শিবির কি ফিরতে পারবে তার সোনালী পথে।
লিখেছেন লিখেছেন শিকারিমন ২৮ নভেম্বর, ২০১৩, ০৯:৪৩:২৬ সকাল
আমার এক অতি প্রিয় ব্লগার ইসলামী ছাত্র শিবির কে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সমালোচনা মূলক ব্লগিং করত। এবং এই নিয়ে তার সাথে আমার বাই টেলিফোনে অথবা সরাসরি কথা হত। অনেক সময় তার শিবির নিয়ে সমালোচনা মূলক যুক্তির কাছে হার মানতাম। আবার অনেক সময় তার যুক্তি গুলোকে অসার প্রমানের চেস্টা করতাম। আমার এই প্রিয় ব্লগার টি এক সময় শিবিরের কোনো এক জেলার সাহিত্য বিভাগের একজন সনামধন্য সাহিত্য কর্মী ছিল। এখনো সে খুব ভালো মানের একজন তরুণ সাহিত্যিক , বাট শিবিরের সাথে নয়। এবং তার আব্বা ও জামাত ইসলামের একজন রুকন ছিলেন। তিনি গত হয়ে গেলেন বছর দুএক আগে। তার শিবির নিয়ে সমালোচনার বিষয় গুলো ছিল শিবিরের কর্মী সাথীদের দৈনন্দিন রিপোর্ট রাখার ক্ষেত্রে মিথ্থা লিখার প্রবনতা। কারণ রিপোর্ট ভালো হলেই কেবল মাত্র পদোন্নতি তরান্নিত হত। হয়ত সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তবে এই বিষয়টার সাথে আমি প্রায় একমত। আমার অবিজ্ঞতা হতে বলছি , আমি বর্তমানে ইউরোপের একটি দেশে জীবিকার খাতিরে অবস্থান করছি , এবং এখানে জামাত , শিবিরের আদর্শ অনুসরণ করে এই ধরনের একটি ইসলামিক সংগঠন আছে। ওদের আবার পদোন্নতির ঠিক করা হয় ভালো রিপোর্ট রাখার মাধ্যমে। আমার পরিচিত বেশ কিছু লোক আছেন যাদের দ্বারা নামাজ পড়া ছাড়া রিপোর্টের বাকি কাজগুলো কখনো করা হয়না। কিন্তু মাস শেসে তারা ঠিকে পরিপূর্ণ ভাবে একটা ফলস রিপোর্ট জামা দিয়ে দেন। এবং তাদের খুব দ্রুত পদোন্নতি হচ্ছে , সাথে সাথে তারা বিভিন্ন শাখার নেতা বনে যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে তাদের বাচাইয়ের ক্ষেত্রে মনে হয় শুদু মাত্র রিপোর্ট কে গুরুত্ত দেয়া হয় সবচেয়ে বেশি। যাক বিষয় টা প্রাসঙ্গিক তাই বললাম। এইবার আসছি ওই ব্লগার এর কথায়। এটা ছাড়া ও তার অভিযোগ ছিল জামাত শিবিরের লোকজন অতি মাত্রায় সংগঠন কে ব্যবহার করে রাতারাতি ববসায়ী বনে যাওয়া। কথা টা ও হয়ত কিছুটা সঠিক। এবং সংগঠন এর শক্ত বলয় গঠন করার জন্য , কলেজ ,বিশ্ব বিদ্যালয়ে অন্য সংগঠনের মত হল দখলের রাজনীতি। এটা ছাড়া ও তার বিস্তর অভিযোগ ছিল জামাত শিবির নিয়ে। তখন এত্ত বেশি অন্ধ আবেগ ছিল , তার কথা গুলো কে যুক্তি হীন ভাবে ছুড়ে ফেলে দিতাম। তখন ভাবতাম মুষ্টিমেয় কিছু লোক দিয়ে তো আর পুরো একটা দল কে বিচার করা যায়না। কারণ এত কিছুর পরে ও এই সংগঠনের একজন কর্মীকে অন্যদের হতে খুব সহজে আলাদা করা যেত, তার কথার মাধ্যমে, চরিত্র , সৃখলা , ও একজন ভালো ছাত্র হিসাবে। কিন্তু আজ শিবির এত বেশি চরম হতে চরম পন্থার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে , যার কিছু খারাপ দিক বাদ দিয়ে , ভালো দিক গুলো যে হারিয়ে যেতে বসেছে। এই কথা সত্য যে শিবির বর্তমানে তার ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহতম সময় পার করছে। কিন্তু এই সময় গুলো পার করতে গিয়ে তার সোনালী পথ হতে যে ছিটকে পরেছে। সেই পথে কি আবার ফিরে আসতে পারবে। কারণ এই চরম পন্থা অবলম্বন করতে গিয়ে তারা হয়ে যাচ্ছেন বিদ্যা বিমুখ , হারাচ্ছেন শৃঙ্খলা , ভুলতে বসেছে মানবিকতা। আর সর্বপরি ছাত্রত্ব বাদ দিয়ে হয়ে যাচ্ছেন অতি মাত্রায় রাজনেতিক।পাঠক আমার লিখার প্রথমে আমি যে ব্লগারের সমালোচনার কথা বলেছিলাম এই জন্য যে , ওই ব্লগার বলত আমার সমালোচনা এই জন্য , শিবির যদি তাদের এই সমালোচনার বিষয় গুলো হতে মুক্ত না হতে পারে তাহলে হয়ত এক দিন তারা ছাত্র দল অথবা ছাত্র লীগের মত একটি সংগঠনে পরিনত হবে। যাদের কাজ শুদু বি এন পি আর আওয়ামীলীগের এর জন্য। বর্তমান শিবির ও তাই। তারা আর তাদের জন্য নয়। হারিয়ে ফেলেছে সোনালী অতীত। তারা আজ শুদু জামাত আর বি এন পির জন্য।
বিষয়: রাজনীতি
১৮১০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন