হেরার রোশনাই।
লিখেছেন লিখেছেন শিকারিমন ১৫ জানুয়ারি, ২০১৪, ১২:৫৪:৩৭ রাত
চৌদ্দশত বছর পূর্বের কথা। ইতিহাসের বড় বড় ভলিউম গুলো ঘেটে দেখুন। প্রতি টি অক্ষর ,লাইন, এবং প্রতিটি ঘটনার সাথে মিলিয়ে নিন একটি কাল্পনিক পৃথিবীর। বিনির্মান করুন একটি সমাজ , একটি সভ্ভতা। এই বার দৃষ্টির গভীরতা দিয়ে পরখ করে নিন সেই পৃথিবীর আদ্যপান্ত। আজকের দুনিয়ার প্রযুক্তি আর যান্ত্রিক স্ভ্ভতা , জমকালো ও জাকজমক পূর্ণ জীবনের কথা ছেড়ে দিন। হয়ত এত পুরনো পৃথিবীর চিত্র কোনো সৌখিন , চিন্তা শীল ইতিহাসবিদ অথবা প্রত্নতাত্থিক জাদুঘরে পাওয়া যাবে।
মানবতা তখন ও ছিল এখনো আছে। সেই সময়ের মানবতা কি কখনো সঠিক জীবনবোধ নিয়ে বেছে ছিল ? পূর্ব হতে পশ্চিম, উত্তর থেকে দক্ষিন ঘুরে ফিরে ক্লান্ত হবে দৃষ্টির সীমানা। নিঃশ্বাস বন্ধ জীবনের স্পন্ধন বুজার চেষ্টা চলুক নিরন্তর। দেখা যাবে কোথাও তার নাড়ির গতি অনুভব হচ্ছেনা।
মানবতার সাজানো বাগান তচনচ করে দিয়েছিল হ্রিংস শকুনের দল। যেখানে নেই ফুলের সৌরব আর মুক্ত বিহঙ্গের কলকাকলি। সমগ্র বাগান পরিনত হয়েছে মৃত উদ্যানে। প্রতিটি স্থানে হ্রিংস শকুনের দল খুঁজে ফেরে মৃত লাশের গন্ধ। সর্বর্ত্র ই অসুন্দরের আয়োজন। অসত্য আর অসুন্দরের শেষ প্রান্তে মানবতা।
কিন্তু একি ? আয়োজকদের সবাই ক্লান্ত ,শ্রান্ত নেই উদ্যমতা অবসাদের ভারে নুইয়ে পড়ে সবাই।
আর কত অসুন্দর ? পৃথিবীর সকল প্রান্ত হতে সকল অতৃপ্তি ও অপূর্ণতার তীব্র আওয়াজ ; মুক্তি চাই , চাই আলো..............
তখন ই এ নবতর উষার আলো মানবতার বাগান জুড়ে। পূর্ব দিগন্তে আলোকচ্ছটা, সকল অন্ধকারের যবনিকা। বসন্তের নব পল্লব আর সুবাসিত ফুল, সজীব হয়ে উঠলো মৃত উদ্যান। নিখিল সৃষ্টির সকল অপূর্ণতার পরিসমাপ্তি। চার দিকে জিজ্ঞাসা কি হলো পৃথিবীর ? সবকিছু কেন নতুন মনে হয় ? কার আগমন ঘটল আমাদের মাঝে। কে এই নব অতিথি, যার আগমনে সবখানে আলোর বিচ্ছুরণ। এই আলোক বিচ্ছুরণ আর কেউ নন মরু দুলাল মুহাম্মদের এই ধরায় শুভাগমন।
তারপর গত হয়ে যায় অনেক দিন। মরুর তপ্ত বালু মানুষ বাসের উপযোগী হলো। মানবতার উত্কন্ঠা আর সুতীব্র হাহাকারের ইতি ঘটল। মুহাম্মদ ও পৌছে গেলেন সকল সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ঠ স্থানে। নতুন সপ্নের হাতছানিতে মানব হৃদয়ের আখাংকা সুতীব্র হলো , সপ্নহীন মানুষ গুলো অতিমাত্রায় সপ্নাতুর হয়ে উঠলো। আর মুহাম্মদ ও বেকুল হয়ে উঠলেন। আলোড়ন উঠলো তার তনুমনে , চলে গেলেন দুরের হেরার পর্বতে। পার্থনায় মেতে উঠলেন আপন রবের দরবারে।
এমনি সময় আলোয় ঝলমলিয়ে উঠলো হেরার পর্বত , চমকে উঠলেন তিনি। উদ্ধাকাশে চেয়ে দেখলেন , নীল দিগন্ত ভেদ করে আকাশ হতে সুতীব্র আলোর বননা এসে পড়ছে তার উপর। সেই আলো তার দেহকে ভাসিয়ে প্লাবিত করে দিচ্ছে সমগ্র পৃথিবী। আর এই আলোক রোশনাই হলো ইসলাম, তার আদর্শ। এই দিক ভ্রান্ত মানুষ গুলোর সর্বশেষ কান্ডারী হলেন তিনি। হেরার আলোর রোশনাই দিয়ে তাদের দেখালেন সপ্নের মঞ্জিল।
ফিরে আসি যান্ত্রিক সভতার আজকের দুনিয়ায়। কঠিন কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি আমরা। চৌদ্দশত বছর পূর্বের সেই অসুন্দর , অসত্য, ও অ কল্যান এর অশুভ প্রেতাত্তারা এখনো সচল। আবার তচনচ করে দেয় তারা মানবতার সাজানো বাগান। সবখানেই অশান্তি আর হিংসার দদ্রন্ড প্রতাপ। দিকভ্রান্ত মানুষগুলো আবার ও উন্মুখ শান্তির দেখায়। যেদিকে যায় সেদিকে মরিচিকার হাতছানি। দশ দিকে ঝংকার তুলে অশুভ প্রেতাত্তাদের ক্রর হাসি। শোষিত বঞ্চিত মানুষের চাপা নিঃশাস।চারদিকে অপঘাত , আর অপমৃত্রু, এরই মাঝে খুঁজে ফিরে সেই আলোর রোশনাই। সেই কান্ডারী যে তাদের নিয়ে যাবে হারানো সপ্নের মঞ্জিলে। যার আলোর বিচ্ছুরণে বেড়ে উঠবে তাদের জীবনের সপ্ন।
বিষয়: বিবিধ
১৫১৭ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সর্বপরি আমাকে উত্সাহিত করার জন্য। আপনদের উত্সাহই আমার আগামী লিখার প্রেরণা।
অন্তর মম বিকশিত করো অন্তরতর হে--
নির্মল করো,উজ্জ্বল করো,সুন্দর করো হে ॥
জাগ্রত করো,উদ্যত করো,নির্ভয় করো হে।
মঙ্গল করো,নিরলস নিঃসংশয় করো হে ॥
-------
ধন্যবাদ আপনাকে
মুহাম্মাদ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হেরার রোশনির পথ ধরে এগিয়ে চলুন।
ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
নিশি অবসান প্রায়,ঐ পুরাতন বর্ষ হয় গত. . আমি আজি ধূলিতলে জীর্ণ জীবন করিলাম নত।
বন্ধু হও শত্রু হও, যেখানে যে রও
ক্ষমা করো আজিকার মত
পুরাতন বর্ষের সাথে পুরাতন অপরাধ যত. . .
মন্তব্য করতে লগইন করুন