আজ যখন পশ্চিমা বিশ্ব , ইরাকে , আফগানিস্তানে , পাকিস্তানে , সোমালিয়ায় সন্ত্রাস বাদী উল্লেখ করে মুসলমানদের উপর সামরিক অভিযান চালায়। কিন্তু ঠিক তার বিপরীত ভুমিকা আজ মধ্য আফ্রিকায়। সেখানে সন্ত্রাস বাদী হিসেবে সন্ত্রাসী খ্রিস্টান দের উপর তাদের কোনো অভিযান নেই।
আমরা দেখেছিলাম মায়ানমারে , সেখানে কিভাবে সন্ত্রাসী বৌদ্ধ রা কিভাবে সংখা লঘু মুসলমানদের কে আগুনে পুড়িয়ে মেরেছিল। দেখেনি তার কোনো শক্ত প্রতিবাদ পশ্চিমার পদলেহনকারী জাতিসংঘের কাছ থেকে।
মুসলমান তো সেই , যে পৃথিবীর এক প্রান্তে কোনো মুসলমানের কষ্টের ব্যাথা অন্য প্রান্তে বসে অনুভব করে। জানিনা আমরা সেই ব্যাথা সবাই অনুভব করছিনা কিনা। আর যদি শুধু ব্যাথা ই অনুভব করি , সেটাই বা আর কতদিন ? সেটি তো দুর্বল ইমানদারীর লক্ষণ।
অনেক শুনেছি আল কায়েদা তোমাদের কথা। তোমরা টুইন টাওয়ার শেষ করে দিতে পারো , পেন্টাগনে হামলা করতে পারো। আরো কত কি , বিশ্ব ব্যাপী যুক্তরাষ্টের ঘুম হারাম করে দিতে পারো। আসলে কি তোমারা তাই ? তোমাদের জন্য আজ ড্রন হামলায় শত শত মুসলিম নিহত হচ্ছে পাকিস্তানে , আফগানিস্তানে। তোমাদের নামে গাড়ি বোমা হামলা হচ্ছে ইরাকে , আফগানিস্তানে সিরিয়াতে, এমন কি মসজিদে ও। আসলে কি তোমরা তাই কর ? নাকি তোমাদের নামে করা হয় , আজ তার সঠিক উত্তর মেলেনি তোমাদের কারণে। আচ্ছা যদি এসব তোমরাই করে থাক , তাহলে সেখনে কারা তোমাদের আক্রমনের শিকার হয়? তারাতো আমার ,তোমার মত কোনো না কোনো মুসলমান , হয় কথিত শিয়া , অথবা সুন্নি। তাহলে লাভ টা হচ্ছে কাদের ?
(যদি তোমরা এই সব ঘটনা করে থাক )
যদি এসব ই করতে পর তোমরা , আমরা তো দেখি নাই তোমাদের শক্ত কোনো বিপ্লবী প্রতিবাদ মায়ানমারে। যেখানে আগুনে পুড়িয়ে, ধারালো অস্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে অসংখ নারী , পুরুষ , শিশু মুসলমান কে।
আর এখন কি দেখছি মধ্য আফ্রিকায়। আমরা তো জানি তোমাদের শক্ত অবস্থান আছে আফ্রিকাতে , তোমাদের কি চোখে পড়েনা ক্ষত বিক্ষত শত শত , নারী ,পুরুষ , মুসলমানদের রাস্তায় পড়ে থাকা লাশ। নাকি তোমরা পশ্চিমা খ্রিস্টান, ইহুদি শক্তির পুতুল হয়ে শেষ করতে বসেছ , ইরাক আফগানিস্তান , পাকিস্তান ,সিরিয়া সহ মুসলিম জনপদ গুলোকে। আর যদি তা নাই হয়ে থাক, তাহলে কি মাঝে মাঝে অজ্ঞাত স্থান হতে কিছু অডিও ভিডিও টেপ পাঠিয়ে তোমাদের কাজ শেষ ?
আর তোমাদের এই তথাকথিত অডিও ভিডিও গুলো মুসলিম রাষ্ট্র গুলোর জন্য গলার কাটা হয়ে দাড়ায়।
যদি তোমরা সত্যিকার ভাবেই ইসলামী বিপ্লবের কথা মিন করে থাক। তাহলে কেন যাচ্চনা মধ্য আফ্রিকায়। সেখানে নির্যাতিত মুসলিম নারী পুরুষ শিশুদের আর্ত চিত্কার কি তোমাদের কানে আসছেনা। প্লিজ তোমারা আর লুকিয়ে থেকোনা পাক, আফগান দুর্গম পাহাড় গুলোর ভিতরে।
আফ্রিকাতে আজ তোমাদের বড় প্রয়োজন নির্যাতিত নারী পুরুষ কে বাচাতে। আর যদি এই কারণে যদি পশ্চিমা রা তোমাদের সন্ত্রাসী বলে আক্ষা দেয় , তাহলে মনে রেখো এই সন্ত্রাসী উপাধি হয়ত কাল কেয়ামতের ময়দানে তোমাদের মুক্তির পাথেয় হতে পারে। আমরা আবার ও তোমাদের আহবান করছি সারা বিশ্বের নির্যাতিত মুসলমানদের জন্য। (যদি তোমাদের কোনো অস্তিত্ব থেকে থাকে )
বিষয়: বিবিধ
১৯২০ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সত্যিকার ভাবে পৃথিবীর সকল নির্যাতিত মুসলমানের পক্ষে দাড়ানো।
ধন্যবাদ আপনাকে প্রথম মন্তব্যের জন্য।
সুতরাং আপনি কোনদিন এদের কোন অস্তিত্ব পাবেন না - এরা শুধু চিত্রিত হবে মিডিয়ায় এবং ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলারের বেনিফিট ফ্লো করতে থাকবে জুদায়োখৃষ্টানের ভান্ডারে (আমেরিকান কিংবা ইসরাইলী মানুষের পকেটে না), সে সাথে সোশ্যাল ও পলিটিক্যাল পাওয়ার কে কনটিনিউ করা হবে কেন্দ্রভূত এবং সাধারনকে বানানো হতে এ্যাবসুলুট স্লেইভ এ (তথা ভয়েস হীন) - যার বদৌলতে আপনি-আমি অতি শীঘ্রই আলিংগন করবো এন্টি ক্রাইস্ট তথা প্রী দজ্জাল এর শাসন।
আপনার লিখার সততার সাথে সারা পৃথিবীর প্রতিটি মুসলিম স্বত্তা সহমত এবং সেখানে সমরূপ রক্ত ঝরছে, চোখের কোল চাপিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আজকের এ মুসলিম অবস্থানের বিষয়ে কি আমাদেরকে রাসুলুল্লাহ সঃ সতর্ক করেন নি? করেছেন। সো আমাদেরকে সাহায্য চাইতে হলে অবশ্যই আল্লাহর কাছে চাইতে হবে - দজ্জাল এর পূজারী জুদায়ো-খৃষ্টান এ্যালায়েন্স এর গড়া কোন মুভির কারেক্টার কিংবা সংগঠনের কাছে চাইলে কি পাওয়া যাবে?
ধন্যবাদ অমন হৃদয় নিঃড়ানো ভাষায় মুসলিমদের অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
আলকায়েদা নামক এই তথা কথিত বিষ ফোড়া মুসলিম বিশ্বের কি পরিমান ক্ষতি করেছে তা প্রতি রন্দ্রে রন্দ্রে টের পাচ্ছে , আফগানিস্তান , পাকিস্তান , সোমালিয়া সহ অনেক মুসলিম জনপদ।
তাদের কাছে সাহায্য চাওয়ার মানে হচ্ছে , তাদের সত্যিকারের অস্তিত্বের অসারতা প্রমান করা।
পড়েছেন , এবং মন্তব্য করেছেন এই জন্য আপনাকে অসংখ ধন্যবাদ।
আল্লাহ সকল মজলুম মানুষের সহায় হোন।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
নাকি পুরো অংশ।
ছবিগুলো দেখে খুব খারাপ লাগছে। এমন হৃদয় ছোঁয়া আহবানের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন